হজ্জ্ব এবং ওমরাহ করা কি মানবিক?

781 0

হজ্জ করা কি মানবিক ?

প্রসঙ্গঃ বর্তমান প্রেক্ষাপট

মমতাময় আল্লাহর স্মরণ এবং রাসূল ও তাঁর প্রিয়জনদের প্রশান্তি কামনায়..

১# আপনার হজ্বের টাকাগুলো কি সম্পূর্ণ হালাল ভাবে উপার্জিত ?
২# আপনি কি আপনার জীবনের সকল দায়িত্ব শেষ করেছেন ?
৩# আপনি কি আপনার পিতা-মাতা ও সন্তানদের প্রতি সকল দায়িত্ব শেষ করেছেন?
৪# আপনি কি আপনার প্রতিবেশীদের অভাব বা সংকট মেটাতে ন্যূনতম দায়িত্ব পালন করেছেন ? (যদিও এটি লোক দেখানো বিষয় নয় বরং ন্যূনতম একজন ব্যক্তিকে স্বাবলম্বী করে দেয়া)
৫# আপনি কি আপনার আত্মীয় স্বজনদের প্রতি উপরোক্ত ভাবে ন্যূনতম দায়িত্ব পালন করেছেন?
৬# আপনার আশেপাশের অসুস্থ মানুষদের জীবন বাঁচাতে আপনার ন্যূনতম দায়িত্ব পালন হয়েছে কি?
৭# আপনার সকল ঋণগুলো শোধ হয়েছে কি?
৮# আপনি কি মহান আল্লাহর সান্নিধ্য প্রাপ্তির লক্ষ্যে মৃত্যুর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত?

এইসব প্রশ্নের উত্তর যদি “না” হয়, তাহলে মক্কা-মদীনায় হজ্বের উদ্দেশ্যে না গিয়ে বরং ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাত্রা করুন। এতে একটি লাভ হবে আর তা হোলো “আপনি একজন হাজী” অন্তত এই অহংকার থেকে মুক্ত থাকবেন। কারণ উপরোক্ত প্রশ্নমূলক দায়িত্ব গুলো যদি আপনি সম্পন্ন না করে থাকেন, তাহলে কোরআন হাদিসের শর্তানুযায়ী আপনি হজ্বের প্রাথমিক শর্তগুলোই পালন করেন নি, যার ফলে আপনার হজ্ব “ব্যর্থতায়” পর্যবসিত হোল।

আপনি কি ভেবে দেখেছেন, এ বছর আমাদের দেশ থেকে হজ্বে গিয়েছেন প্রায় ২০০০০০ (দুই লক্ষের) বেশি মানুষ। সরকারি হিসেবেই যদি মাথা পিছু খরচ ১২০০০০ (এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকা হয় তাহলে খরচের পরিমাণ দাঁড়ায় দুই হাজার চারশো কোটি টাকা। এর সাথে অন্যান্য দেশগুলোর হজ্ব যাত্রীদের টাকা যোগ করলে সেটি কত বিশাল অংকের টাকা হয়ে দাঁড়ায়, একবার ভেবেছেন কি ? এতে বিশাল পরিমাণ টাকা আমরা কাদের হাতে তুলে দিচ্ছি? তুলে দিচ্ছি আরবের সৌদ রাজবংশের হাতে, যারা এই টাকাকে ব্যবহার করে তাদের ব্যক্তিগত আমোদ ফুর্তিতে, যাদের অধিকাংশই, সময় অতিবাহিত করে মদ্যপান আর নারী-বাজির খেলতামাশায়। যারা এই টাকাকেই ব্যয় করে পার্শ্ববর্তী মুসলিম দেশগুলোর সাথে চূড়ান্ত শত্রুতামির নির্মম খেলায়। অথচ সারা বিশ্বের মুসলমানদের সকল সমস্যার সমাধানে তাদের দায়িত্ব‌ই ছিল সবচেয়ে বেশী। অথচ এর বিপরীতে এরাই বিশ্বের সকল মুসলিম ভাইবোনদের দুর্দশা সৃষ্টিকারী শত্রুদের সাথে সবচেয়ে বেশি হাত মিলিয়েছে। অতএব মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আপনার পরিশ্রমের হালাল টাকা গুলো কোন পথে ব্যয় করছেন সে ব্যাপারে আপনাকে সতর্ক হ‌ওয়া উচিত নয় কি ?

আমরা অনেকেই জানি না যে, কাবা ঘরের দায়িত্ব যখন অত্যাচারী ভোগবাদী জালিম শাসকরা ছিনিয়ে নিল তখন জান্নাতের যুবকদের নেতা ইমাম হুসাইন আঃ, হজ্বের স্থান থেকে হজ্ব না করেই ফিরে চলে গেলেন। এর পর আর হজ্ব না করেই, নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে চলে গেলেন পারলৌকিক যাত্রার নির্লিপ্ত লোকে। অথচ আমরা মানবাধিকারের মৌলিক বিষয়ের দিকে খেয়াল না করে আচার-অনুষ্ঠান সর্বস্ব হয়ে পড়ছি ক্রমাগতভাবেই।

আমরা রাসূল সাঃ এর জীবন দর্শন থেকে হজ্ব সম্পর্কে যে শিক্ষা পাই, তা হলো, হজ্ব গোটা মানব জাতির একটি সর্বোচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন, যেখানে বিগত বছরের খতিয়ান এবং আগত বছরের দিক নির্দেশনা দেয়া হয় এবং সারা বিশ্বের মানুষদের সকল ধরনের সংকট সমাধানে গৃহীত পদক্ষেপের বাস্তবায়ন করা হয়। তাঁর আনিত জুম্মার সালাতের স্থানীয় দর্শনও এমনটিই।

এখন প্রশ্ন হলো, আমরা আমাদের জীবদ্দশায় কোনো হজ্বের বক্তব্য তথা আনুষ্ঠানিকতা থেকে এভাবে উপকৃত হয়েছি কি ?

রাসূল সাঃ তাঁর সকল দায়িত্ব শেষ করে, সকলের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য শেষ করে তারপর জীবনের শেষ প্রান্তে এসে হজ্ব করেছেন একবার এবং কোরবানিও দিয়েছেন একবার এবং সেটি হজ্বের অনুষ্ঠান স্থলেই।

আমরা তাহলে কি পালন করছি, বা কাকে অথবা কাদেরকে অনুসরণ করছি ?

সময় এসেছে নতুন করে ভাবার, তাই সম্মানিত পাঠক নতুন করে ভাবুন এবং সচেতন হ‌উন, কারণ মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন “নিশ্চয়ই তিনি আল্লাহ সচেতনদের পক্ষেই অবস্থান গ্রহণ করেন”।

 

হজ্জের তাৎপর্য

ইসলামি ইবাদতসমূহের মধ্যে হজ্জের গুরুত্ব অপরিসীম। এক হাদিস অনুযায়ী হজ্জকে বরং সর্বোত্তম ইবাদত বলা হয়েছে।[1] তবে হজ্জের এ গুরুত্ব বাহ্যিক আচার- অনুষ্ঠান থেকে বেশি সম্পর্কযুক্ত হজ্জের রুহ বা হাকীকতের সাথে। হজ্জের এ রুহ বা হাকীকত নিম্নবর্ণিত পয়েন্টসমূহ থেকে অনুধাবন করা সম্ভব-

  1. এহরামের কাপড় গায়ে জড়িয়ে আত্মীয়-স্বজন ছেড়ে হজ্জের সফরে রওয়ানা হওয়া কাফন পরে আত্মীয়-স্বজন ছেড়ে আখেরাতের পথে রওয়ানা হওয়াকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
     
  2. হজ্জের সফরে পাথেয় সঙ্গে নেয়া আখেরাতের সফরে পাথেয় সঙ্গে নেয়ার প্রয়োজনয়ীতাকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
     
  3. এহরাম পরিধান করে পুত-পবিত্র হয়ে আল্লাহর দরবারে হাজিরা দেয়ার জন্য ‘লাববাইক’ বলা সমস্ত গুনাহ-পাপ থেকে পবিত্র হয়ে পরকালে আল্লাহর কাছে হাজিরা দেয়ার প্রয়োজনীয়তাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। আরো স্মরণ করিয়ে দেয় যে এহরামের কাপড়ের মতো স্বচ্ছ-সাদা হৃদয় নিয়েই আল্লাহর দরবারে যেতে হবে।
     
  4.  ‘লাববাইকা আল্লাহুম্মা লাববাইক’ বলে বান্দা হজ্জ বিষয়ে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে আল্লাহর যে কোনো ডাকে সাড়া দেয়ার ব্যাপারে সদা প্রস্ত্তত থাকার কথা ঘোষণা দেয়। এবং বাধাবিঘ্ন বিপদ-আপদ কষ্ট-যাতনা পেরিয়ে যে কোনো গন্তব্যে পৌঁছতে সে এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে, এ কথা ব্যক্ত করে।
     
  5. এহরাম অবস্থায় সকল বিধি-নিষেধ মেনে চলা স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে যে মুমিনের জীবন বল্গাহীন নয়। মুমিনের জীবন আল্লাহর রশিতে বাঁধা। আল্লাহ যেদিকে টান দেন সে সেদিকে যেতে প্রস্ত্তত। এমনকী যদি তিনি স্বাভাবিক পোশাক- আশাক থেকে বারণ করেন, প্রসাধনী আতর স্নো ব্যবহার, স্বামী-স্ত্রীর সাথে বিনোদন নিষেধ করে দেন, তবে সে তৎক্ষণাৎ বিরত হয়ে যায় এসব থেকে। আল্লাহর ইচ্ছার সামনে বৈধ এমনকী অতি প্রয়োজনীয় জিনিসকেও ছেড়ে দিতে সে ইতস্তত বোধ করে না বিন্দুমাত্র।
     
  6. এহরাম অবস্থায় ঝগড়া করা নিষেধ। এর অর্থ মুমিন ঝগড়াটে মেজাজের হয় না। মুমিন ক্ষমা ও ধৈর্যের উদাহরণ স্থাপন করে জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে। মুমিন শান্তিপ্রিয়। ঝগড়া-বিবাদের ঊর্ধ্বে উঠে সে পবিত্র ও সহনশীল জীবন যাপনে অভ্যস্ত।
     
  7. বায়তুল্লাহর সান্নিধ্যে গিয়ে মুমিন নিরাপত্তা অনুভব করে। কেননা বায়তুল্লাহকে নিরাপত্তার নিদর্শন হিসেবে স্থাপন করেছেন আল্লাহ তা’আলা।[2] সফরের কষ্ট-যাতনা সহ্য করে বায়তুল্লাহর আশ্রয়ে গিয়ে মুমিন অনুভব করে এক অকল্পিত নিরাপত্তা। তদ্রূপভাবে শিরকমুক্ত ঈমানি জীবযাপনের দীর্ঘ চেষ্টা-সাধনার পর মুমিন আল্লাহর কাছে গিয়ে যে নিরাপত্তা পাবে তার প্রাথমিক উদাহরণ এটি।[3]
     
  8. হাজরে আসওয়াদ চুম্বন-স্পর্শ মুমিনের হৃদয়ে সুন্নতের তাজিম-সম্মান বিষয়ে চেতনা সৃষ্টি করে। কেননা নিছক পাথরকে চুম্বন করার মাহাত্ব কী তা আমাদের বুঝের আওতার বাইরে। তবুও আমরা চুম্বন করি, যেহেতু রাসূলুল্লাহ (সাঃ)করেছেন। বুঝে আসুক না আসুক কেবল রাসূলুল্লাহ (সাঃ)এর অনুসরণের জন্যই আমরা চুম্বন করে থাকি হাজরে আসওয়াদ। এ চুম্বন বিনা-শর্তে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)এর আনুগত্যে নিজেকে আরোপিত করার একটি আলামত। ওমর (রাঃ) হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করার পূর্বে বলেছেন, ‘আমি জানি নিশ্চয়ই তুমি একটি পাথর। ক্ষতি-উপকার কোনোটারই তোমার ক্ষমতা নেই। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)কে চুম্বন করতে না দেখলে আমি তোমাকে চুম্বন করতাম না।[4] হাজরে আসওয়াদের চুম্বন, তাই, যুক্তির পেছনে না ঘুরে, আল্লাহ ও রাসূলের নিঃশর্ত আনুগত্যের চেতনা শেখায় যা ধর্মীয় নীতি-আদর্শের আওতায় জীবনযাপনকে করে দেয় সহজ্জ, সাবলীল।
     
  9. তাওয়াফ আল্লাহ-কেন্দ্রিক জীবনের নিরন্তর সাধনাকে বুঝায়। অর্থাৎ একজন মুমিনের জীবন আল্লাহর আদেশ-নিষেধকে কেন্দ্র করে ঘোরে। এক আল্লাহকে সকল কাজের কেন্দ্র বানিয়ে যাপিত হয় মুমিনের সমগ্র জীবন। বায়তুল্লাহর চার পাশে ঘোরা আল্লাহর মহান নিদর্শনের চার পাশে ঘোরা। তাওহীদের আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের চার পাশে ঘোরা। তাওহীদনির্ভর জীবনযাপনের গভীর অঙ্গীকার ব্যক্ত করা। আর সাত চক্কর চূড়ান্ত পর্যায়কে বুঝায়। অর্থাৎ মুমিন তার জীবনের একাংশ তাওহীদের চার পাশে ঘূর্ণায়মান রাখবে আর বাকি অংশ ঘোরাবে অন্য মেরুকে কেন্দ্র করে, এরূপ নয়। মুমিনের শরীর ও আত্মা, অন্তর-বহির সমগ্রটাই ঘোরে একমাত্র আল্লাহকে কেন্দ্র করে যা পবিত্র কুরআনে ‘পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করো’[5] বলে ব্যক্ত করা হয়েছে।
     
  10. আল্লাহ তা’আলা নারীকে করেছেন সম্মানিতা। সাফা মারওয়ার মাঝে সাত চক্কর, আল্লাহর রহমত-মদদ কামনায় একজন নারীর সীমাহীন মেহনত, দৌড়ঝাঁপকে স্মরণ করিয়ে দেয়। যে শ্রম-মেহনতের পর প্রবাহ পেয়েছিল রহমতের ফোয়ারা ‘যমযম’। সাত চক্করে সম্পূর্ণ করতে হয় সাঈ যা, স্মরণ করিয়ে দেয় যে আল্লাহর রহমত-সাহায্য পেতে হলে সাত চক্কর অর্থাৎ প্রচুর চেষ্টা মেহনতের প্রয়োজন রয়েছে। মা হাজেরার মতো গুটি গুটি পাথর বিছানো পথে সাফা থেকে মারওয়া, মারওয়া থেকে সাফায় দৌড়ঝাঁপের প্রয়োজন আছে। পাথুরে পথে সাত চক্কর, তথা প্রচুর মেহনত ব্যতীত দুনিয়া- আখেরাতের কোনো কিছুই লাভ হবার মতো নয় এ বিধানটি আমাদেরকে বুঝিয়ে দেয় পরিষ্কারভাবে।
     
  11.  উকুফে আরাফা কিয়ামতের ময়দানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় যেখানে সমগ্র মানবজাতি একত্রিত হবে সুবিস্তৃত এক ময়দানে। যেখানে বস্ত্রহীন অবস্থায় দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে গুণতে হবে অপেক্ষার প্রহর। সঠিক ঈমান ও আমলের অধিকারী ব্যক্তিরা পার পেয়ে যাবে আল্লাহর করুণায়। আর ইমানহীন-ত্রুটিপূর্ণ ঈমান ও আমলওয়ালা ব্যক্তিদেরকে অনন্ত আযাব ভোগ করাতে শেকল পরিয়ে ধেয়ে নেয়া হবে জাহান্নামের পথে।
[1] -দেখুন : বোখারি : হাদিস নং ২৫

[2] – وَإِذْ جَعَلْنَا الْبَيْتَ مَثَابَةً لِلنَّاسِ وَأَمْنًا (সূরা আল বাকারা : ১২৫)

[3] – الَّذِينَ آَمَنُوا وَلَمْ يَلْبِسُوا إِيمَانَهُمْ بِظُلْمٍ أُولَئِكَ لَهُمُ الْأَمْنُ وَهُمْ مُهْتَدُونَ(الأنعام:৮১) অর্থাৎ যারা ঈমান আনল, ও তাদের ঈমানকে মিশ্রিত করলনা শিরক-জুলুমের সাথে তাদের জন্য আছে নিরাপত্তা এবং তারাই হল পথপ্রাপ্ত।

[4] – إني أعلم أنك حجر لا تضر ولا تنفع ، ولولا أني رأيت النبي صلى الله عليه وسلم يقبلك ما قبلتك (বোখারি : হাদিস নং ১৫২০)

[5] – يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً (সূরা আলা বাকারা : ২০৮)

Related Post

উপদেশ প্রার্থী এক ব্যক্তি

Posted by - August 14, 2019 0
✍️[এক আরব বেদুঈন মদীনা শহরে এসে রাসূলে আকরাম (সা.)-এর খেদমতে হাজির হয়ে আবেদন করলো, “হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ)! আমাকে কিছু…

পীর-মুর্শিদ

Posted by - August 23, 2019 0
✍ ফার্সি ভাষায় পীর শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছেঃ বৃদ্ধ, মুরুব্বী, অগ্রণী, নেতা, পথ প্রদর্শক প্রভৃতি। পীর শব্দটি কোরআন পাকে নেই। পীর…

প্রশান্তিময় জীবনের সুত্র

Posted by - August 29, 2019 0
✍ সুখ মানে অর্থ কিংবা বাড়ী গাড়ীর মালিক হওয়া নয়। সুখ মানে প্রশান্তিময় জীবন। 🍀প্রশান্তিময় জীবনের সুত্রঃ ❓কোন এক বুযুর্গ…

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *