তুমি আছ অস্তিত্বে!!
ওরা বলে তুমি নেই !
বলে তোমার জন্মই হয়নি !
হ্যাঁ,বলবেই তো !
ওরা তো তোমাকে এক ফুৎকারে নিভিয়ে দিতে চেয়েছিলো !
যেমনি করে ওদের ধামাচাপায় পিষ্ট হয়ে আছে সব সত্য !
ওরা যে দেয়নি রেহাই সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মুহাম্মাদকেও !
ফাতেমা,আলী,হাসান ,হোসেইন পেরেছিলো কি রেহাই পেতে?
নির্মমতার শেষ ধাপটি কি প্রয়োগ করেনি ওরা ?
নীল বিষের পেয়ালা আর তাজা রক্তই তো তাদের প্রমান!
জয়নুল থেকে আসকারিকে কতটা যন্ত্রনায় বিষের জ্বালায় দগ্ধ করে পাকাপোক্ত করেছিলো ওদের মসনদ তা অন্ধেরা জানে না বলে তুমি মৃত !
তোমার জন্ম হয়নি!
পবিত্র সত্ত্বাগুলোকে দাফন পড়িয়েই তো
নব্য ইসলামী লেবাসের সূচনা !
বাঈজীর জলসায় ইসলামের কান্ডারী নামক নেতার চলে শরাবের সাকিতে সাকিতে বিভোর !
মসনদের চেয়ারে কত জুলুমর দাগ যে লেগে আছে তা তো গুনে শেষ করা যাবে না ।
কচুকাঁটা হয়েছিলো কত যে নিরপরাধ উম্মাহ !
সে হিসাব ওরা জানে না !
সিদ্ধ হস্তেই রাঙা মসনদের ক্ষমতা চলে !
আর সত্য ইসলাম নিভু নিভু করা আতুড় ঘরে !
তেমনি করে জয় জয়কারে চলছে ওদের ক্ষমতার বিস্তীর্নতা পৃথিবী জুড়ে !
কিন্তু ওরা যে জানে না, সত্যের নেই কোন মৃত্যু !
ছাইচাপা দিয়ে যতই তা ঢেকে রাখা হোক না কেন ,তূষের আগুনের মতো তার তীব্রতা থাকেই!
যেমন করে ফেরাউন বাহিনী সবত্র প্রহরায় মূসার জন্ম ও বেঁচে যাওয়ার সত্য ইতিহাস !
যেমন করে ঈসার দীর্ঘকাল অন্তরালে থাকা !
ঈদ্রিস, খিজির ও ইলিয়াসের মহাকালের গায়েবাত !
ঠিক তেমনি করে তোমার সে অন্তরালে থাকা !
তুমি তেমন ,ঠিক মেঘে ঢাকা আকাশে সূর্য যেমন !
প্রবাহবিহীন বাতাসেও অক্সিজেন যেমন তুমি ঠিক তেমন।
দৃষ্টির সীমায়ও ওরা বাঁধতে পারেনি তোমায় !
নিঃসীমায় কিভাবে বাঁধবে ?
তাই মেঘের আড়ালের সূর্যটা রয়ে যায় ওদের অগোচরে !
অক্সিজেন কি বুঝে না বলে ওরা প্রবাহিত বাতাস খুঁজে !
ওরা অন্ধ , মুক ও বধির !
তাই ওদের চোখে তুমি মৃত !
কিংবা হয়নি তোমার জন্ম !!
মাসুদ রানা তরুন ।।
১৬ই শাবান ১৪৪১।