আহলে বাইতের চোখে মুয়াবিয়ার চিত্র

1300 0

ইমাম আলীর দৃষ্টিতে মুয়াবিয়াঃ

আমিরুল মু’মিনিনের ন্যায় সত্যপন্থি খলীফা ও ফরজ আনুগত্যসম্পন্ন ইমামের মোকাবেলায় মুয়াবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ানের বিরোধীতার বিষয়টি, আক্বীদা বিশ্বাস ও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে তার নিন্দিত হওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট এবং তাকে বিদ্রোহী ও ফিৎনাকারীর স্তরে নীচে নামিয়ে আনে যেখানে ইসলাম তাকে হত্যা করা জায়েয বলে পরিগণিত করে। এত কিছুর পরও আমিরুল মু’মিনিন আলীর ভুমিকা ও প্রচেষ্টা এ পর্যায়েই সীমাবদ্ধ থাকেনি। তিনি মুয়াবিয়ার আসল চেহারা, অতীত, বিপদ ও ভবিষ্যত চক্রান্তসমূহকে মুসলমানদের জন্যে পুনরায় ব্যক্ত করেন আর এভাবে তিনি মুয়াবিয়া ও তার অনুসারীদের পক্ষ থেকে বিচ্যুতির অনুপ্রবেশের পরও মুসলিম সমাজ ও ইতিহাসকে সচেতন করে তুলেছেন। (দেখুন: নাহজুল বালাগ্বা, সাক্বিফার ঘটনার পর আবু সুফিয়ানকে ইমাম আলীর পত্র, মুয়াবিয়ার প্রতি ইমাম আলীর পত্রসমূহ এবং … ; মুহাম্মাদ ইবনে আক্বিল আলাভী হাদ্বরামী, আন্ নাসাইয়েহ আল্ কাফিয়্যা, ফারসী অনুবাদ: আযিযুল্লাহ্ আত্বারুদী, পৃঃ নং ৫৬, ৫৭, ৯৯ এর পর; আল্লামা আমিনী, আল গ্বাদীর, খণ্ড ১০, মুয়াবিয়া সম্পর্কে আলোচনা দ্র:)।

হযরত আলী তাঁর আলোচনায়, বিশেষ করে তাঁর পত্রসমূহে, খেলাফতের আসনে উপবিষ্ট হবার পর বিভিন্ন বিষয়ে ও বিভিন্ন উপলক্ষ্যে, মুয়াবিয়ার পরিচয় ও এ ক্ষেত্রে ইতিহাস ও সমাজের অনুধাবনশক্তিকে পরিস্কার করার জন্যে সচেষ্ট হয়েছেন। তিনি এক স্থানে মুয়াবিয়ার পরিচয় এভাবে তুলে ধরছেন: “আমার কাছে তোমার লেখা পত্র এসে পৌছেছে, এটা এমন লেখা যেখানে কোন অন্তর্দৃষ্টি নেই যা হেদায়েত করতে পারে এবং এটা কোন নেতার লেখা নয় যা মানুষকে পথ নির্দেশনা দিতে পারে। এ পত্রটি নফসের প্রতারনার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে যা সে গ্রহণ করেছে এবং গোমরাহীর দিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে যা সে নিজেই অনুসরণ করছে।” তিনি তাঁর বক্তব্যের এক পর্যায়ে ইসলাম ও রাসূলের আহলে বাইতের সাথে মুয়াবিয়ার শত্রæতার প্রতি ইঙ্গিত প্রদান করে তাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন: “আমার প্রাণের শপথ! যদি তুমি ইসলামে আমার আভিজাত্য, রাসূলের(সা.) সাথে আমার নিকটবর্তিতা ও কুরাইশের মাঝে আমার ভুমিকাকে অস্বীকার করতে পারতে তাহলে তা থেকে তুমি কখনো পিছপা হতে না।”
ইমাম বিভিন্ন পত্রে ও বিভিন্ন স্থানে মুয়াবিয়াকে পথভ্রষ্ট, অভিশপ্তের পুত্র অভিশপ্ত, শয়তানের নেতা, প্রতারক, নফসের তাবেদার, কোরআনের অনুসারী ও কোরআনের হুকুমের শত্রæ এবং কোরআন সম্পর্কে অপরিচিত, ইত্যাদি শব্দে ভুষিত করেছেন যা অত্যন্ত শিক্ষামূলক। উপরোক্ত ভুষনগুলো এটাই পরিদর্শন করে যে, ইমাম আলী শুধুমাত্র তার খেলাফতের সাথে মুয়াবিয়ার বিরোধীতা ও সিফফিনের যুদ্ধ আরম্ভ করার ব্যাপারেই চিন্তিত ছিলেন না, যদিও সে ঘটনা ইসলাম ও মুসলমানদের উপর, বিশেষ করে ইমাম আলীর মত শাষক ও ন্যায়পরায়ন ইমামের উপর মুয়াবিয়ার সবচেয়ে বড় আঘাত ছিল। তারপরো ইমাম উল্লেখিত ঘটনাকে মুয়াবিয়ার বিচ্যুতিপূর্ণ ও জাহেলী যুগের চিন্তাধারা বলে আখ্যায়িত করেছেন যা তখনো অব্যাহত ছিল। আর মুসলমানদের মাঝে বিদ্যমান উদাসীনতা, অজ্ঞতা ও দুনিয়ার প্রতি অতি মাত্রায় আসক্তির কারণে অগণিত মুসলমানদের প্রাণহানির মধ্য দিয়ে ইসলামকে বিভিন্ন প্রকার বিচ্যুতি, কুসংস্কার ও বিকৃতির বেড়াজালে আবদ্ধ করার আশংকা বিরাজমান ছিল।

(আরো বিস্তারিত জানতে দেখুন: নাহজুল বালাগ্বার পত্রাবলী অধ্যায় ; ইবনে আবিল হাদিদ, শারহে নাহজুল বালাগ্বা, খণ্ড ১, পৃ: ২৫২; খণ্ড ৩, পৃ: ৩০২; খণ্ড ৪, পৃ: ৫০, ৫১, ৫৭ ; আল্লামা আমিনী, আল গ্বাদীর, খণ্ড ১০, পৃ: ১৪৮-১৫৩)।

ইমাম হাসান মুজতাবা-র দৃষ্টিতে মুয়াবিয়াঃ

ইমাম হাসান মুজতাবা- যিনি ইমাম আলীর শাহাদাতের পর ইসলামী খেলাফতের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন, তিনি যদিও তার সময়কালের সামাজিক ও রাজনৈতিক দু:খজনক পরিস্থিতির কারণে মুয়াবিয়ার সাথে যুদ্ধ বিরতি করতে এবং পরিণতিতে রাজনৈতিক ক্ষমতা মুয়াবিয়ার হাতে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন, তারপরো তিনি মুয়াবিয়াকে শ্যামের কর্তৃত্বের জন্যে যোগ্য মনে করতেন না। আর এ কারণেই, তিনি সন্ধিপত্রের লেখনীতে মুয়াবিয়ার কর্তৃত্ব ও ক্ষমতাকে খেলাফত ও ইমামত হিসেবে গণ্য করেননি।

ঐতিহাসিক প্রমাণাদি পরিদর্শন করে যে, ইমাম হাসান মুয়াবিয়াকে উপর্যুপরি পরিচয় করিয়েছেন এবং তার ও তার বংশের আমলনামা প্রকাশ করে জনগণের দৃষ্টি আকর্ষন করার চেষ্টা করেছেন যেনো তৎকালীন প্রজন্ম এ ব্যাপারে উদাসীনতার রোগে আক্রান্ত না হয় এবং পরবর্তি প্রজন্মের মানুষ যেনো প্রতারণার শিকার না হয়। ইমাম হাসান কখনো দ্বীনি ও বংশীয় দৃষ্টিকোন থেকে নিজেকে ও মুয়াবিয়াকে পরিচয় করিয়েছেন এবং পরস্পর তুলনামূলক বক্তব্য পেশ করেছেন। তিনি চুক্তি ভঙ্গ, আমর ইবনে হামাক্ব-এর হত্যা, যিয়াদ ইবনে আবিকে নিজের সহজাত ভাই হিসেবে গণ্যকরণ এবং দ্বীন ও আহলে বাইতের সাথে বিরোধীতার কারণে মুয়াবিয়াকে তিরস্কার করতেন এবং জনগণকে এ ব্যাপারে ভালভাবে সচেতন করে তুলতেন।

(ইবনে ক্বুতাইবা দিনাভারী, আল্ ইমামাহ্ ওয়াস সিয়াসাহ্, খণ্ড ১, পৃঃ নং ১৩১, ১৩৮ ; ইবনে আবিল হাদিদ, শারহে নাহজুল বালাগ্বা, খণ্ড ৪, পৃঃ নং ৬)।

সুফিয়ানী আদর্শের ধারাবাহিকতা ও মুয়াবিয়াঃ

ইয়াযিদের পিতা মুয়াবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ান তাদের মধ্যে অন্যতম যারা মক্কা বিজয়ের সময় ও তলোয়ারের চাপে বাধ্য হয়ে ইসলাম গ্রহণ করে। সে মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে গণ্য নয়। বরং তুলাক্বা ও মুয়াল্লিফাতুল ক্বুলুবের অন্তর্ভুক্ত। মুয়াবিয়া তার ভাই ইয়াযিদ ইবনে আবি সুফিয়ানের মৃত্যুর পর শ্যামের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্তির কিছুকাল পরে তৎকালীন খলীফা উমার ইবনে খাত্তাবের প্রতিবাদের সমুক্ষীন হয়। মুয়াবিয়ার পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের (বাইতুল মাল) যথেচ্ছ ব্যবহার ও অপচয় এবং ব্যয়পূর্ণ, জাকজমকপূর্ণ ও অনুষ্ঠানিকতাসর্বস্ব সরকারী ব্যবস্থাপনার মহড়া ছিল ইসলামের সারসত্তা ও রাসূলের(সা.) সিরাতের পরিপূর্ণ পরিপন্থি।

(আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবদে রাব্বি আল আনদুলুসী, আল্ আক্বদুল ফারিদ, খণ্ড ১, পৃঃ নং ২৮)।

মুয়াবিয়া পর্যায়ক্রমে শ্যামের শাসনব্যবস্থা রাসূল(সা.)-এর নীতি-আদর্শ ও তাঁর সিরাতের পরিবর্তে বাদশাহীতে পরিবর্তন করে দেয় এবং সে মদীনার নির্দেশ বহির্ভুত স্বাধীনভাবে শাষন পরিচালনা আর প্রথমত: শ্যাম ও তার চারপাশের অঞ্চলে এবং পরবর্তিতে মুসলমান সাম্রাজ্যের সকল ভুখন্ডে উমাইয়্যা শাহী ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠায় উদ্যত হয়।

(আব্দুর রাহমান আস্ সুয়ুতি, তারিখুল খুলাফা, গবেষনা: মুহিউদ্দীন আব্দুল হামিদ, খণ্ড ১, পৃঃ নং ১৯৯)।

মুয়াবিয়া এক্ষেত্রে নিম্নের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করে:

ক) রাসূলের(সা.) সাথে ঘনিষ্ঠতা, তাঁর উত্তরাধিকারীর ব্যাপারে রাসূলের(সা.) পক্ষ থেকে নির্দেশ ও অসিয়ত, সর্বপ্রথম মুসলমান হিসেবে দ্বীন ইসলামে তার অগ্রগামীতা এবং অবশেষে তাঁর খেলাফতের আসনে উপবিষ্ট হওয়ার পেছনে জনগণের নির্বাচন ও তাদের বাইয়াত-এর ন্যায় ইমাম আলীর ইসলামী ও দ্বীনি খেলাফতের সকল শরয়ী ও বৈধ কারণ ও মূল উপাদান বিদ্যমান থাকা সত্তেও সে ইমাম আলীর বিরোদ্ধে যুদ্ধ বিগ্রহে লিপ্ত হয়। এটা এমন অবস্থায় সংঘটিত হযেছিল যখন মুয়াবিয়া দ্বীনি খেলাফতের পদ লাভ করার কোন যোগ্যতাই ধারন করতো না আর উল্লেখিত শর্তাবলী ও উপাদনের কোনটাই তার ছিল না। (আহমাদ আল্ মাক্বরিযি আশ্ শাফিয়ী, আন্ নিযা’ ওয়াত তাখাসুম ফিমা বাইনা বানি উমাইয়্যা ওয়া বানি হাশিম, পৃঃ নং ১২)।

খ) ইমাম হাসান রাসূলে আকরাম(সা.)-এর সুস্পষ্ট হাদিস মোতাবেক যা আহলে সুন্নাতের গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে, খোলাফায়ে রাশিদিনের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন এবং তাঁর কাছ থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে খোলাফায়ে রাশেদার আমল অথবা সামগ্রিকভাবে দ্বীনি খেলাফতের অবসান ঘটে। তা সত্তেও মুয়াবিয়া ইমাম হাসানকে ক্ষমতাচুত্য করা (আব্দুর রাহমান আস্ সুয়ুতি, তারিখুল খুলাফা, গবেষনা: মুহিউদ্দীন আব্দুল হামিদ, খণ্ড ১, পৃঃ নং ১৯৯)।

গ) মুয়াবিয়া তার দীর্ঘকালীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অর্থাৎ সিংহাসনে ইয়াযিদের উত্তরাধিকারের পথ উন্মোচন, খেলাফতকে বংশীয়করণ এবং ইমাম হাসানের সাথে চুক্তির ধারাসমূহের লংঘন ও পদদলন যা তার মাধ্যমে সংঘটিত আরেকটি অপরাধ, ইমাম হাসান ইবনে আলীকে শহীদ করে।
ঘ) তৎকালীন সময়ে সর্বশ্রেষ্ঠ দুনিয়াত্যাগী ও উচ্চ পর্যায়ের সাহাবাদের মধ্যে গণ্য হুজর ইবনে আদি ও তার সঙ্গী সাথীদের হত্যা এমন এক কলঙ্ক চিহ্ন যা মুয়াবিয়ার আমলনামাকে কালো করেছে এবং আহলে সুন্নাতের মাঝে নিন্দুক ও সমর্থন অযোগ্য করে তুলেছে।

ঙ) মুয়াবিয়ার পক্ষ থেকে অত্যন্ত বিপদজনক ও নজিরবিহীন বেদআতের উদ্যোগ গ্রহণ অর্থাৎ খেলাফতকে বংশীয় বাদশাহীতে রূপান্তিতকরণ ও বাদশাহীর উত্তরাধিকারের পদে ইয়াযিদের অভিষিক্তি, তার দ্বীনি বিশ্বাসকে প্রশ্নের সমুক্ষীন করে তোলে।
উপরোক্ত সবগুলো পদক্ষেপ ও কর্ম তৎপরতার কারণে আহলে সুন্নাতের সুউচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ও প্রসিদ্ধ আলেমগণ মুয়াবিয়ার উপর অভিসম্পাত দানে মুখ খুলেছেন। কেননা তারা মুয়াবিয়ার উপরোক্ত গুনাহগুলোর যে কোন একটিই ক্বিয়ামতের দিবসে তার আপরাধ সাব্যস্থ হওয়ার পেছনে যথেষ্ট বলে মনে করেন। আহলে সুন্নাতের প্রসিদ্ধ আলেম হাসান বসরী(২১হি.- ১১০হি.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, “মুয়াবিয়া এমনসব অপরাধ সংঘটিত করেছে যার একটি যদি দুনিয়াবাসীর অন্য কেউ সম্পাদন করতো, তাহলে তার স্থায়ী শাস্তি ও চিরন্তন আযাবের জন্যে যথেষ্ট ছিল। মুয়াবিয়া রাষ্ট্র ক্ষমতা মুসলমানদের মতামত ও পরামর্শ ব্যতিরকেই কুক্ষিগত করেছিল, যিয়াদ ইবনে আবিকে রাসূলের(সা.) নির্দেশের বিপরীতে আবু সুফিয়ানের সন্তানদের মধ্যে গণ্য করেছিল, হুজর ইবনে আদি ও তার সাথীদের নির্মমভাবে হত্যা করেছিল এবং অবশেষে জনগণের উপর ইয়াযিদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিল।” (সিবত ইবনে জাওযি, তাযকিরাতুল খাওয়াস, অবতরণিকা: মুহাম্মাদ সাদিক বাহরুল উলুম, পৃঃ নং ২৮৬)। আহলে সুন্নাতের অন্যান্য জ্ঞানী ব্যক্তিরা উপরোক্ত বিষয়ের ন্যায় বক্তব্য পেশ করেছেন। তাদের মধ্যে মুহাম্মাদ ইবনে জারির তাবারী বিভিন্ন দিক থেকে মুয়াবিয়ার কর্মকান্ডের ভীষণ তিরস্কার করেছেন। (ত্বা-হুসাইন, আলী ভা ফারযানদানাশ, অনুবাদ: মুহাম্মাদ আলী সিরাযী, পৃঃ নং ২৪৩)।

চ) সামনের আলোচনাতে উল্লেখ হবে, মুয়াবিয়া ও তার সমর্থকদের পক্ষে এবং আলী ও তার সন্তানদের বিপক্ষে জাল হাদিস তৈরী করার নির্দেশ প্রদান আর আলী ও আলে আলীর উপর লানত দেয়ার প্রচলন সৃষ্টি এবং আরো অনেক বিষয় আছে যা ইসলাম ও রাসূলের(সা.) আহলে বাইতের বিরোদ্ধে মুয়াবিয়ার অপতৎপরতার একটি ক্ষুদ্র অধ্যায়। ইয়াযিদ এমনি এক ব্যক্তির ঔরসে জন্মগ্রহণ করেছে এবং এমন লোকের অধিনে প্রশিক্ষন ও বৃদ্ধি পেয়েছে। তা ছাড়াও, ইয়াযিদের অধিকাংশ সহচর ও বন্ধু-বান্ধবরা শৈশবে ও কৈশরে কিছু খৃষ্টান ব্যক্তি এবং বনি কালব গোত্রের লোকজন ছিল। অপরদিকে, যৌবনকালে ও যুবরাজের পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালীন সময়ে তার সহকর্মী ও পরামর্শদাতারা হচ্ছে মারওয়ান ইবনে হাকাম, মুগি¦রা ইবনে শু’বা, যিয়াদ ইবনে আবি ও আব্দুল্লাহ ইবনে যিয়াদের সন্তানদের মত লোকেরা যদ্বারা তার ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠে।

Related Post

ইমাম হুসাইন (আঃ) হতে বর্ণিত-

Posted by - September 7, 2019 0
✅ইমাম হুসাইন(আ.): “জান্নাত ব্যতীত অন্য কিছুতে তোমাদের কোন মূল্য হয় না। সুতরাং জান্নাত ছাড়া অন্য কিছুর মোকাবিলায় নিজেকে বিক্রি করে…

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *