সূরা আত্ তালাক্ব, সূরা নং ৬৫, আয়াত নং ১-৩।
হে নবী! (তুমি তোমার উম্মতকে বলে দাও,) “তোমরা যদি তোমাদের স্ত্রীদেরকে তালাক দিতে ইচ্ছা পোষণ করো তাহলে তাদেরকে তাদের ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেখে [=হায়েজের রক্ত থেকে পবিত্র দিনগুলোতে তাদের সাথে সহবাস না করে থাকলে] তালাক দিও আর তোমরা তাদের ইদ্দতের [=তিনবার হায়েজের পর তিনবার পবিত্রতার সময়কালের] হিসাব রেখো। আল্লাহকে, যিনি তোমাদের প্রতিপালক, (তাঁর হুকুমের বিরোধীতা করাকে) ভয় করো। (যতদিন পর্যন্ত তিনটি পবিত্রতা পরিপূর্ণ না হয় ততদিন পর্যন্ত) তোমরা তাদেরকে তাদের বাসগৃহ হতে বের করে দিও না এবং তারাও যেন (কোন প্রয়োজন ছাড়া) বের না হয়। তবে যদি তারা প্রকাশ্য ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে যায় সেটা ভিন্ন কথা [=তখন তোমরা তাদেরকে বের করে দিতে পারো]। এগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত সীমারেখা। যে ব্যক্তি আল্লাহর সীমারেখা লংঘন করবে সে নিজের উপরই জুলুম করবে।” (হে নবী!) তুমি জান না, হয়তো আল্লাহ এরপর (তাদের জন্যে) নতুন কোন অবস্থা তৈরী করে দিবেন [=তালাকের পর পুনরায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসার সম্পর্ক সৃষ্টি করে দিবেন]।(১)
▶️অতঃপর তাদের [=তোমাদের তালাক প্রাপ্তা স্ত্রীদের] ইদ্দাত পূরণের কাল আসন্ন হলে তোমরা হয় ভালভাবে তাদেরকে (নিজেদের কাছে) রেখে দিবে নতুবা তাদের কাছ থেকে ভালভাবে পৃথক হয়ে যাবে। আর (এ তালাকে) তোমাদের মধ্য হতে দু’জন ন্যায় পরায়ণ লোককে সাক্ষী রাখবে। তোমরা (সাক্ষীদ্বয়) সাক্ষ্য প্রদানকে আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্যে প্রতিষ্ঠা করো। এর মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে বিদ্যমান আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাসী ব্যক্তিদেরকে উপদেশ দেয়া হচ্ছে। যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে চলে আল্লাহ তার জন্যে মুক্তির পথ বের করে দিবেন(২)
▶️এবং তাকে তার ধারণাতীত উৎস থেকে রিযিক দান করবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে (তার জন্য) তিঁনিই [=আল্লাহই] যথেষ্ট। আল্লাহ তাঁর ইচ্ছা পূরণ করবেনই, আল্লাহ সব কিছুর জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাপ রেখেছেন।(৩)