(আমি) আল্লাহর নামে (শুরু করছি), যিনি রাহমান (পরম করুণাময় সকল সৃষ্টির জন্যে), যিনি রাহিম (অসীম দয়াবান কিছু বিশেষ ব্যক্তিদের জন্যে)।
➡️(সূরা নং ৬৫, আয়াত ৪-৬)
🔹তোমাদের যে সকল স্ত্রীরা (বয়স বৃদ্ধির কারণে) পুনরায় হায়েজ হওয়ার ব্যাপারে নিরাশ হয়েছে, যদি তাদের (গর্ভবতী হওয়ার) ব্যাপারে তোমরা সন্দেহ করো তাহলে তাদের ইদ্দতকাল হবে তিন মাস। তদ্রুপ যারা কখনো হায়েজ দেখেনি (তাদের ব্যাপারেও একই হুকুম)। গর্ভবতী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত। আল্লাহকে যে ভয় করবে [=যে তাক্বওয়া অবলম্বন করবে] আল্লাহ তার কাজ সহজ করে দিবেন।(৪)
🔹এটা আল্লাহর বিধান, যা তিনি তোমাদের উপর অবতীর্ণ করেছেন। আল্লাহকে যে ভয় করবে তিনি তার পাপ মোচন করে দিবেন এবং তাকে মহাপুরস্কার দান করবেন।(৫)
🔹তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী তোমরা যে স্থানে বাস কর তাদেরকে [=তোমাদের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীদেরকে] সেই স্থানে বাস করতে দিও। তাদেরকে কষ্টে ফেলার জন্যে তাদের কোন প্রকার ক্ষতি করো না। তারা গর্ভবতী হয়ে থাকলে সন্তান প্রসব পর্যন্ত তাদের ব্যয়ভার গ্রহণ করবে। আর যদি তারা তোমাদের সন্তানদেরকে (তাদের বুকের) দুধ পান করায় তাহলে তাদেরকে পারিশ্রমিক দিবে এবং (সন্তানের দুধ পান সম্পর্কে) তোমরা সংগতভাবে নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করবে। তোমরা যদি একমত না হও তাহলে অন্য কোন নারী তাকে [=তোমাদের সন্তানকে] (বুকের) দুধ পান করাবে।(৬)
–
–
–
–
(আমি)আল্লাহর নামে(শুরু করছি), যিনি রাহমান(পরম করুণাময় সকল সৃষ্টির জন্যে), যিনি রাহিম(অসীম দয়াবান কিছু বিশেষ ব্যক্তিদের জন্যে)।
✅তিঁনি (আল্লাহ প্রেরীত) এমন এক রাসূল, যিনি তোমাদের নিকট আল্লাহর সুস্পষ্ট আয়াতগুলো আবৃত্তি করেন, যেন বিশ্বাসী ও সৎ কর্মপরায়ণ ব্যক্তিদেরকে অন্ধকার থেকে আলোতে বের করে আনতে পারেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ঈমান আনে এবং সৎ কাজ করে তিঁনি [=আল্লাহ] তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার পাদদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত থাকবে, সেখানে সে চিরস্থায়ী জীবন লাভ করবে। আল্লাহ তাকে উত্তম রিযিক দান করবেন।(১১)
✅আল্লাহ (সেই সত্ত্বা), যিঁনি সৃষ্টি করেছেন সপ্ত আসমান। আর পৃথিবী থেকেও সেই পরিমাণ [=সপ্ত স্তর] সৃষ্টি করেছেন। এগুলোর মাঝে (তাঁর পক্ষ থেকে) নির্দেশ অবতীর্ণ হয়, যেন তোমরা বুঝতে পার যে, আল্লাহ সকল কিছুর উপর শক্তিমান এবং আল্লাহ সব কিছুকে (তাঁর) জ্ঞান দিয়ে পরিবেষ্টন করে রেখেছেন।(১২)
–
–
–
–
–
চলবে…….🐫🐫
↯↻↯↻↯