এক মহাকালের আবাহন!
সেদিন উঠেছিল সামারায় এক নতুন সূর্য ,
ভোরের আলোয় উদ্ভাসিত ছিল প্রকৃতি ,
চণ্চল হাওয়ায় মাতোয়ারা ভ্রমরে ভ্রমরে গুন্জন ,
স্রষ্টার শ্রেষ্টতম সৃষ্টির সেই আবির্ভাব ,
প্রিয়তম হে ! তোমার পবিত্র জন্মদিন!
তোমার দ্যূতির দ্যোতনায় পাগল পারা ধরা ,
অস্থির ধ্রবতারার পুলকের নাচন !
মহাপ্রভুর এ কোন ইশারায় !
ধুমকেতুর মতো হঠাৎ তুমি ,
সে কোথায় হারালে ?
মানুষরুপি নর পিশাচের বিষ বাষ্পের আড়ালে
কোন হিমের ধুম্র কুন্ডলীতে!
এক মহাকালের অন্তরালে!
ফের নিষ্চিত সাঁজোয়া বহর যানে ফিরবে বলে,
অধঃপতিত জাতিকে তোমার কিস্তিতে আরোহন কবরে বলে!
তাই বসে আছি !
বসে আছি প্রতিটি প্রহর গুনে গুনে !
স্তিমিত হতে যাওয়া রাঙা প্রদিপ,
নিস্পেষিত হতে চলা মানবতা ,
পবিত্র ইসলামের বুকে এফোঁড় ওফোঁড় করা বিষাক্ত ছুরির
বিদ্ধতা,
হাজারো ভাগে লন্ডভন্ড করা লা শারিকের পতাকা ,
ধূসর মরুতে জেগে জেগে বিস্ফোরিত হন্তাকারিদের
আস্ফালন!
ক্ষণে ক্ষণে তাজা রক্তের বাণ ,
অস্ফুট শিশুদের কচি রক্তাক্ত মুখের দৃষ্টি
তন্দ্রাহারা হয়ে অসহায়ত্বে তীব্র যাতনা ,
অনাহারে কংকালসার মলিন দেহখানি এলিয়ে পড়া ,
ধূলার ধুলোয় মিশে গড়াগড়ি করা তীব্র হাহাকারে!
কত যুগের , কত কালের সে প্রতিধ্বনিত কান্নাগুলো কানে লাগে ,চোখে ভাসে বেদনার্ত ছোঁরা হয়ে।
সেসব নির্যাতনের ছাপ ও গ্লানি নিয়ে বয়ে যাওয়া রক্তাক্ত তোমার উম্মাহ্ ।
খুঁজে ফেরে তোমায় !
গুনে গুনে সব দায় ঘুচাবে বলে !
নির্মতার সব শোধ নিবে বলে !
আশা জাগানিয়া হয়ে আজো বসে আছে
বিরহের তীর ঘেষে ,সাঁজোয়া বহরের পাশে !
তোমার মিলন মোহনায় !
তোমার পবিত্র স্বরে গগন ফাঁটা আবাহনের ডাক ,
তন্ত্রে তন্ত্রে যোগাবে বাসনার তীব্র নিনাদ !
মন মন্দিরে চেতনা দীপ্ত হয়ে বাজবে প্রলয়ের শ্লোগান !
শকুনির নাগপাশ উপড়ে ফেলে উড্ডীন হবে লা শারিকের
বিজয় নিশান !
তাই আজ বিজয়ের বন্ধনায় বাজিছে বাঁশি
নির্যাতিত জনতার আকন্ঠ স্বর ,
তোমার আবাহনের প্রতিটি ধ্বনিতে প্রতিধ্বনিত হয়ে
প্রহর গুনছে সে ক্ষণের ,
সে আবাহনের !
তুমি এসো !
তুমি এসো হে প্রিয় !!
মাসুদ রানা তরুন ।।
১৩ই শাবান ১৪৪১।