💊👳 সুস্থ ও ধার্মিক প্রজন্ম উপহার দেয়ার লক্ষ্যে একজন গর্ভবতী মা-র প্রয়োজনীয় কিছু 🤲আমল নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
🌷১। প্রত্যহ অন্তঃতপক্ষে ১৪০ বার দরুদ পড়া।
🌷২। যামানার ইমামের সুস্থতা স্থায়ীর লক্ষ্যে পুরো গর্ভকালীন সময়ে অন্তঃতপক্ষে এক খতম কোরআন তিলাওয়াত করা।
🌷৩। চার মাসের পূর্ব পর্যন্ত প্রতিবার স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক স্থাপনের পূর্বে সূরা আন্বিয়ার ৮৭ নং আয়াত তিলাওয়াত করা।
وَذَا النُّونِ إِذ ذَّهَبَ مُغَاضِبًا فَظَنَّ أَن لَّن نَّقْدِرَ عَلَيْهِ فَنَادَى فِي الظُّلُمَاتِ أَن لَّا إِلَهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
🌷৪। গর্ভবতী মহিলার চার মাস পর থেকে প্রতিদিন সে নিজে তার স্বামীকে নিয়ে কাবামূখী হয়ে আয়াতুল কুরসী তিলাওয়াত করবে।
🌷৫। স্ত্রীর গর্ভকালীন সময়ে প্রতি মাসে স্বামী তার স্ত্রীর ডান পাশে হাত রেখে সূরা আল ক্বাদর সাত বার তিলাওয়াত করবে।
🌷৬। গর্ভবতী মহিলা প্রতিদিন ৭০ বার ইস্তিগফার করবে। অর্থাৎ “আস্তাগ্-ফিরুল্লাহি ওয়া আতুবু ইলাইহি” পাঠ করবে।
🌷৭। গর্ভবতী মা যতটুকু সম্ভব পাক পবিত্র অবস্থায় থাকবে এবং সর্বাবস্থায় ওযু সহকারে থাকবে। বেহুদা ও গুনাহের কথা-বার্তা থেকে বিরত থাকবে।
🌷৮। গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মা, হর হামেশা ও সাধ্যমত কোরআন তিলাওয়াতে নিমগ্ন থাকবে।
🌷৯। যত সম্ভব ফরজ নামাজ ছাড়াও নফল ইবাদতের দিকে নজর দিবে।
🌷১০। প্রত্যহ সদকা আদায় করবে এবং এর সাওয়াব যামানার ইমাম হযরত মাহদী আলাইহিস সালামের মা জনাবা নারগীস খাতুনের প্রতি হাদিয়া পেশ করা।
🌷১১। প্রতিদিন একবার করে সূরা ইয়সিন, প্রতিরাতে একবার সূরা আল ওয়াক্বিয়া ও সূরা আল ইখলাস অন্তঃতপক্ষে দশবার করে তিলাওয়াত করা। জুম্মাবারের পূর্ব রাতে সূরা সদ (সূরা নং ৩৮) তিলাওয়াত করা।
🌷১২। মুস্তাহাব গোসল, বিশেষ করে জুম্মাবারের গোসল করা যেনো না ভুলে।
🌷১৩। গর্ভের ভ্রূণ পাঁচ মাসের পর থেকে শব্দ শ্রবন করতে পারে। এ কারণে, পাঁচ মাসের পর থেকে কোরআন তিলাওয়াত শিশুর উপর জোড়ালো প্রভাব বিস্তার করে।
🌷১৪। হালাল ও পবিত্র খাবার-এর ব্যাপারে বিশেষ মনযোগ অর্পন করা। আর সন্দেজনক যে কোন খাবারের ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে।
🌷১৫। দুধ পান করা। অন্তঃপক্ষে এক লিটার। এ ব্যাপারে বিভিন্ন হাদিস ইমাম হাসান মুজতাবা ও ইমাম রিদ্বা আলাইহিমাস সালামের কাছে থেকে বর্ণিত হয়েছে।
🌷১৬। দেশীয় ও ঋতুভিত্তিক ফল ফলাদি বেশী করে এবং নিয়মিত ভক্ষণ করা। যে ফলের মধ্যে বেশী পানি থাকে সেই ফল খাবারের ব্যাপারে তাগিদ এসেছে।
🌷১৭। গর্ভধারনের পাঁচ মাসের পর থেকে খাবারে মেথি-এর ব্যবহার নবজাত শিশুর দেহের লোমের সুস্থতার উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে।
🌷১৮। গর্ভবতী মা-র আঙ্গুর ও আপেলের রস পান করার ফলে শিশুর বুদ্ধি ও মানুসিক সুস্থতা বৃদ্ধি করে।
🌷১৯। যথাসম্ভব গর্ভধারনের পাঁচ মাসের মধ্যেই শিশুর সার্বিক সুস্থতা ও নিরাপত্তার জন্যে একটি পশু কুরবানী দেয়া।
↯↻↯↻↯