🌹 ঈদের নামাজ সংক্রান্ত কিছু মাসআলা🌹
✅মাসআলাঃ
দুই ঈদের নামাজ নবীজীর আহলে বাইতের মাসুম ইমামের বৃহৎ অদৃশ্যকালে ফরজ নয়। তবে যদি কোন এলাকায় কোন নায়েবে ইমামের মাধ্যমে ঈদের জামাত কায়েম হয়ে থাকে অথবা কোন নায়েবে ইমামের পক্ষ থেকে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে তাহলে সতর্কতামূলক ফয়সালা হলো যে, সামর্থবান ব্যক্তি যেন সেই জামাতে শরীক হয়ে যামানার ইমামের হাতকে শক্তিশালী করে।
✅মাসআলাঃ
দুই ঈদের নামাজ ফুরাদাও আদায় করা যায়। অর্থাৎ জামাতের বাইরে একা একাও পড়া যায়।
✅মাসআলাঃ
দুই ঈদের নামাজ দুই দুই রাকাত করে সম্পন্ন করতে হবে। প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহার পর যে কোন সূরা পাঠ করে পাঁচটি তকবির আর প্রতিটি তকবিরের পর একটি করে কুনুত এবং অবশেষে অপর একটি তকবির দিয়ে রুকুতে গমন করা কর্তব্য। দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা তিলাওয়াতের পর চারটি তকবিরের প্রতিটি তকবিরের পর কুনুত করে পঞ্চম তকবির দিয়ে রুকুতে গমন করা উচিত। অর্থাৎ মোট ১১ তকবিরে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে। অবশেষে দুই সেজদা ও তাশাহহুদ, দরুদ ও সালাম পাঠ করে নামাজ সম্পন্ন করতে হবে।
✅এই নামাজ মহিলা পুরুষ উভয়েই জামাতে অথবা ফুরাদা আদায় করতে পারে।
🔊 ঈদুল আযহার তকবীরঃ
اَللهُ اَكْبَرُ، اَللهُ اَكْبَرُ، لا اِلـهَ اِلاَّ اللهُ وَ اللهُ اَكْبَرُ، اَللهُ اَكْبَرُ، و للهِِ الْحَمْدُ، اَللهُ اَكْبَرُ عَلىَ مَا هَدَانا. اَللهُ اَكْبَرُ عَلىَ مَا رَزَقَنَا مِنْ بَهِیْمَةِ الْاَنْعَامِ. وَ الْحَمْدُ لِلّهِ عَلىَ مَا أبْلاَنَا.
উচ্চারণঃ “আল্ল-হু আকবার। আল্ল-হু আকবার। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্ল-হু আকবার। আল্ল-হু আকবার। ওয়া লিল্লাহিল হামদ। আল্ল-হু আকবারু আ’লা মা হাদানা। আল্ল-হু আকবারু আ’লা মা রাযাক্বানা মিন বাহিমাতিল আনআ’ম। ওয়াল হামদু লিল্লাহি আ’লা মা আবলানা।”
ঈদের দিনের প্রতিটি ফরজ নামাজের পর এবং ঈদের নামাজের আগে ও পরে এই তকবীর ধ্বনি দেয়া নবীজীর সুন্নত।
↯↻↯↻↯