⭕ উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়া, মিসাইল ও উচ্চ পর্যায়ের পরমানু শক্তি সম্পন্ন এবং আফ্রিকা মহাদেশের সর্বপেক্ষা তেল সমৃদ্ধ একটি দেশ ছিল!!
✔১। দেশটির উপর অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। আর বলা হলো, পরমানু কর্মসূচীর ব্যাপারে সংলাপে বসতে হবে!!
✔২। দেশের কর্তৃপক্ষ আলোচনার টেবিলে বসলো। ফলশ্রুতিতে লিবিয়ার সকল আনবিক শক্তি নিঃশেষ হয়ে গেল!!
✔৩। আমেরিকা তার খেলা দেখানো শুরু করে দিল এবং লিবিয়ার সাথে কৃত পরমানু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেল!!
✔৪। পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়ার পর আমেরিকা লিবিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞার পরিমান আরো বাড়িয়ে দিল।
✔৫। এবার গাদ্দাফি ইউরোপের কোলে গিয়ে আশ্রয় নিল এবং অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং চুক্তি করলো।
✔৬। ইউরোপের আধিপত্যে লিবিয়ার অর্থনীতি পরিপূর্ণভাবে দেউলিয়া ও ধ্বংস হয়ে গেল!!
✔৭। ইউরোপ লিবিয়ার অর্থনীতি পরিপূর্ণভাবে ধ্বংস করে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে নিজ নিজ দেশে লিবিয়ার সকল অর্থ সম্পদ বায়েজাপ্ত করলো!!
✔৮। লিবিয়ার জনগণ অর্থনৈতিক চাপের মুখে গাদ্দাফি সরকারের বিরোদ্ধে প্রতিবাদ ও আন্দোলনের জন্যে রাজপথে নেমে পড়লো, যা আরব বসন্ত নামে পরিচিত।
✔৯। লিবিয়ার অভ্যন্তরে বিরাজমান আমেরিকার উপর নির্ভরশীল ও আমেরিকার মিত্র দল ও ব্যক্তিবর্গ এ গণ আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়ে সংগ্রামের পুরো নেতৃত্ব নিজেদের হাতে নিয়ে নিল। এদিকে ইউরোপের দেশগুলো আকাশপথে লিবিয়ার উপর বোমা হামলা চালিয়ে লিবিয়ার সেনাবাহিনীকে ছিন্নভিন্ন ও পর্যুদস্ত করে দিল!!
✔১০। গাদ্দাফির পতন হলো। আর লিবিয়ার মত শক্তিশালী দেশ অঘোষিতভাবে খণ্ড বিখণ্ডিত হয়ে গেলো এবং এর একটা বিরাট অংশ আই এস (দায়েশ)-এর অধিনস্থ হয়ে গেলো। বর্তমানে লিবিয়ার তেল সবচেয়ে কম মূল্যে মার্কিনী ও ইউরোপীয় তেল কোম্পনীদের হাতে পরিচালিত হচ্ছে!!!
🔺সত্যিই কী সুন্দর সাজানো নাটক!!!! তাই না?
🔰পশ্চিমা বিশ্ব ইরানের আভ্যন্তরীণ কিছু সমর্থক ও মিত্র গোষ্ঠীদের মাধ্যমে এ ধরনের একটি নাটক সাজিয়েছিল, যা “ইরানের লিবিয়াজেশন” নামে পরিচিত।
👌কিন্তু ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সচেতন ও বিজ্ঞ নেতৃবৃন্দ আমেরিকার এই সাজানো নাটকে আভিনয় করতে নারাজ বলে এখন আমেরিকা হতাশ ও নিরুপায় হয়ে ইরানের সাথে কথিত নিঃশর্ত সংলাপের আহ্বান জানাচ্ছে। যদিও এই সংলাপের উদ্দেশ্য হচ্ছে ইরানের উন্নতি ও অগ্রগতি থামিয়ে দেয়া। অথচ এক বছর পূর্বে আমেরিকা নিজেই এই পরমানু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞার পরিমান বাড়িয়েই দিচ্ছে।
🔊 তবুও ইরান নতজানু হবে না বিশ্বগ্রাসী শয়তানী শক্তিবর্গ আমেরিকা ও ইউরোপের কাছে।