দয়াল নবী হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা (সাঃ) এরশাদ করেছেনঃ
✍“যে ব্যক্তি নামাজের ব্যাপারে অবহেলা করে তার জন্যে পনেরটি কঠোর আযাব নির্ধারিত রয়েছে। এর মধ্যে দুনিয়াতে রয়েছে ছয়টি, মৃত্যুর সময় তিনটি, কবরে তিনটি এবং হাশরের দিনে রয়েছে তিনটি।
দুনিয়ার ছয়টি আযাবঃ
1⃣ আল্লাহ তার আয়ু হ্রাস করে দিবেন।
2⃣ তার রুজি রোজগার কমিয়ে দিবেন।
3⃣ নেক লোকের চিহ্ন তার চেহারা থেকে চলে যাবে।
4⃣ ঐ ব্যক্তির অন্যান্য নেক কাজ কোন কাজে আসবে না।
5⃣তার দোয়া কবুল হবে না।
6⃣ নেক লোকের দোয়া তার কোন কাজে আসবে না।
মৃত্যুর সময় তিনটি আযাবঃ
1⃣ অসন্মানের সাথে তার মৃত্যু হবে।
2⃣ ক্ষুদার্থ অবস্থায় মৃত্যু হবে।
3⃣ সে এমন অবস্থায় মারা যাবে যে, যদি নদীর সব পানি তাকে পান করানো হয় তবুও তার পিপাসা মিটবে না।
কবরের তিনটি আযাবঃ
1⃣ তার কবর সংকীর্ণ হয়ে যাবে।
2⃣ তার কবর অন্ধকারাচ্ছন্ন ও ভীতিকর হয়ে যাবে।
3⃣ ফেরেস্তারা তার কবরে চাপ সৃষ্টি করবে।
কিয়ামতের সময় তিনটি আযাবঃ
1⃣ ফেরেস্তারা তাকে হিসাবের জন্য টেনে হেচড়ে নিয়ে যাবে।
2⃣ তার হিসাব-নিকাশ কঠিন হবে।
3⃣ আল্লাহ ঐ বেনামাজীর উপর রহমতের দৃষ্টি দিবেন না। আর তাকে পবিত্রও করাও হবে না।
••●✦✨✦✨✦●••
➊ সকল গুনাহ থেকে পবিত্র হওয়ার দরুদঃ
❥✦হযরত ইমাম জাফার আস সাদিক্ব(আ:):
*”আল্লাহ কসম! (নিচের) এই দরুদের মাধ্যমে একজন মানুষ সদ্য ভুমিষ্ট শিশুর ন্যায় গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে যায়।”*
*〖 صَلَواتُ اللهِ وَ صَلَواتُ مَلائِکَتِهِ وَ أنْبِیائِهِ وَ رُسُلِهِ وَ جَمیعِ خَلْقِهِ عَلی مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ وَ السَّلامُ عَلَیْهِ وَ رَحَمهُ اللهِ وَ بَرَکاتُهُ〗*
উচ্চারণঃ
〖সালাওয়াতুল্ল-হি ওয়া সালাওয়াতু মালাইকাতিহি ওয়া আম্বয়াইহি ওয়া রুসূলিহি ওয়া জামিয়ি’ খালক্বিহি আলা মুহাম্মাদিউ ওয়া আলে মুহাম্মাদ। ওয়াস্ সালামু আলাইহি ওয়া রাহমাতুল্ল-হি ওয়া বরাকাতুহুহ্ 〗
✦মাআনিল আখবার, খণ্ড ২, পৃঃ নং ৩৬২।