বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
لَقَدْ جَاءكُمْ رَسُولٌ مِّنْ أَنفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُم بِالْمُؤْمِنِينَ رَؤُوفٌ رَّحِيمٌ
আরবি উচ্চারণঃ লাক্বাদ জা-আকুম রাসুলুম মিন আনফুসিকুম আ’যীযুন আ’লাইহি মা আ’নিত্তুম হারিসুন আ’লাইকুম বিল মু’মিনীনা রউফুর রাহীম”।
✍ বাংলা অনুবাদঃ তোমাদের কাছে এসেছে তোমাদের মধ্য থেকেই একজন রসূল। তোমাদের দুঃখ-কষ্ট তার পক্ষে দুঃসহ। তিনি তোমাদের মঙ্গলকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল, দয়াময়।
[সুরা তাওবা আ: নং ১২৮]
مَا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِنْ رِجَالِكُمْ وَلَكِنْ رَسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
আরবি উচ্চারণঃ মা কানা মুহাম্মাদুন আবা~ আহাদিম মির রিজালিকুম ওয়ালা-কির রাসূলাল্লাহি ওয়া খাতামান নাবিয়্যিনা ওয়া কানাল্লাহু বি-কুল্লি শাইয়িন আ’লিমা।”
✍ বাংলা অনুবাদঃ মুহাম্মদ (সা.) তোমাদের কোন পুরুষের পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।”
[সূরা আহযাব, আঃ নং ৪০]
إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
আরবি উচ্চারণঃ ইন্নাল্লহা ওয়া মালাইকাতাহু ইউসাল্লুনা আ’লান নাবী ইয়া আইয়্যুহাল্লাযিনা আমানু সল্লু আলাইহি ওয়া সাল্লিমু তাসলিমা।
✍বাংলা অনুবাদঃ আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর প্রতি দরুদ পাঠান। হে মুমিনরা! তোমরাও নবীর জন্যে দরুদ পাঠাও এবং তাঁর প্রতি সালাম পেশ কর ও তাঁর নির্দেশের অনুগত হও।”
[সূরা আহযাব আ: নং ৫৬]
তিনটি মর্যাদাসম্পন্ন দরুদ
➊ সকল গুনাহ থেকে পবিত্র হওয়ার দরুদঃ
✦হযরত ইমাম জাফার আস সাদিক্ব(আ:):
*”আল্লাহ কসম! (নিচের) এই দরুদের মাধ্যমে একজন মানুষ সদ্য ভুমিষ্ট শিশুর ন্যায় গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে যায়।”*
*〖 صَلَواتُ اللهِ وَ صَلَواتُ مَلائِکَتِهِ وَ أنْبِیائِهِ وَ رُسُلِهِ وَ جَمیعِ خَلْقِهِ عَلی مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ وَ السَّلامُ عَلَیْهِ وَ رَحَمهُ اللهِ وَ بَرَکاتُهُ〗*
*উচ্চারণঃ*
〖সালাওয়াতুল্ল-হি ওয়া সালাওয়াতু মালাইকাতিহি ওয়া আম্বয়াইহি ওয়া রুসূলিহি ওয়া জামিয়ি’ খালক্বিহি আলা মুহাম্মাদিউ ওয়া আলে মুহাম্মাদ। ওয়াস্ সালামু আলাইহি ওয়া রাহমাতুল্ল-হি ওয়া বরাকাতুহুহ্ 〗
মাআনিল আখবার, খণ্ড ২, পৃঃ নং ৩৬২।
➋ *যে দরুদ পাঠ করলে এক সপ্তাহ পর্যন্ত একজন মানুষ নিরাপদে থাকেঃ*
❥✦হযরত ইমাম জাফার আস সাদিক্ব(আ:):
*”যে ব্যক্তি শুক্রবারের দিন জুম্মা (অথবা যোহর) নামাজ বাদ তিন বার (নিচের দরুদটি) পড়বে,*
*〖 اَللهمَّ اجْعَلْ صَلَواتَ وَ صَلَواتَ مَلائِکَتِکَ وَ رُسُلِکَ عَلیَ مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ〗*
〖আল্ল-হুম্মাজ্আল সালাওয়াতা ওয়া সালাওয়াতা মালাইকাতিকা ওয়া রুসূলিকা আ’লা মুহাম্মাদিউ ওয়া আলে মুহাম্মাদ 〗
*সে পরের শুক্রবার পর্যন্ত নিরাপদে থাকবে।”*
বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৯০, পৃঃ নং ৫৬।
➌ *যে দরুদ পাঠ করলে এক সপ্তাহ পর্যন্ত ফেরেস্তারা আপনার জন্যে দরুদ পাঠ করতে থাকেঃ*
❥✦হযরত ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে আলী আল বাক্বির(আ:) ও হযরত ইমাম জাফার আস সাদিক্ব(আ:):
*”যে ব্যক্তি শুক্রবারের দিন আসর নামাজ বাদ দশ বার (নিচের দরুদটি) পড়বে,*
*〖 اَللهمَّ صَلِّ عَلی مُحَمَّدٍ الْأوْصِیاءِ الْمَرْضییّنَ بِأَفْضَلِ صَلَواتِکَ وَ بارِکْ عَلَیْهِمْ بِأَفْضَلِ بَرَکاتِکَ وَ عَلَیْهِ وَ عَلَیْهِمُ السَّلامُ وَ عَلی اَرْواحِهِمْ وَ أَجْسادِهِمْ وَ رَحْمَهُ الله وَ بَرَکاتُهُ〗*
〖আল্ল-হুম্মা সাল্লি আ’লা মুহাম্মাদিনিল আওসিয়াইল মারদ্বি-ই-না বিআফদ্বালি সালাওয়াতিকা ওয়া বারিক আলাইহিম। বিআফদ্বালি বারাকাতিকা ওয়া আলাইহি ওয়া আলাইহিমুস্ সালাম। ওয়া আ’লা আরওয়াহ্বিহিম ওয়া আজসাদিহিম ওয়া রাহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকাতুহুহ্〗
*ফেরেস্তারা ঐ ব্যক্তির জন্যে এই শুক্রবার থেকে পরের শুক্রবারের এই সময় পর্যন্ত দরুদ পড়তে থাকে।”*
জামালুল উসবুহ কিতাব দ্রঃ, সাওয়াবুল আ’মাল ওয়া ইক্বাবুল আ’মাল, হাদিস নং ৫৯৮।
↯↻↯↻↯