হুসাইন(আ:) কে?
(পর্ব-৩)
– নূরে আলম মুহাম্মাদী।




হুসাইন(আ:) কে? তা কি জানো? তাহলে বলি শোন।
হুসাইনের নাম খোদ আল্লাহ রেখেছেন,
হুসাইন থেকে খোদ রাসূল(সা.) হয়েছেন।
অবাক হচ্ছো তুমি!!!
রাসূলের হাদিস জানি,
বলেছেন তিনিঃ
“আমা থেকে হুসাইন আর
হুসাইন থেকে হয়েছি আমি।”
“ওয়া আনা মিন হুসাইন
হুসাইনুন মিন্নী।”
হুসাইন না দিলে জীবন,
রেসালতের শত্রুরা শেষ করে দিতো রাসূলের মিশন!!
মৃতপ্রায় ছিল কলেমা ও দ্বীন,
যার বুকের তাজা রক্ত
রাসূলের সুন্নতে দিলো নব জীবন,
যেন রাসূলের কথা না হয় লীন।
সেই হুসাইন তিনি !!!
“আমা থেকে হুসাইন আর
হুসাইন থেকে হয়েছি আমি।”
“ওয়া আনা মিন হুসাইন
হুসাইনুন মিন্নী।”
রাসূলের আদর্শ যাচ্ছিল হারিয়ে,
অগ্নি দিয়েছিল দ্বীন বৃক্ষের শিকড়ে,
হুসাইন ঢেলে দিলেন সব,
যা কিছু ছিল তাঁর।
সেই জলহীন রক্ত শক্ত করে
ঢেলে দিলেন বৃক্ষের শিকড়ে
ছড়িয়ে দিলেন পথ-মাঠ-প্রান্তর।
তাই, রাসূলের রেসালত
হুসাইনের কাছে ঋণী,
“আমা থেকে হুসাইন আর
হুসাইন থেকে হয়েছি আমি।”
“ওয়া আনা মিন হুসাইন
হুসাইনুন মিন্নী।”
জলহীন রক্তে দ্বীনের শিকড় সিক্ত হলো,
হুসাইন ও ছোট-বড় আলীদের রক্তে ফিরে এলো,
দয়াল নবী ও তাঁর আলো।
নবজন্ম হলো রাসুলের,
রক্ত দিয়ে হুসাইনের,
পুত্র সেই জান্নাত রমনীর,
দেখে জলহীন রক্তের ঢেউ,
বলেন তিনি ক্বুর্রাতা আইনি।
“আমা থেকে হুসাইন আর
হুসাইন থেকে হয়েছি আমি।”
“ওয়া আনা মিন হুসাইন
হুসাইনুন মিন্নী।”
হুসাইন উড়িয়েছে যে রক্তের দামান
আমরা করেছি অঙ্গিকার
রাখবো তার মান।
যতদিন আমাদের দেহে প্রাণ থাকবে
ততদিন হুসাইনের রক্তের নিশানা উড়বে।
উঠেছি আহলে বাইতের তরীতে,
নিয়েছি শপথ হুসাইনী রক্তে,
মাঝি ইমাম মাহদী,
তিনি হুসাইনী, যামানার ইমাম তিনি।
“আমা থেকে হুসাইন আর
হুসাইন থেকে হয়েছি আমি।”
“ওয়া আনা মিন হুসাইন
হুসাইনুন মিন্নী।”
_____________