মাসআলা নং ১
আসল কারণ না জেনে, ঘটনার পর্যাপ্ত প্রমাণাদি না নিয়ে, নিশ্চিত না হয়ে কারো পিছনে কোন মন্তব্য করা হারাম কাজ। এতে সেই মুসলমান দাবি না ছাড়লে ক্বিয়ামতের দিন গিবতকারীর পরিণাম হবে জাহান্নাম।
মাসআলা নং ২
এমন কোন কথা ও কাজ যা মুসলমানদের মধ্যে ইসলাম ও ইমামতের ব্যাপারে হতাশা সৃষ্টি করে, তা বলা বা করা হারাম।
মাসআলা নং ৩
স্ত্রী অথবা স্বামীর সাথে অন্তরঙ্গ সময়ের কোন কথা বা কাজের বর্ণনা অন্যদের কাছে ব্যক্ত করা হারাম।
মাসআলা নং ৪
মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য বিনষ্টকারী যে কোন কথা ও কাজ প্রকাশ্যভাবে বর্ণনা ও সম্পাদন করা স্পষ্ট হারাম।
মাসআলা নং ৫
কোন মুসলমানের বিরোদ্ধে যে কোন ধরনের অপবাদ দেয়া কবিরা গুনাহ। আর সেই অপবাদের বিষয়টি প্রচার করা আরো বড় গুনাহ।
মাসআলা নং ৬
ধারনা করে কোন মুমিনের ব্যাপারে নেতিবাচক কিছু মাথায় রাখা অশোভনীয় আর সেই ধারনার উপর ভিত্তি করে সেই বিষয়ে অন্য কারো সাথে আলাপ করা সম্পুর্ণ হারাম। এতে করে সমাজে অশোভনীয়, অবৈধ ও হারাম কাজের প্রসার ঘটে।
মাসআলা নং ৭
কোন মুসলমান ব্যক্তির ব্যক্তিগত ক্রটি সে সমাজের মানুষের কাছে লুকিয়ে রেখেছে বা কেউ জানে না যে, তার এই ক্রটি আছে, তার এহেন ক্রটি সমাজ ও রাষ্ট্রকে কুলষিতও করছে না, এহেন অবস্থায় সেই ব্যক্তির পিছনে লোক সমক্ষে তার ক্রটি প্রকাশ করে দেয়া বা অন্য কোন লোকজনদেরকে জানিয়ে দেয়া একটি মহাঅন্যায় কাজ, যার নাম ইসলামী পরিভাষায় বলা হয় গিবত। গিবত করা মহাপাপ, যা নিজের মরা ভাইয়ের গোস্ত খাওয়ার সমতুল্য। এটি একটি কবিরা গুনাহ। এর কারণে গিবতকৃত ব্যক্তি সমাজে বসবাস করা সত্তে¡ও সে হয়ে যায় মৃত। সেই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়নি, বরং তার ব্যক্তিত্বকে হত্যা করা হয়েছে। এ কাজটি ইসলামী শিষ্টাচার শাস্ত্রে মানুষ হত্যার চেয়েও বড় পাপ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
মাসআলা নং ৮
যদি কোন মুসলমান তার মৃত্যুর পূর্বে তার কোন অঙ্গ দান করার ব্যাপারে অসিয়ত করে, তাহলে তার এই কাজটি জায়েয বলে গণ্য হবে। আর এর ফলে মৃত ব্যক্তির ওয়ারিসদের উপর সেই অসিয়ত বাস্তবায়িত করা ফরজ হয়ে যায়। তবে কোন উচ্চ পদস্থ আলেম বা কোন আলাহর অলীর ব্যাপারে এই বিষয়টি কার্যকরী করা যাবে না।
মাসআলা নং ৯
আযান ও ইক্বামত, জামায়াত অথবা ফুরাদা, কোন নামাজের জন্যেই ফরজ নয়। মূলত: আযান ও ইক্বামত নামাজের অংশ নয়। জামায়াত ও ফুরাদা উভয় নামাজের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ সকলের জন্যে আযান ও ইক্বামত একটি মুস্তাহাব ও ঐচ্ছিক সওয়াবের কাজ। তবে বক্র দিলের পুরুষ মানুষদের গোমরাহীর ভয়ে নারীদের উচ্চ কন্ঠে ও প্রকাশ্যে আযান ও ইক্বামত থেকে বিরত রাখা হয়। তাই, এ ধরনের সামাজিক ফাসাদের ভয় না থাকলে তাদের নিজ গৃহে ও ক্ষীণ কন্ঠে আযান ও ইক্বামতে কোন আপত্তি নেই।
মাসআলা নং ১০
“আস সালাতু খাইরুম মিনান নাউম”- আযান ও ইক্বামতের অংশ নয়। এটা রাসূলুলাহ(সা.)-এর ওফাতের অনেক দিন পর মদীনার শাষক জনাব ওমর বিন খাত্তাবের নির্দেশে ফজরের আযানে যোগ করা হয়। তাই, আযানে এটা পড়া স্পষ্ট বিদআত।
মাসআলা নং ১১
আযান ও ইক্বামত দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের জন্যে মুস্তাহাব হলেও কোন নফল নামাজের আগে আযান ও ইক্বামত দেয়া বিদআত ও গোমরাহীর সমতুল্য।
মাসআলা নং ১২
আযান ও ইক্বামত, জামায়াত অথবা ফুরাদা কোন নামাজের জন্যেই ফরজ নয়। মূলত আযান ও ইক্বামত নামাজের অংশ নয়। জামায়াত ও ফুরাদা উভয় নামাজের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ সকলের জন্যে আযান ও ইক্বামত একটি মুস্তাহাব ও ঐচ্ছিক সাওয়াবের কাজ। তবে বক্র দিলের পুরুষ মানুষদের গোমরাহীর ভয়ে নারীদের উচ্চ কন্ঠে ও প্রকাশ্যে আযান ও ইক্বামত থেকে বিরত রাখা হয়। তাই এ ধরনের সামাজিক ফাসাদের ভয় না থাকলে তাদের নিজগৃহে ও ক্ষীণ কন্ঠে আযান ও ইক্বামতে কোন আপত্তি নেই।
মাসআলামাসআলা নং ১৩
”আস সালাতু খাইরুম মিনান নাউম”- আযান ও ইক্বামতের অংশ নয়। এটা রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর উফাতের অনেকদিন পর মদিনার শাষক জনাব উমর বিন খাত্তাবের নির্দেশে ফজরের আজানে যোগ করা হয়। তাই আযানে এটা পড়া স্পষ্ট বিদআত।
মাসআলা নং ১৪
আযান ও ইক্বামত দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের জন্যে মুস্তাহাব হলেও কোন নফল নামাজের আগে আযান ও ইক্বামত দেয়া বিদআত ও গোমরাহীর সমতূল্য।
মাসআলা নং ১৫
যদি কোন মুসলমান তার মৃত্যুর পূর্বে তার কোন অঙ্গ দান করার ব্যাপারে অসিয়ত করে, তাহলে তার এই কাজটি জায়েয বলে গণ্য হবে। আর এর ফলে মৃত ব্যক্তির ওয়ারিসদের উপর সেই অসিয়ত বাস্তবায়িত করা ফরজ হয়ে যায়। তবে কোন উচ্চ পদস্থ আলেম বা কোন আল্লাহর অলীর ব্যাপারে এই বিষয়টি কার্য়কর করা যাবে না।