বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
✍️ قال رسول الله ص:
انا و علي ابوا هذه الامه وَ عَلِيٌّ أَبَوَا هَذِهِ الْأُمَّة ؛
✍️ রাসূল(সা.):
“আমি ও আলী এই উম্মতের দুইজন বাবা।”
(বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ১৬, পৃঃ নং ৯৫, অধ্যায় ৬)।
🔹অন্য হাদিসে আছেঃ
الآباء ثلاثة: أبٌ ولدک، و أبٌ زوّجک، و أبٌ علّمک»
✏️রাসূল(সা.): “বাবা তিন প্রকার।
এক: ঔরষজাত বাবা।
দুই: স্ত্রীর পিতাও নিজের বাবা।
তিন: জ্ঞান শিক্ষাদাতাও তোমার বাবা।”
✔️(আল মুক্বাদ্দামাত মিন কিতাবি নাসসিল নুসুস, পৃঃ নং ৪৯৮; জামিয়স সাআদাত, খন্ড ৩, পৃঃ নং ১৪০; আল গ্বাদীর ফিল কিতাব ওয়াস সুন্নাহ ওয়াল আদাব, খন্ড ১, পৃঃ নং ৬৫০)।
বাবা শব্দের আরাবী হচ্ছে “আবুন” বা তানভিন বাদ দিয়ে আরবরা পড়ে থাকে “আব”। এই “আবুন” শব্দের অর্থ করা হয়েছেঃ “যে ব্যক্তি জন্ম বা সংশোধনের কারণ হয়ে থাকে অথবা যে ব্যক্তি কোন কিছুর জন্ম দিয়ে থাকে ও প্রকাশ ঘটিয়ে থাকে তাকে “আবুন” বলা হয়ে থাকে।”
✔️(রাগ্বিব ইসফাহানী, আল মুফরাদাত, পৃঃ নং ৫৭)।
এই সংজ্ঞা অনুযায়ী “বাবা” শব্দটির সাথে শিক্ষক ও শশুরের সম্পর্ক স্পষ্ট হয়ে যায়। কেননা, যেমনি করে ঔরষজাত পিতা একজন মানব সন্তানের দৈহিক জন্মদাতা হয়ে তার সন্তানের দৈহিক ও মানুসিক বৃদ্ধিতে ভুমিকা রাখে তেমনিভাবে একজন শিক্ষক ও স্ত্রীর পিতাও তার আত্মিক ও ব্যক্তিত্ব বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকরী ভুমিকা রাখে। তাই, গত শতকের বিখ্যাত আলেম হযরত আল্লামা মোল্লা মোহাম্মাদ নারাক্বী(রহঃ) এই হাদীসের ব্যাখ্যায় লিখেছেনঃ “উপরোক্ত তিন প্রকার বাবার মধ্যে সবচেয়ে বেশী মর্যাদাবান হচ্ছে শিক্ষক।”
হযরত যুল ক্বারনাইনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তোমার পিতাকে বেশী ভালবাস নাকি তোমার শিক্ষককে? তিনি বলেছিলেন: “শিক্ষককে। কেননা, শিক্ষক আমার দুনিয়া ও আখেরাতের জীবনের সফলতার কারণ। দৈহিক জন্মদাতা পিতা আমার পার্থিব জন্মের কারণ মাত্র।”
✔️(জামিয়স সাআদাত, খন্ড ৩, পৃঃ নং ১৪০, ১৪১)💐🌹🌾🌷
শিক্ষক একজন শিক্ষার্থীর জন্যে এমন আধ্যাত্মিক ও আত্মিক জন্মদাতা যা তাকে ইহকাল ও পরকালে চিরস্থায়ী সৌভাগ্যের পানে নিয়ে যায়। তাই, একজন শিক্ষক তার শিক্ষার্থীর আধ্যাত্মিক ও রুহানী বাবা, এটা অযৌক্তিক কোন কিছু নয়।❌