আয়াতুল কুরসী

2139

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

اللّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَیُّ الْقَیُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَهٌ وَ لاَ نَوْمٌ لَّهُ مَا فِی السَّمَاوَاتِ وَمَا فِی الأَرْضِ مَن ذَا الَّذِی یَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ یَعْلَمُ مَا بَیْنَ أَیْدِیهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَ لاَ یُحِیطُونَ بِشَیْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاء وَسِعَ کُرْسِیُّهُ السَّمَاوَاتِ وَ الأَرْضَ وَ لاَ یَۆُودُهُ حِفْظُهُمَا وَ هُوَ الْعَلِیُّ الْعَظِیمُ

لاَ إِکْرَاهَ فِی الدِّینِ قَد تَّبَیَّنَ الرُّشْدُ مِنَ الْغَیِّ فَمَنْ یَکْفُرْ بِالطَّاغُوتِ وَ یُۆْمِن بِاللّهِ فَقَدِ اسْتَمْسَکَ بِالْعُرْوَهِ الْوُثْقَیَ لاَ انفِصَامَ لَهَا وَاللّهُ سَمِیعٌ عَلِیمٌ

اللّهُ وَلِیُّ الَّذِینَ آمَنُواْ یُخْرِجُهُم مِّنَ الظُّلُمَاتِ إِلَی النُّوُرِ وَالَّذِینَ کَفَرُواْ أَوْلِیَآۆُهُمُ الطَّاغُوتُ یُخْرِجُونَهُم مِّنَ النُّورِ إِلَی الظُّلُمَاتِ أُوْلَئِکَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِیهَا خَالِدُونَ

বাংলা উচ্চারণঃ

২৫৫। আল্লা-হু লা- ইলা-হা ইল্লা-হুয়াল্ হাইয়্যুল কাইয়্যূ-ম্; লা-তা’খুযুহূসিনাতুওঁ অলা-নাওম্; লাহূ মা-ফিস্ সামা-ওয়া-তি অমা-ফিল্ আর্দ্ব; মান্ যাল্লাযী ইয়াশ্ফা‘উ ‘ইন্দাহূ য় ইল্লা-বিইয্নিহ্; ইয়া’লামু মা-বাইনা আইদী হিম্ অমা-খাল্ফাহুম্ অলা-ইয়ুহীত্বুনা বিশাইয়িম্ মিন্ ‘ইলমিহী য় ইল্লা-বিমা-শা – আ, অসি‘আ র্কুসি ইয়্যু হুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আর্দ্ব, অলা-ইয়ায়ূদুহূ হিফ্জুহুমা-, অহুআল্ ‘আলিয়্যুল্ ‘আজীম্।

২৫৬। লা ইকরা-হা ফিদ্দীনি ক্বাত্ তাবাইয়্যানার রুশ্দু মিনাল্ গাইয়্যি, ফামাইঁ ইয়ার্ক্ফু বিত্ত্বোয়াগূতি অইয়ুমিম্ বিল্লা-হি ফাক্বাদিস্ তাম্সাকা বিল্ ‘র্উওয়াতিল্ উছ্ক্বা-লাম্ফিছোয়া-মা লাহা-; অল্লা-হু সামী‘উন্ ‘আলীম্।

২৫৭। আল্লা-হু অলিয়্যুল্লাযীনা আ-মানূ ইয়ুখ্রিজ্বুহুম্ মিনাজ্ জুলুমা-তি ইলান নূর; অল্লাযীনা কাফারূয় আওলিয়া – উহুমুত্ব ত্বোয়া-গূতু ইয়ুখ্রিজ্বুনাহুম্ মিনান্ নূরি ইলাজ্ জুলুমা-ত্; উলা – য়িকা আছ্হা-বুন না-রি, হুম্ ফীহা-খা-লিদূন্।

———

বাংলা অনুবাদঃ

২৫৫।আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি চির জাগ্রত ও চির বিদ্যমান। তন্দ্রা ও নিদ্রা তাঁকে স্পর্শ করে না। নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু রয়েছে সবই তাঁর। এমন কে আছে, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর নিকট সুপারিশ করতে পারে? তাদের [=বান্দাদের] অতীত ও ভবিষ্যৎ সমন্ধে তিনি [=আল্লাহ] সম্যক অবগত আছেন। কেউ তাঁর [=আল্লাহ] ইচ্ছা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের জগতে প্রবেশ করতে পারে না। তাঁর আসন [=কর্তৃত্ব] আসমান ও যমীন ব্যাপৃত এবং এতদুভয়ের সংরক্ষণে তিনি পরিশ্রান্ত হন না। তিনিই সর্বোচ্চ, মহীয়ান।

২৫৬। দ্বীন (ইসলাম গ্রহণ)- এর ব্যাপারে কোন জবরদস্তি নেই। কেননা, নি:সন্দেহে বিচ্যুতির পথ আর সঠিক পথ পরিস্কার হয়ে গেছে। অতএব, যে ব্যক্তি তাগুত [=মুর্তি ও শয়তান এবং সীমালংঘনকারী সকল সত্তা]- কে অস্বীকার করে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে সে দৃঢ়তর রজ্জুকে অাঁকড়ে ধরেছে যা কখনও ছিন্ন হবার নয়। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।
২৫৭। আল্লাহ-ই হচ্ছেন মু’মিনদের অভিভাবক। তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে যান। কিন্তু যারা (আল্লাহকে) অস্বীকার করেছে তাদের অভিভাবক হচ্ছে তাগুত। তারা [=তাগুতরা] তাদেরকে [=কাফেরদেরকে] আলো থেকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। তারা জাহান্নামেরই অধিবাসী, যেখানে তারা চিরকাল অবস্থান করবে। 

সূরা বাকারা, [আয়াত নং-২৫৫-২৫৭]

আয়াতুল কুরসী তিলাওয়াতের ফজিলতঃ

কবর নূরানী হওয়াঃ

ইমাম জাফার ইবনে মুহাম্মাদ আস্ সাদিক্ব সালাওয়াতুল্লাহি ওয়া সালামুহু আলাইহি বলেছেন, “যখন কোন মুমিন আয়াতুল কুরসীর সাওয়াব কবরবাসীকে হাদিয়া করে, আল্লাহ তায়ালা তখন এই আয়াতের প্রতিটি হরফের জন্যে একজন ফেরেস্তা নির্ধারণ করেন, যিনি এই আয়াতের তিলাওয়াতকারীর জন্যে ক্বিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহর তসবিহ পাঠ করবেন এবং আল্লাহ তায়ালা সেই আয়াতুল কুরসী পাঠকারীকে ষাট নবীর সম পরিমান পুরুস্কার প্রদান করবেন। আল্লাহ এই কবরবাসীর প্রতি কবরের মধ্যে পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত চল্লিশটি নূরের বাতি সাজিয়ে রাখবেন। আর তাদের কবরগুলোকে প্রশস্ত করে দিবেন।”

আজসাদে জাভিদন (ফারসী), পৃঃ নং ১২৪।

আয়াতুল কুরসী পাঠের ফলাফলঃ

🌹হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রতিটি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করে, তাকে কোন কিছুই বেহেশ্ত থেকে দূরে সরাতে পারবে না।”

মুস্তাদ্-রাকুল ওয়াসায়িল, খণ্ড ১, পৃঃ নং ৩৪৩।

🌹হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, “যদি কেউ প্রতিটি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করে, তখন সাত আসমান দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায় এবং যতক্ষণ না পর্যন্ত আল্লাহর রহমতের দৃষ্টি তার উপর পড়ছে ততক্ষণ পর্যন্ত সেই আসমানসমূহ জোড়া লাগে না। অতঃপর তিনি একজন ফেরেস্তা নিয়োগ দেন, যিনি তার পরের দিন পর্যন্ত ঐ ব্যক্তি যত ভাল কাজ করে তা লিখে রাখবেন আর যত মন্দ কাজ করেছে তা মুছে দিবেন।”

লাইয়ালিউল আখবার, খণ্ড ৩, পৃঃ নং ৩৫৭।

ঘুমের সময় আয়াতুল কুরসী তিলাওয়াতের প্রভাবঃ

🌹হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামঃ  “যে ব্যক্তি ঘুমের সময় আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে আল্লাহ তাকে, তার ঘরকে এবং তার প্রতিবেশীর ঘরকে নিরাপদে রাখবেন।”

মুস্তাদ্-রাকুল ওয়াসায়িল, খণ্ড ১, পৃঃ নং ৩৪৩।

৪। নামাজ  কবুলের কারণঃ

🌹হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামঃ

“যদি কেউ প্রতিটি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসী তিলাওয়াত করে, তাহলে তার নামাজ কবুল হয়ে যায় এবং সে আল্লাহর হেফাজতে আবস্থান করবে।”

মাসাবিহুদ্ দুজা, পৃঃ নং ১০২৯।

ওযু করার পর আয়াতুল কুরসী তিলাওয়াতের সাওয়াবঃ

হযরত ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে আলী আল বাক্বির সালাওয়াতুল্লাহি ওয় সালামুহু আলাইহি বলেছেন, “যদি কেউ ওযু করার পর একবার আয়াতুল কুরসী তিলাওয়াত করে, তাহলে আল্লাহ তাকে চল্লিশ বছরের ইবাদতের সাওয়াব দান করবেন। ফলে সেই ব্যক্তির মর্যাদা চল্লিশ ধাপ উপরে উঠে যায়।”

লাইয়ালিউল আখবার, খণ্ড ১, পৃঃ নং ২০৮।

হাজত পূরণ হওয়াঃ

🌹ইমাম আলী ইবনে আবি ত্বালিব সালাওয়াতুল্লাহি ওয়া সালামুহু আলাইহিমাঃ🌹

“তোমাদের মধ্যে যদি কারো হাজত থাকে তাহলে সে যেন বৃহস্পতিবার সকালে তা পূরণে অগ্রসর হয়। কেননা, আল্লাহর রাসূল(সা.) কোন এক দোয়ার মধ্যে বলেছিলেন, “হে আল্লাহ! আমার উম্মতের বৃহস্পতিবার সকালে বের হবার মধ্যে বরকত দান করো।” যখন তিনি ঘর থেকে বের হলেন তখন সূরা আলে ইমরানের কিছু আয়াত, আয়াতুল কুরসী এবং সূরা আল ক্বদর তিলাওয়াত করেন।”

ক্বাওলুস সাবিত, পৃঃ নং ৪১।

জান মালের ক্ষতি দূরীভুত করেঃ

ইমাম আলী ইবনুল হুসাইন যাইনুল আবিদীন সালাওয়াতুল্লাহি ওয়া সালামুহু আলাইহি থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল(সা.) বলেছেনঃ

“যে ব্যক্তি সূরা আল্ বাক্বারার প্রথম চার আয়াত, আয়াতুল কুরসী, এর পর দুই আয়াত এবং এ সূরার শেষের তিন আয়াত তিলাওয়াত করে, তার নিজের উপর এবং তার সম্পদের উপর কোনক্রমেই কোন আপদ বালা আরোপিত হবে না। আর শয়তান সেই ব্যক্তির কাছে ভিড়তে পারবে না এবং সে কোরআনকে কখনো ভুলতে পারবে না।”

সাওয়াবুল আ’মাল, পৃঃ নং ২২৩।

আঘাত থেকে নিরাপদঃ

ইমাম মুসা ইবনে জা’ফার আল কাযিম সালাওয়াতুল্লাহি ওয়া সালামুহু আলাইহিঃ

“যে ব্যক্তি প্রতিটি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসী তিলাওয়াত করে, সে কোন আঘাত ও ক্ষতির সমুক্ষিন হবে না।”

মাসাবিহুদ্ দুজা, পৃঃ নং ১০১১।

গুনাহের কাফ্ফারা

ইমাম জা’ফার ইবনে মুহাম্মাদ আস্ সাদিক্ব সালাওয়াতুল্লাহি ওয়া সালামুহু আলাইহিঃ

“যদি কেউ জুম্মা নামাজের পর পরই এক বার সূরা আল ফাতিহা, সাত বার করে সূরা আল ইখলাস, সূরা ফালাক্ব, সূরা আন্ নাস, এক বার করে আয়াতুল কুরসী, সূরা আল আ’রাফের ৫৪ নং আয়াত এবং সূরা আত্ তাওবার শেষের আয়াত তিলাওয়াত করে, তাহলে তার উক্ত আমল এই শুক্রবার থেকে পরের শুক্রবার পর্যন্ত সকল গুনাহের কাফ্-ফারা হিসেবে গণ্য হবে।”

সাওয়াবুল আ’মাল, পৃঃ নং ৮৩।

১০ নফল নামাজে আয়াতুল কুরসীর মূল্যঃ

ইমাম জা’ফার ইবনে মুহাম্মাদ আস্ সাদিক্ব সালাওয়াতুল্লাহি ওয়া সালামুহু আলাইহিঃ

“যে ব্যক্তি তার নফল নামাজে সূরা আল্ ইখলাস, আল্ ক্বাদর ও আয়াতুল কুরসী তিলাওয়াত করে, আল্লাহ তার আমলকে সর্বোত্তম আমল হিসেবে গণনা করবেন। তবে সেই ব্যক্তির ন্যায় অথবা সেই ব্যক্তির চেয়ে বেশী আমল সম্পাদনকারী ব্যক্তি ব্যতীত।”

সাওয়াবুল আ’মাল, পৃঃ নং ৭৩।

১১ ঘুমের সময় আল্লাহর রাসূল (সা.)-এর যিকিরঃ

মুহাম্মাদ ইবনে মারওয়ান থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, ইমাম জা’ফার ইবনে মুহাম্মাদ আস্ সাদিক্ব সালাওয়াতুল্লাহি ওয়া সালামুহু আলাইহি তাকে বলেছেন, আমি কী ঘুমানোর আগে আল্লাহর রাসূলের নিয়ম তোমাকে বলবো না? তিনি যখন ঘুমের জন্যে বিছানায় যেতেন তখন কী পড়তেন? তখন আমি বলেছি, জ্বী, হে আল্লাহর রাসূলের সন্তান!

অতঃপর ইমাম আস্ সাদিক্ব সালাওয়াতুল্লাহি ওয়া সালামুহু আলাইহি বলেনঃ

“আল্লাহর রাসূল(সা.) তখন আয়াতুল কুরসী তিলাওয়াত করতেন। অতঃপর বলতেন,

آمنت بالله و كفرت بالطاغوت

আমানতু বিল্লাহি ওয়া কাফারতু বিত্-তাগুত। সব শেষে বলতেন, হে আল্লাহ! তুমি আমাকে আমার জাগ্রত ও ঘুমন্ত অবস্থায় হেফাজত করো।”

উসুল আল্ কাফি, খণ্ড ৬, পৃঃ নং ২০৭।

১২ দুশ্চিন্তা পেরেশানী দূর করতেঃ

🌹ইমাম আলী ইবনে আবি ত্বালিব সালাওয়াতুল্লাহি ওয়া সালামুহু আলাইহিমাঃ🌹

“যখনি রাসূল (সা.) কোন বিষয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়তেন তখন আয়াতুল কুরসী তিলাওয়াতের পর নিচের দোয়াটি পাঠ করতেন আর বলতেন, “এমন কোন মুসলমান নেই যে, এই দোয়াটি তিনবার পাঠ করার পর সে তার হাজত পায়নি।”

یَاْ حَىُّ یَاْ قَیُّوْمُ، یَاْ حَیًّا لاَ یَمُوْتُ، یَاْ حَىُّ لاَ اِلَهَ اِلاَّ اَنْتَ كَاْشِفَ اْلْهَمِّ، مُجِیْبَ دَعْوَةِ اْلْمُضْطَرِّیْنَ، اَسْاَلُكَ بِاَنَّ لَكَ اْلْحَمْدُ لاَ اِلَهَ اِلاَّ اَنْتَ، اَلْمَنَّاْنُ، بَدِیْعُ اْلْسَّمَوَاْتِ وَ اْلْاَرْضِ، ذُوْ اْلْجَلاَلِ وَ اْلْاِكْرَاْمِ، رَحْمَاْنُ اْلْدُّنْیَاْ وَ اْلْاَخِرَةِ وَ رَحِیْمُهَاْ رَبِّ اْرْحَمْنِىْ رَحْمَةً تُغْنِیْنِىْ بِهَاْ عَنْ رَحْمَةٍِ مِنْ سِوَاْكَ یَاْ اَرْحَمَ اْلْرَاْحِمِیْنَ.

উচ্চারণঃ

“ইয়া হাইউ ইয়া ক্বাইয়ু-ম। ইয়া হাইইয়ান লা ইয়ামুত। ইয়া হাইয়ু লা ইলাহা ইল্লা আনতা, কাশিফাল হাম্মি মুজিবা দা’ওয়াতিল মুদ্বত্বার্রি-ন। আস্-আলুকা বিআন্না লাকাল হামদু লা ইলাহা ইল্লা আনতা, আল্ মান্নানু বাদিয়ু’স্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি যুল জালালি ওয়াল ইক্-র-ম, রহমানুদ্ দুন্-ইয়া ওয়াল আখিরাতি ওয়া রাহিমুহা। রব্বির হামনি রহমাতান তুগ্বনিনি বিহা আর্ রহমাতিম্ মিন্ সিওয়াক। ইয়া আর্হামার র-হিমি-ন।”

ত্বারায়িফুল হুত্-ম, খণ্ড ২, পৃঃ নং ২১।

১৩। রোগের নিরাময়তাঃ

ইমাম আলী ইবনে মুসা আর রিদ্বা সালাওয়াতুল্লাহি ওয়া সালামুহু আলাইহিঃ

“যে ব্যক্তি ঘুমের সময় আয়াতুল কুরসী পড়বে তার ইনশাআল্লাহ দেহ অবশ হওয়ার ব্যাপারে কোন ভয় নেই। আর যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজের পর এ আয়াতটি তিলাওয়াত করবে তাকে কোন বিষাক্ত হিংস্রতার আঘাত ক্ষতি করতে পারবে না।”

সাওয়াবুল আ’মাল, পৃঃ নং ২২৩।

১৪ আপদ  গুনাহ থেকে দূরে থাকাঃ

ইমাম আলী ইবনে মুসা আর রিদ্বা সালাওয়াতুল্লাহি ওয়া সালামুহু আলাইহিঃ

“যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসী তিলাওয়াত করবে তার নামাজ কবুল হবে এবং সে আল্লাহর হেফাজতে অবস্থান করবে। আল্লাহ ঐ ব্যক্তিকে সকল বালা-মুসিবত ও গুনাহ থেকে হেফাজত করবেন।”

মিসবাহুদ্ দুজা, পৃঃ নং ১০১২।

১৫ একাকিত্বের সময়ঃ

“যে ব্যক্তি একা কোন ঘরে অবস্থান করছে, সে যেন অবশ্যই আয়াতুল কুরসী তিলাওয়াত করে। অতঃপর বলবে, হে আল্লাহ! আমার ভয় দূরীভুত করে প্রশান্তি ও স্থিরতা আনয়ন করো এবং এ একাকীত্বে আমাকে সাহায্য করো।”

উসুলুল কাফি, খণ্ড ৬, পৃঃ নং ৩১১।

১৬ সফরের শুরুতেঃ

ইমাম জা’ফার ইবনে মুহাম্মাদ আস্ সাদিক্ব সালাওয়াতুল্লাহি ওয়া সালামুহু আলাইহিঃ

“সফরকে সদকা প্রদান করে এবং আয়াতুল কুরসী পড়ে শুরু করো।”

ফুরুউল কাফি, খণ্ড ৪, পৃঃ নং ২৮৩।

ইমাম মুসা ইবনে জা’ফার আল কাযিম সালাওয়াতুল্লাহি ওয়া সালামুহু আলাইহিঃ

“যদি কেউ সফরে বের হতে চায়, তাহলে সে যেন ঘরের দরজার সামনে যে দিকে যাত্র করবে সেদিকে মুখ করে দাড়িয়ে সূরা আল্ ফাতিহা ও আয়াতুল কুরসী সামনের দিকে ও ডানে বাঁয়ে তিলাওয়াত করে।”

মাকারিমুল আখলাক্ব, পৃঃ নং ২৪৫।

১৭ সফরে থাকাকালীন সময়েঃ

ইমাম জা’ফার ইবনে মুহাম্মাদ আস্ সাদিক্ব সালাওয়াতুল্লাহি ওয়া সালামুহু আলাইহিঃ

“যে ব্যক্তি সফরে থাকাকালীন সময়ে প্রতি রাতে আয়াতুল কুরসী তিলাওয়াত করে তাহলে সে নিজে এবং তার সফরসঙ্গীরা সুস্থ ও নিরাপদে থাকবে। অতঃপর বলবেঃ

اللهم اجعل مسیرى عبرا و صمتى تفكرا و كلامى ذكرا

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমার ভ্রমনকে শিক্ষা এবং আমার নিশ্চুপতাকে চিন্তা ফিকিরের মাধ্যম আর আমার কথাকে যিকিরে পরিগণিত করে দাও।”

মাকারিমুল আখলাক্ব, পৃঃ নং ২৫৪।

Related Post

•✦✨ আল্লাহর কালাম ✨✦•

Posted by - জানুয়ারি ২১, ২০২০
❖✨بسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ ✨❖ 〖 *وَلَقَدْ ذَرَأْنَا لِجَهَنَّمَ كَثِيرًا مِنَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ ۖ لَهُمْ قُلُوبٌ لَا يَفْقَهُونَ بِهَا وَلَهُمْ…

আল্লাহর ইসমে আযম

Posted by - সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
✍️‎[হযরত বারায়া ইবনে আযিব(রাঃ) বলেন, আমি আমিরুল মুমিনিন আলী ‌‎(সালাওয়াতুল্লাহি আলাইহি)-এর ‎খেদমতে‎ আল্লাহর কসম দিয়ে আরজ করলাম, ‎আমাকে আল্লাহর ইসমে…

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »