✍ ২৫ শাওয়াল ছিলো মহানবীর (সাঃ) আহলুল বাইতের ধারার ষষ্ঠ ইমাম- ইমাম জাফার ইবনে মুহাম্মাদ আস সাদিক (আঃ) এর শাহাদত দিবস। তিনি ৪র্থ ইমাম হযরত আলী ইবনুল হুসাইন যইনুল আবেদীনের (আঃ) পৌত্র। তাঁর পিতা ছিলেন ৫ম ইমাম ইমাম মুহাম্মাদ আল বাকির (আঃ) যিনি ৪র্থ ইমাম যয়নুল আবেদীনের পু্ত্র। তাঁকে (ইমাম জাফার আস সাদিক) সাদিক (সত্যবাদী) উপাধি দেয়া হয়েছে এ কারণে যে তাঁর যুগে মিথ্যাবাদী রাবীগন (বর্ণনাকারী) যারা ছিল বনী উমাইয়া ও বনী আব্বাসের শাসকচক্রের প্রতিপালিত ও পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত তারা মহানবী (সাঃ)-এর নামে মিথ্যা ও জাল হাদীস বর্ণনা ও প্রচার করত ঠিক এ রকম এক যুগসন্ধিক্ষণে ইমাম জাফার ইবনে মুহাম্মাদ (আঃ) মহানবীর (সাঃ) দিশাহারা উম্মতের সামনে মহানবী (সাঃ)- এর সত্য ও বিশুদ্ধ (সহীহ) হাদীস ও সুন্নাহ উপস্থাপন করেছিলেন এবং ইসলামী জ্ঞান ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় ৪০০০ শিষ্য ও শিক্ষার্থী, মুহাদ্দিস (হাদীসশাস্ত্রবিদ), মুফাসসির ,মুতাকাল্লিম (কালামশাস্ত্রবিদ), রাবী (হাদীস বর্ণনাকারী) ফকীহ – মুজতাহিদকে শিক্ষা দিয়েছিলেন ও প্রশিক্ষিত করেছিলেন।তাই মহানবীর (সাঃ) সত্য হাদীস ও খাঁটি সুন্নাহ বর্ণনা ও উপস্থাপন করার জন্য তাঁকে সাদিক (সত্যবাদী صادِق) বা সাদিকু আলি মুহাম্মাদ (হযরত মুহাম্মাদ সাঃ – এর আহলুল বাইতের সত্যবাদী) বলা হয় যদিও মহানবী (সাঃ) এবং তাঁর আহলুল বাইত (আঃ) – এর সকল ইমামগণ (আঃ) সবাই সত্যবাদী । ইমাম জাফার আস সাদিকের অক্লান্ত চেষ্টা – প্রচেষ্টার কারণে মহানবী (সাঃ)-এর হাদীস ও সুন্নাহ এবং তাঁর আহলুল বাইতের (আঃ) অমিয় বাণী তথা খাঁটি ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞান সংরক্ষিত হয়েছে। তাই এ মহান ইমামের শাহাদত দিবসে তাঁর কিছু অমিয় বাণীর অনুবাদ উপস্থাপন করছি যা আমাদের জীবনে চলার পথে হবে নিঃসন্দেহে আলোকবর্তিকাস্বরূপ। বলার আর অপেক্ষা রাখে না যে মহানবী ( সাঃ ) এবং তাঁর আহলুল বাইতের সকল বাণী ও হাদীস হচ্ছে হিদায়তের নূর (সঠিক পথ প্রদর্শনের আলো) এবং প্রাণ-সঞ্জীবণী সুধা।
