বিসমিল্লাহ সম্পর্কে জানুন

Posted by - December 30, 2019

বিসমিল্লাহ সম্পর্কে জানুন! ☑বিসমিল্লাহ আল্লাহর প্রতি ভালবাসা ও নির্ভরতার মূর্ত প্রতীক। ☑বিসমিল্লাহ শয়তানকে বিতাড়িত করার প্রতীক। ☑বিসমিল্লাহ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা বিধানকারী। ☑বিসমিল্লাহ কর্মসমূহকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে। ☑বিসমিল্লাহ পবিত্র কোরআনের সূরা সমূহের মুকুট। ☑বিসমিল্লাহ পুলসিরাত অতিক্রম করার লাইসেন্স। ☑বিসমিল্লাহ নরকের অগ্নিশিখা সমূহকে নির্বাপিত করে। ☑বিসমিল্লাহ ব্যাথাসমূহের নিরাময়ক। ☑বিসমিল্লাহ সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি। ☑বিসমিল্লাহ কোরআনের চাবিকাঠি। ☑বিসমিল্লাহ আল্লাহ তা’আলার

উট বাড়ীর ছাদে

Posted by - December 29, 2019

[হিজরী দ্বিতীয় শতাব্দির একজন নামকরা ইসলামী আরেফ ও আল্লাহর অলী এবং খ্যাতনামা দরবেশ হযরত ইব্রাহিম আদহাম। তাঁর সমন্ধে লেখা আছে যে, তিনি যৌবনকালে ‘বলখ’ রাজ্যের শাসনকর্তা ছিলেন এবং তখন তার শান-শওকত ও মর্যাদার কোন কমতি ছিল না। কিন্তু অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তিনি এ জগতের সকল কিছু ছেড়ে দরবেশের পথ ধরেন। তিনি যোহ্দ্ ও ইরফানের রাজ্যে

বাদশাহীর মূল্য

Posted by - December 29, 2019

[হযরত শাক্বিক বালখী (রহঃ) হিজরী দ্বিতীয় শতাব্দি ও আব্বাসীয় শাষক হারুন-আর-রাশীদের সমসাময়িক কালের একজন স্বনামধন্য সুফী ও আরেফ ছিলেন। তার শিষ্যদের জন্যে তার সবচে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ছিল তাওয়াক্কুল (আল্লাহর উপর ভরসা)।] কথিত আছে যে, একদিন হযরত শাক্বিক (রহঃ) হজ্বব্রত পালনের উদ্দেশ্যে বলখ থেকে যাত্রা করেন। পথিমধ্যে তিনি বাগদাদে যাত্রবিরতি করেন। বাদশাহ্ হারুন-আর-রাশিদ তাকে দরবারে ডেকে

কোথাও খুজে পাবেনা আমাকে

Posted by - December 27, 2019

অবশেষে গ্রীসের প্রাচীন দার্শনিক সক্রেটিসের জন্যে মৃত্যুদন্ডের রায় ঘোষনা করা হলো। তিনি মৃত্যুর পথযাত্রী। দিনক্ষন গুণছেন কখন তার মৃত্যুদন্ড কার্যকরী হবে। এ সময়গুলোতে ভক্তবৃন্দরা তার চতুষ্পার্শ্বে জমায়েত হয়েছেন। অনেকে তাকে বলছেনঃ “হে মহান দার্শনিক! আপনি আপনার বিশ্বাস থেকে ফিরে আসুন। এতে করে আদালত আপনার মৃত্যুদন্ডের রায় কার্যকর করতে পারবে না।” আবার অনেকে বলেন : “হে

শত্রুর সাথে যাত্রা

Posted by - December 27, 2019

[জনাব ইলিয়াস ছিলেন নিশাপুরের আমির এবং প্রধান সেনাপতি। চতুর্থ শতাব্দিতে নিশাপুর পারস্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বৃহত্তম নগরী হিসেবে পরিগণিত ছিল। সেকালে এই শহরের প্রধান সেনাপতির পদটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানজনক।] একদিন জনাব ইলিয়াস হযরত আবু আলী দাক্কাক নামে এক স্বদেশী অলীর খেদমতে উপস্থিত হলেন। তিনি সম্মান প্রদর্শন পূর্বক হাটু গেড়ে সেই দরবেশের সমনে বসে

আল্লাহর আতিথেয়তা

Posted by - December 25, 2019

কথিত আছে যে একবার এক কাফের ব্যক্তি হযরত ইব্রাহিম (আঃ)- এর নিকট একটু খাবারের আবেদন করলো। ইব্রাহিম (আঃ) বললেন : “যদি তুমি মুসলমান হও তাহলে তোমাকে আমি আমার মেহমান হিসেবে গ্রহণ করতে পারি এবং পেট পুড়ে খেতে দিতে পারি।” এ কথা শুনে কাফের লোকটি কিছু না বলে চলে গেলো। কিছুক্ষন পর আল্লাহর পক্ষ থেকে হযরত

শূন্য দরগাহ্

Posted by - December 22, 2019

[বায়োজিদ বোস্তামী অবশ্যই হাতে গুনা কয়েকজন আল্লাহর মহান অলী ও অত্যন্ত প্রভাবশালী ইসলামী মহা আরেফ ও সাধকদের মধ্যে গণ্য। হকওয়ালার রাহে মহাপুরুষদের উপর তাঁর অবিশ্বাষ্য প্রভাবের কারণে বিভিন্ন কাহিনী ও বক্তব্য অন্যান্য সকল আরেফ-অলীদের চেয়ে বেশী বর্ণিত হয়েছে বিভিন্ন গ্রন্থাদিতে। হযরত শেখ ফরিদউদ্দিন আত্তার নিশাপুরী তার বিখ্যাত ‘তায্কিরাতুল আওলিয়া’ কিতাবে -যাতে আরেফ-অলীদের মাক্বাম-মর্যাদা ও অবস্থার

অনুগত দুই দাস

Posted by - December 22, 2019

বর্ণিত যে, একদা বাদশাহ্ ইস্কান্দার মাকদুনী (আলেকজান্ডার) বাক্যালাপের উদ্দেশ্যে দিভ্জান্স-এর খেদমতে আগমন করেন। দিভ্জান্স ছিলেন একজন নির্জনবাসী ও আধ্যাত্মিক সাধক। বাদশাহ্ ইস্কান্দার তার কাছে গেলে তিনি আশানুরূপ সম্মান পেলেন না। এতে করে তিনি অত্যন্ত ক্রোধান্বিত হয়ে পড়েন। বাদশাহ ক্রোধের স্বরে তাকে বলেন : “এটা কি ধরনের আচরণ তুমি আমার সাথে করলে? তুমি মনে করেছো আমার

ধীশক্তির পরিচয়

Posted by - December 22, 2019

[হযরত আবুল কাসেম জুনাইদ বিন মুহাম্মাদ বিন জুনাইদ, উপাধি : সাইয়্যেদুত্ তায়িফাহ, ইরফান ও আধ্যাত্মিক সাধনার জগতে একজন উজ্জল নক্ষত্র। তিনি শ্রেষ্ঠ বহুল পরিচিত সাধকদের অন্যতম। তিনি আসলে ইরানের নেহাভান্দের অধিবাসী কিন্তু বাগদাদে বসবাস করতেন। তিনি হযরত সারি সাক্কত্বির ভাগ্নে ছিলেন। তিনি ত্রিশ বার পদভ্রজে হজ্বব্রত পালন করেছেন। তার তরিকা ও আধ্যাত্মিক সাধনার মূল ভিত্তি

হুকুমের ব্যাপারে খেয়াল

Posted by - December 20, 2019

[আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ইব্নে খাফিফ সিরাজী ছিলেন সোরা পীর সুপরিচিত। তিনি ছিলেন হিজরী চতুর্থ শতাব্দির আধ্যাত্মিক মহা সাধকদের অন্যতম। তিনি দীর্ঘায়ু লাভ করেছিলেন। তাঁর বক্তৃতামালা ও বর্ণিত আলোচনা ও কথোপকথন আধ্যাত্মিক সাধকদের জন্যে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে আসছে। তিনি সব সময় ভ্রমনে কাটাতেন। তাঁর পিতা কিছুকাল পারস্যের ‘ফারস’ প্রদেশে বাদশাহী করেছেন। তিনি হিজরী ৩৭১-১৪ সনে