✍হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ “একবার আমি শিশুদের সাথে খেলছিলাম। এ সময় রাসুল (সা.) সেখানে এসে উপস্থিত হলেন। আমি তখন দরজার আড়ালে লুকিয়ে রইলাম। অতঃপর নবী (সা.) এসে আমাকে স্নেহভরে বললেন, যাও, মুয়াবিয়াকে আমার কাছে ডেকে আনো। আমি নবীজীর (সা.) কাছে ফিরে এসে বললাম, মুয়াবিয়া খাচ্ছে। তখন মহানবী (সা.) আবার আমাকে বললেন, তুমি গিয়ে মুয়াবিয়াকে আমার কাছে ডেকে নিয়ে এসো। এবারও আমি ফিরে এসে বললাম, সে খাচ্ছে। এ কথা শুনে রাসূল (সা.) বললেন, আল্লাহ যেনো কখনো তার পেট না ভরান।”
✔(সহীহ মুসলিম, খণ্ড ৮, পৃঃ নং ১৩৮, হাদিস নং ৬৪৪১)।
🔳যখন মুয়াবিয়া সিরিয়ার আমির হয় তখন সে দিনে সাতবার খেতো। থালা ভর্তি মাংস আর পিঁয়াজ আনা হতো। সে এই থালা থেকে দিনে সাতবার খেতো। আর তার সাথে প্রচুর পরিমাণে হালুয়া ও ফল থাকত। কিন্তু তার পেট কখনো ভরতো না। তখন সে বলতোঃ “হে আল্লাহ! আমার উদর ভরেনি, কিন্তু আমি ক্লান্ত।”
✔(আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া, খণ্ড ৮, পৃঃ নং ১৫৮)।
🔳হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, মহানবী (সা.) বলেন, “একজন কাফের সাত পাকস্থলী পূর্ণ করে খায় আর একজন মুমিন ব্যক্তি এক পাকস্থলীতে খায়।”
✔(সহীহ মুসলিম , খণ্ড ৭, পৃঃ নং ১২৭, হাদিস নং ৫২১১)।
🔳হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেনঃ “মু’মিন ব্যক্তি এক পেটে আহার করে আর কাফের সাত পেটে আহার করে।”
🔳(সহীহ বুখারী, খণ্ড ৯, পৃঃ নং ১১৭, হাদিস নং ৫০০৪)।
🔳দয়াল নবীজির (দরুদ) কোন সাহাবী মুসলমান হবার পর কখনো কুফরি কাজ করতে পারেন না।