ঈদের নামাজ সংক্রান্ত কিছু মাসআলা

724

🌹 ঈদের নামাজ সংক্রান্ত কিছু মাসআলা🌹

✅মাসআলাঃ

দুই ঈদের নামাজ নবীজীর আহলে বাইতের মাসুম ইমামের বৃহৎ অদৃশ্যকালে ফরজ নয়। তবে যদি কোন এলাকায় কোন নায়েবে ইমামের মাধ্যমে ঈদের জামাত কায়েম হয়ে থাকে অথবা কোন নায়েবে ইমামের পক্ষ থেকে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে তাহলে সতর্কতামূলক ফয়সালা হলো যে, সামর্থবান ব্যক্তি যেন সেই জামাতে শরীক হয়ে যামানার ইমামের হাতকে শক্তিশালী করে।

✅মাসআলাঃ

দুই ঈদের নামাজ ফুরাদাও আদায় করা যায়। অর্থাৎ জামাতের বাইরে একা একাও পড়া যায়।

✅মাসআলাঃ

দুই ঈদের নামাজ দুই দুই রাকাত করে সম্পন্ন করতে হবে। প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহার পর যে কোন সূরা পাঠ করে পাঁচটি তকবির আর প্রতিটি তকবিরের পর একটি করে কুনুত এবং অবশেষে অপর একটি তকবির দিয়ে রুকুতে গমন করা কর্তব্য। দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা তিলাওয়াতের পর চারটি তকবিরের প্রতিটি তকবিরের পর কুনুত করে পঞ্চম তকবির দিয়ে রুকুতে গমন করা উচিত। অর্থাৎ মোট ১১ তকবিরে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে। অবশেষে দুই সেজদা ও তাশাহহুদ, দরুদ ও সালাম পাঠ করে নামাজ সম্পন্ন করতে হবে।

✅এই নামাজ মহিলা পুরুষ উভয়েই জামাতে অথবা ফুরাদা আদায় করতে পারে।

🔊 ঈদুল আযহার তকবীরঃ

اَللهُ اَكْبَرُ، اَللهُ اَكْبَرُ، لا اِلـهَ اِلاَّ اللهُ وَ اللهُ اَكْبَرُ، اَللهُ اَكْبَرُ، و للهِِ الْحَمْدُ، اَللهُ اَكْبَرُ عَلىَ مَا هَدَانا. اَللهُ اَكْبَرُ عَلىَ مَا رَزَقَنَا مِنْ بَهِیْمَةِ الْاَنْعَامِ. وَ الْحَمْدُ لِلّهِ عَلىَ مَا أبْلاَنَا.

উচ্চারণঃ “আল্ল-হু আকবার। আল্ল-হু আকবার। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্ল-হু আকবার। আল্ল-হু আকবার। ওয়া লিল্লাহিল হামদ। আল্ল-হু আকবারু আ’লা মা হাদানা। আল্ল-হু আকবারু আ’লা মা রাযাক্বানা মিন বাহিমাতিল আনআ’ম। ওয়াল হামদু লিল্লাহি আ’লা মা আবলানা।”

ঈদের দিনের প্রতিটি ফরজ নামাজের পর এবং ঈদের নামাজের আগে ও পরে এই তকবীর ধ্বনি দেয়া নবীজীর সুন্নত।

↯↻↯↻↯

🔊 ঈদের নামাজে কুনুতের দোয়াঃ👇

 
اَللّهُمَّ اَهْلَ الْکِبْرِیاَّءِ وَالْعَظَمَةِ وَاَهْلَ الْجُودِ وَالْجَبَرُوتِ وَاَهْلَ الْعَفْوِ وَالرَّحْمَةِ وَاَهْلَ التَّقْوى وَالْمَغْفِرَةِ اَسْئَلُکَ بِحَقِّ هذَا الْیَومِ الَّذى جَعَلْتَهُ لِلْمُسْلِمینَ عیداً وَلِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللّهُ عَلَیْهِ وَ الِهِ ذُخْراً وَ شَرَفاً وَ کرامتا وَمَزِیْداً اَنْ تُصَلِّىَ عَلى مُحَمَّدٍ وَ الِ مُحَمَّدٍ وَاَنْ تُدْخِلَنى فى کُلِّ خَیْرٍ اَدْخَلْتَ فیهِ مُحَمَّداً وَ الَ مُحَمَّدٍ وَاَنْ تُخْرِجَنى مِنْ کُلِّ سُوَّءٍ اَخْرَجْتَ مِنْهُ مُحَمَّداً وَ الَ مُحَمَّدٍ صَلَواتُکَ عَلَیْهِ وَعَلَیْهِمْ اَللّهُمَّ اِنّى اَسْئَلُکَ خَیْرَ ما سَئَلَکَ مِنْهُ عِبادُکَ الصّالِحُونَ وَاَعُوذُ بِکَ مِمَّا اسْتَعاذَ مِنْه ُعِبادُکَ الْمخلصون.
 
উচ্চারণঃ আল্ল-হুম্মা আহলাল কিবরিয়া-ই ওয়াল আযামাতি ওয়া আহলাল জুদি ওয়াল জাবারুতি ওয়া আহলাল আ’ফ-ইই ওয়ার রাহমাহ্। ওয়া আহলাত্ তাক্বওয়া ওয়াল মাগফিরাহ্। আস্-আলুকা বিহাক্বক্বি হাযাল ইয়াওম, আল্লাযি জাআ’লতুহু লিল্-মুসলিমিনা ঈদান ওয়া লি-মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি যুখরাও ওয়া শারাফাও ওয়া কারামাতাও ওয়া মাযিদা।আন্ তুসাল্লিয়া আ’লা মুহাম্মাদিও ওয়া আলে মুহাম্মাদ, ওয়া আন্ তুদখিলানী ফি কুল্লি খাইরিন্ আদখালতা ফিহি মুহাম্মাদাও ওয়া আলা মুহাম্মাদ, ওয়া আন্ তুখরিজানী মিন কুল্লি সুয়িন আখরাজতা মিনহু মুহাম্মাদাও ওয়া আলা মুহাম্মাদ, সালাওয়াতুকা আলাইহি ওয়া আলাইহিম। আল্ল-হুম্মা ইন্নি আস্-আলুকা খাইরা মা সাআলাকা মিনহু ইবাদুকাস্ সালিহুন, ওয়া আউযুবিকা মিম্মাসতাআ’যা মিনহু ইবাদুকাল মুখলাসিন।”
 
অর্থঃ “হে আল্লাহ! যে তুমি সকল বড়ত্ব ও মহত্বের অধিকারী, যে তুমি দান ও জাবারুতের অধিকারী, যে তুমি ক্ষমা ও দয়ার অধিকারী, যে তুমি তাক্বওয়া ও মাগফিরাতের অধিকারী। আমি আজকের এই দিনের উসিলায় তোমার কাছে কামনা করছি- যেদিন মুসলমানদের জন্যে ঈদ হিসেবে নির্ধারণ করেছো এবং মুহাম্মাদ ও আলে মুহাম্মাদের জন্যে নির্ধারণ করেছো সকল মঙ্গলের আধার, মর্যাদা, সম্মান ও প্রাচুর্য হিসেবে, তুমি মুহাম্মাদ ও আলে মুহাম্মাদের উপর দরুদ বর্ষণ করবে এবং আমাকে এমন সব মঙ্গল ও কল্যাণে প্রবেশ করাও যেখানে মুহাম্মাদ ও আলে মুহাম্মাদকে প্রবেশ করিয়েছো, আর সেসকল খারাবি ও অকল্যাণ থেকে আমাকে বের করে নিয়ে আসো যা থেকে মুহাম্মাদ ও আলে মুহাম্মাদকে বের করে নিয়ে এসেছো। তোমার দরুদ ও সালাওয়াত তাঁর (মুহাম্মাদ) উপর ও তাঁদের (আলে মুহাম্মাদ) উপর (বর্ষিত হোক)। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে কামনা করছি, এমন সব সর্বোত্তম বিষয়, যা তোমার নেককার সলেহ বান্দারা কামনা করেছেন এবং আমি তোমার কাছে আশ্রয় কামনা করছি এমন সব বিষয় থেকে যা থেকে তোমার মুখলিস ও নিষ্ঠাবান বান্দারা তোমার কাছে আশ্রয় কামনা করেছেন।”
 
↯↻↯↻↯

Related Post

ব্যান্ডিসের উপর ওযু

Posted by - সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
???? ওযুর অঙ্গসমূহের কোনটিতে যদি ব্যান্ডিস থাকে তাহলে ব্যান্ডিসের আশ পাশ ধোয়ার পর যদি ব্যান্ডিস পাক থাকে তাহলে হাত ভিজিয়ে তার…

হাদিসের দৃষ্টিতে খুমস

Posted by - মে ২২, ২০২২
❇️ সার সংক্ষেপঃ কুরআনে খুমসের বাধ্যবাধকতার কথা বলা হয়েছে। আহলে বাইত (সা.)-এর বর্ণনায় খুমস আদায়ের খুটিনাটি বিবরণ ও পদ্ধতি বর্ণিত…

খুমসের বিধান

Posted by - সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
খুমস বুঝতে হলে সবার আগে যে বিষয় গুলো জানতে হবে তা হলঃ ১। যাকাত, সাদাকা ও খুমসের বিধান২। তাকলিদ ও…

চেহ্লুম বা চল্লিশা পালন

Posted by - সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩
মৃত মুমিন মুসলমানের জন্যে যে কোন দিন কোন ভাল ও নেক কাজ করে সাওয়াব ‎পাঠানো অত্যন্ত কল্যানকর ও আমাদের জন্যে…

মাহরাম ও না-মাহরাম

Posted by - সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
মাহরাম অর্থ যার সাথে বিয়ে করা হারাম এবং যার সাথে খোলামেলা দেখা সাক্ষাত করা জায়েয। মাসআলাঃ মাহরাম ব্যক্তির সাথে বিয়ে…

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »