রুহু ও নফস
১। রুহ=
“আল্লাহর জিনিস”। রুহ আল্লাহর কাছ থেকে এসেছে। রুহ মানব জাতির মূল আস্তিত্ব। আল্লাহ এ ব্যাপারে আমাদেরকে অল্প জ্ঞানই দিয়েছেন।
২। নফস=
“মানুষের প্রবৃত্তি”। এর প্রকার ভেদ আছে। নাফসে আম্মারা, নাফসে লাও-ওয়ামা, নাফসে মুলহিমা, নাফসে মুতমায়িন্না, নাফসে রাযিয়া, নাফসে মারযিয়া, নাফসে সাফিয়া প্রভৃতি।
৩। মৃত্যু কি?
মৃত্যু= এ জগত ছেড়ে পরবর্তি জগতে যাওয়ার অবস্থা।
৪। মৃত্যুর সময় আজরাইল যে জান কবজ করে, এই জান বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ এর অর্থ হচ্ছে মানুষের এ জগতের পার্থিব দেহ এ জগতেই পড়ে থাকবে। জান হচ্ছে সেই রুহ, যা মানুষের মূল অস্তিত্ব। হযরত আযরাঈল মানুষের এই জান বা রুহ পরবর্তি জগতে নিয়ে যান। এটাকেই বলে জান কবজ করা।
৫। কোরআন বলছেঃ “সকল প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে? এখানে আস্বাদন দ্বারা আল্লাহ তায়ালা কি বুঝিয়েছেন?
উত্তরঃ অর্থাৎ এই স্থানান্তরিত অবস্থা সকল প্রাণীই অনুভব করবে।
৬। মৃত্যুর পর রুহ এবং নফস এর অবস্থান কি হয়?
উত্তরঃ মৃত্যুর পর মানুষের রুহের উপর পরবর্তি জগতের পোশাক পরানো হবে।
আর বিভিন্ন প্রকার নফস –এর অবস্থা এ দুনিয়াতে মানুষের আমলের মাধ্যমেই প্রকাশিত হবে। যার ফলাফল মানুষ আখেরাতে দেখতে পাবে।