এ বিশ্ব
বিশ্ব-সৃষ্টি কতই না সুন্দর! মনোরম সব কিছু। নিখুঁত ভাবে সাজানো রয়েছে এ জগতের প্রতিটি বস্তু। নভোমন্ডল,গ্রহসমূহ,নক্ষত্ররাজি,বায়ুমন্ডল,নদ-নদী,সাগর-মহাসাগর,বন-জঙ্গল ও পাহাড়-পর্বত সব কিছুই এক নির্দিষ্ট পথে,নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিভ্রমণ ও পরিচালিত হচ্ছে।
পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণীর বস্তুনিষ্ঠ সত্তা নিয়ে পর্যালোচনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে স্পষ্টত-ই আমাদের কাছে সে বস্তুর অন্তর্নিহিত সব সৃষ্টি নিপূণতা ও রহস্য উদ্ঘাটন হয়ে যায়। তবু এখনো বহু প্রাণী সমুদ্রের তলদেশে অজানা রয়ে গেছে যা বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে অক্ষম এখনও অথবা প্রাপ্ত প্রাণীর গুপ্ত নিপূণতা সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে ওয়াকেবহাল হতে আরো প্রচুর সময়ের প্রয়োজন বলে মনে করেন।
এ বস্তজগতের প্রতিটি প্রাণী ও বস্তু রহস্যময়। এর সৃষ্টি ধারা,আকৃতি ধারণ,জন্ম লাভ ও বৃদ্ধির সূচারু কার্যপ্রণালী সমস্ত কিছুই আমাদের বুদ্ধির গভীরে বিশদভাবে নাড়া দেয় এবং চিন্তাশীলদের চিন্তায় তাক লাগিয়ে দেয়।
সূর্য একটি গোলাকার অগ্নিকুন্ড যা অনাদিকাল থেকে আলো ও তাপ দিয়ে পৃথিবীর জীব ও জগতকে প্রভাবিত করছে। সমুদ্রের ঢেউ,নদীর জোয়ার ভাটা ইত্যাদি সকল কিছু এমনকি মানুষের প্রতিটি স্পর্শকাতর অঙ্গ-প্রতঙ্গ পর্যন্ত সূর্য দ্বারা প্রভাবিত। চন্দ্র আলো বিকিরণ করে রাত্রের অন্ধকারে। পাহাড়-পর্বত ভূ-পৃষ্ঠে খুঁটির কাজ করছে। গাছপালা,তরুলতা,বন-জঙ্গল ইত্যাদি পৃথিবীতে বায়ূ দূষণ প্রতিরোধ করে চলছে। আবার মানুষ ছাড়াও ভূপৃষ্ঠে ও ভূগর্ভে,সাগরের তলদেশে ও উপরিভাগে রয়েছে নান প্রকারের আশ্চর্য প্রাণী। ভূ-পৃষ্ঠের মৃত্তিকা এবং এর রংয়ের প্রকারভেদও প্রচুর। নদ-নদীও সাগরেও রয়েছে কত প্রকার স্বাদের জল। আর বিশ্ব প্রকৃতির যা কিছু নিয়ে আমরা আলোচনা করছি তা অন্যান্য গ্রহসমূহের তুলনায় অত্যন্ত ক্ষুদ্র যা পৃথিবী নামে পরিচিত। এরই মধ্যে সবচেয়ে আশ্চর্য সৃষ্টি হচ্ছে মানুষ। মানব দেহের প্রতিটি অংশই বিষ্ময়কর। আমাদের মস্তিষ্কের ব্রেন সম্বন্ধে সামান্য বিজ্ঞান ভিত্তিক পর্যালোচনা একজন মানুষকে নির্বাক করে দিতে সক্ষম। মানব মস্তিস্কে অবস্থিত স্মৃতিশক্তির বিষয়টা আরো বিষ্ময়কার। মানুষের দেহাভ্যন্তরে হৃৎপিন্ড,কিডনী,পাকস্থলী ……….. সব কিছুই এক বিশাল জগতের অবতারণা।
এ পৃথিবীর প্রতিটি সৃষ্টিতে আমরা যে নিয়ম-শৃঙ্খলা ও সুসংহতি প্রত্যক্ষ করি তা সাধারণ ও বুদ্ধিজীবি তথা এ উভয় স্তরের মানুষের বিবেক-বিচক্ষণতায় কৌতুহলী জিজ্ঞাসার উদ্রেক ঘটাতে পরিপূর্ণ সহায়ক।
পৃথিবী গতিশীল। পরিবর্তনশীল ও ঘূর্ণায়মান। পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে প্রতিনিয়ত আবর্তিত হচ্ছে। আর এ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রতিটি বস্তু ও প্রাণী নির্দিষ্ট নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে গতিশীল অবস্থায় রয়েছে। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানীরা তাদের স্ব স্ব গ্রন্থে প্রকৃতির এ সমস্ত দিকগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। এতসব কিছুর মাঝে আমরা যে বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারি তা হল,বিশ্ব প্রকৃতির সর্বস্তরে এক প্রকার শৃঙ্খলা,লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও নিয়মনীতি বিরাজমান। এ ব্যাপারে আপনাদের সামনে সৃষ্টিজগতের মাত্র দু’টি উপমার সংক্ষিপ্ত আলোচনা পেশ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছি।
সৃষ্টিজগতের বিষ্ময়কর উপমা:
বাদুড় পাখিঃ
কখনও কখনও অন্ধকার রাত্রে একটা ব্যতিক্রমধর্মী প্রাণীর আনাগোনা দৃষ্টিগোচর হয়। আমরা দেখতে পাই রাত্রের গভীর অন্ধকারের মধ্যেও এ পাখি সাহসিকতার সাথে খাবারের সন্ধানে এদিক সেদিক ছুটে বেড়ায়। ঘুট ঘুটে অন্ধকার। রাত্রে যখন কোন কিছুই দৃষ্টিগোচন হয় না তখন এরই মাঝে নির্ভয়ে উড়ে বেড়ায় একটি ছোট্ট পাখি। রাতেই তার বিচরণ সময়। খাবার যোগাড় করে সে রাত্রেই। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণীর শিকার এ গভীর ও ঘন অন্ধকারেই করে থাকে সে। এ ছোট্ট পাখিটির নাম বাঁদুড়। প্রকৃতিতে এটি একটি বিষ্ময়কর প্রাণী। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী আশ্চর্য হলো ঘুট ঘুটে অন্ধকার রাত্রিতে এর বিচরণ।
এ দ্রুতগতি সম্পন্ন ক্ষুদ্র পাখি রাতের আঁধারে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয় না। এটা কতই না বিষ্ময়কর! এ ব্যাপারে যতই পর্যবেক্ষণ ও অধ্যায়ন করা হয় ততই এর অন্তর্নিহিত ও গুপ্ত রহস্য আমাদের সামনে আরো অধিক পরিমাণে উদ্ঘাটন হয়ে পড়ে। দিবালোকে একটা দ্রুত উড্ডয়নশীল পাখি যে ভাবে নির্ভয়ে আকাশে উড়ে বেড়ায় এ ক্ষুদ্র বাদুড় পাখিটাও সেভাবে অন্ধকার রাতে নির্ভয়ে আকাশে উড়ে বেড়াতে সক্ষম।
আমরা জানি এ পাখির কোন চোখ নেই। তবুও রাতের অন্ধকার তার জন্যে সমস্যাই নয়। যদি তার উড্ডয়নের পথে প্রতিবন্ধকতার ব্যাপারে কোন প্রকার তথ্য সংগ্রহের মাধ্যম না থাকে তাহলে কিভাবে সে এত অকুতোভয়? কোথাও তো আঘাত লেগে গতিরোধ হচ্ছে না?
দেখা গেছে যদি এ পাখিটাকে কোন আঁকাবাঁকা ও অন্ধকার সুড়ঙ্গ পথে ছেড়ে দেয়া হয় আর সুড়ঙ্গ পথের দেয়ালগুলোতে কালি মেখে রাখা হয় তারপরও এ বিষ্ময়কার প্রাণীটি খুব সুন্দরভাবে কোন রকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অবস্থায় সুড়ঙ্গের অন্য পথ দিয়ে বেরিয়ে আসতে সক্ষম। বাদুড় পাখির মধ্যকার এ বিষ্ময়কর অবস্থার সাথে আধুনিক বিশ্বের আবিষ্কার রাডার১ নামক যন্ত্রের তুলনা করা যেতে পারে। বাঁদুড় পাখি সৃষ্টিকর্তার এক আশ্চর্য সৃষ্টি। এর অন্তর্নিহিত ব্যবস্থাপনার গভীরতা উপলব্ধির জন্যে রাডার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা থাকা প্রয়োজন। সাধারণত: পদার্থ বিদ্যায় শব্দের অধ্যায়ে ‘মহাশব্দ বা অতিশব্দ’ সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়ে থাকে। এ মহাশব্দের তরঙ্গমালা এত দ্রুতগতিসম্পন্ন ও দীর্ঘ যে মানুষের দ্বারা কোন ক্রমে তা কর্ণগোচন সম্ভব নয়। এটা পরীক্ষিত সত্য যে,যখন কোন দেয়ালে ছুড়ে মারা হয় তখন তা ঠিক নিক্ষেপের গতিতেই পূর্বস্থানে ফিরে আসতে বাধ্য। যখন আমরা কোন পাহাড়ের নিকট গিয়ে চিৎকার করি তখন এর ধ্বনি একট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পূর্বস্থানের দিকে প্রত্যাবর্তন করে। তদ্রুপ কোন মহাশব্দের তরঙ্গ একটা নির্দিষ্ট স্থান থেকে নিক্ষেপ করা হলে তা নির্দিষ্ট গতিতে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। যখনই কোন কিছুতে বাধাগ্রস্থ’ হয় তখনই তা পূর্বের অবস্থানের দিকে ফিরে আসে। সচরাচর যুদ্ধের সময় শত্রু বিমানকে চিহ্নিত করার জন্যে এ ধরণের রাডার থেকে একটা বিশেষ শব্দ বিমানের উদ্দেশ্য প্রেরণ করা হয়ে থাকে। আর যখনই তা শত্রু বিমানে আঘাত প্রাপ্ত হয় তখনই একটা নির্দিষ্ট গতিতে প্রত্যাবর্তন করে রাডার যন্ত্রে। এরই মাধ্যমে শত্রু বিমানের গতিবেগ,দুরত্ব ইত্যাদি নির্ণয় করা হয়ে থাকে।
বিজ্ঞানীরা বলেন,বাদুড় পাখির দেহে রাডারের ন্যায় একটা যন্ত্র বিদ্যমান। তারা পরীক্ষা করে দেখেছেন যদি বাদুড় পাখিকে একটা শুন্য কক্ষে ছেড়ে দেয়া হয় আর সেখানে মহাশব্দ ধারণ ও তা সাধারণ শব্দের তরঙ্গে পরিণত করার ক্ষমতাসম্পন্ন কোন মাইক্রোফোন রাখা হয় তাহলে পরিষ্কারভাবে রাডার থেকে নির্গত মহাশব্দ শ্রবণ সম্ভবপর হয়ে উঠবে। প্রতি সেকেন্ডে ত্রিশ থেকে ষাট বার মহাশব্দের তরঙ্গ বাদুড় পাখির নিকট থেকে শোনা যায় বলে তারা ধারনা করে থাকেন।
আরো আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে যে বাদুড় তার বাকযন্ত্র থেকে শব্দ নির্গত করে তা নাসিকার মাধ্যমে বাইরে ছেড়ে দেয়। আর তা কোন স্থানে বাধাগ্রস্থ হয়ে ফিরে আসে কর্ণে। বাদুড়ের কর্ণ নির্গত তরঙ্গরাজীর ধারক। এ পাখি তার কর্ণের মাধ্যমেই উপলব্ধি করতে পারে কতটুকু দুরত্বে বাধাগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণেই এ ক্ষুদ্র প্রাণী রাতের অন্ধকারে শিকারের খোঁজে নির্ভয়ে ঘুরে বেড়াতে পারে। কি অবাক সব ক্রিয়া-কান্ড! এতসব জটিল ব্যবস্থাপনা কি কোন একজন বুদ্ধিমান ও সর্বজ্ঞানী ব্যবস্থাপক ব্যতীত অন্য কারো দ্বারা সম্ভব? আর কোন বুদ্ধিহীন ব্যবস্থাপক তো এ ব্যাপারে কোন ধারণাই রাখতে পারে না। সৃষ্টি জগতের এ বিশাল নৈপূণ্য ক্ষমতা ও জটিলতা দর্শনে এ অবধি অনেক বিজ্ঞানী এমন কোন একক মহাস্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাস স্থাপন করেছেন,যিনি সকল প্রকৃতির উর্দ্ধে।
পুষ্প ও কীট পতঙ্গঃ
প্রাকৃতিক জগতে আরেকটি অত্যাশ্চর্য বিষয় হচ্ছে পুষ্প ও কীট পতঙ্গের মাঝে বন্ধুত্ব। বসন্তকালের শেষের দিক যখন ধীরে ধীরে বাতাস গরম হতে শুরু করে তখন ফলের বাগান গুলোতে বিভিন্ন প্রকার কীট পতঙ্গের আনাগোনা দেখা যায়। ছোট-বড় পতঙ্গ,প্রজাপতি,মৌমাছি ইত্যাদি কত রকমের প্রাণী। এধরণের প্রাণীর কাজ হলো এরা কোন এক গাছের ফুলের উপর বসে রস আহরণ করে অন্য গাছের পাপড়ির উপর গিয়ে বসে। ওরা পুঃলিঙ্গের গাছের পাপড়ি থেকে পরাগরেণু বহন করে নিয়ে যায় স্ত্রী লিঙ্গের পুষ্পের উপর। এভাবে বৃক্ষরাজীর মাঝে সঙ্গম ক্রিয়া সম্পন্ন হয়। পরিণতিতে বৃক্ষরাজী ফুলে-ফলে ভরপুর হয়ে উঠে।
এ সময়ে বিভিন্ন প্রকার কীট-পতঙ্গের আনাগোনা,এক ডাল থেকে অন্য ডালে বিচরণ,গাছে গাছে উড়ে বেড়ানো ইত্যাদি দেখে মনে হয় কোন এক বিশেষ শক্তি তাদেরকে ঠিক একটি উৎপাদনশীল শিল্প কারখানার শ্রমিকদের ন্যায় পরিচালনা করছে। ফলে সকলে নিজ কর্মে পরিপূর্ণ আত্মনিয়োগ করে আছে। কাজের কোন ফাঁকি নেই। পরিশ্রম করছে সবাই একযোগে। যথাযথভাবে সকলে স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। কতই না বিষ্ময়কর এ বিষয়টি !
কখনো কি ভেবে দেখেছি,যেখানে বৃক্ষ,তরুলতার নড়াচড়া ও স্থান পরিবর্তন করার ক্ষমতা নেই সেখানে ওগুলো কি ভাবে পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হয় আর কি পদ্ধতিতে তাদের সঙ্গমক্রিয়া সম্পন্ন হয়? কিভাবে বৃক্ষরাজীর মাঝে পুরুষ পরাগরেণু ও স্ত্রী ডিম্বানুর মিলন ঘঠে? অনেক ক্ষেত্রে এ অতীব গুরুত্বপূর্ণ কাজটির দায়িত্ব কীট পতঙ্গের উপর ন্যস্ত। আবার কখনো বায়ু এ মিলন ক্রিয়াতে সাহায্য করে থাকে। যখন কোন ব্যক্তি কীট-পতঙ্গ ও বৃক্ষরাজীর মধ্যকার এ বিষ্ময়কর ঘটনাবলী অধ্যয়ন করে তখন স্বভাবতঃই তার মনে প্রশ্নের উদেয় হয়,কে কীটপতঙ্গ ও বৃক্ষদের মাঝে এ অপুরম ও মজবুত বন্ধুত্ব স্থাপন করে দিয়েছে?
আমাদের চারপার্শ্বে রয়েছে এ ধরণের বহু আশ্চর্য ঘটনা যা বিশ্বকে দান করে এক সাবলীল সৌন্দর্য ও বিশেষ নিয়ম-শৃঙ্খলা। বিশ্বজগত চমৎকার ও বিষ্ময়কর সৃষ্টিতে ভরপুর। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের যে কোন সৃষ্টিকে নিয়ে যদি আমরা সামান্য পরিমাণ অধ্যয়ন,গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ করি তাহলে দেখতে পাব বহু অত্যাশ্চর্য ক্রিয়া-কান্ড,সুনিপুণ কলা-কৌশল ও ব্যবস্থাপনা। এ প্রসঙ্গে কোরআন উল্লেখ করছে :
يُنبِتُ لَكُم بِهِ الزَّرْعَ وَالزَّيْتُونَ وَالنَّخِيلَ وَالْأَعْنَابَ وَمِن كُلِّ الثَّمَرَاتِ ۗ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
অর্থাৎ : (আল্লাহ্) তোমাদের জন্যে ওটার (বৃষ্টির) মাধ্যমে কৃষিকার্য উৎপাদন এবং জলপাই,খেজুর ও আঙ্গুর ইত্যাদি সব ধরণের ফলাদি বৃক্ষ সমুদগত করেন,নিশ্চয়ই এগুলোর মধ্যে চিন্তাশীলদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।(আন্ নাহল,আঃ নং-১১)
আল্লাহ্ অন্যত্র বলেন-
إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاخْتِلَافِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَالْفُلْكِ الَّتِي تَجْرِي فِي الْبَحْرِ بِمَا يَنفَعُ النَّاسَ وَمَا أَنزَلَ اللَّـهُ مِنَ السَّمَاءِ مِن مَّاءٍ فَأَحْيَا بِهِ الْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا وَبَثَّ فِيهَا مِن كُلِّ دَابَّةٍ وَتَصْرِيفِ الرِّيَاحِ وَالسَّحَابِ الْمُسَخَّرِ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَعْقِلُونَ
অর্থাৎ : নিশ্চয়ই আসমানসমূহ ও যমীন এবং দিবা-রাত্রির পালা বদল এবং মানুষের উপকারার্থে চলন্ত জাহাজসমূহ এবং আল্লাহ্ কর্তৃক আসমান থেকে বারিবর্ষন যার ফলে মৃত যমীন পুনরায় প্রাণ ফিরে পায় এবং যমীনের বুকে চতুষ্পদ জন্তুর উত্থান আর বায়ুরাশির গতি পরিবর্তন এবং আসমান ও যমীনের মাঝখানে সংরক্ষিত ও করতলগত মেঘ খণ্ড চিন্তাশীলদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।(আল্ বাক্বারা,আঃ নং-১৬৪।)