৭ মহররম !
দূর্যোগের ঘণঘটার ডাক !
প্রকৃতির বিলাপের সুর বেজে উঠার প্রস্তুতি !
বয়ে যাওয়া ফোরাতের আর্তনাদ!
সে আর্তনাদ প্রকৃতির প্রিয় সত্ত্বাগুলোকে পানি থেকে বঞ্চিত করার !
শাসক হায়েনারুপি মুনাফিকদের প্রতি ঘৃণিত নিনাদ!
সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গের বিক্ষোভের বিষ্ফোরন !
ক্রধানলে উত্তপ্ত মরুর বালুকা রাশির আস্ফালন !
বনের পশু পাখির বাঁধভাঙ্গা অশ্রুধারা !
বিচিত্র প্রকৃতির সমাহারের গভীর ক্রন্দনের ফোয়ারা!
সব প্রত্যক্ষদশী হয়ে ঘৃণিত সে স্তবকই কানে বাজে!
কিভাবে পারলো হিংস্র শাবকেরা খোদার রহমতের
রক্তজদের বেঁচে থাকার নিয়ামক ফোরাতের পানি বন্ধ করে বিজয়ের জয়োল্লাস করার ?
প্রকৃতি আজ বুঝে নিয়েছে ,
হারামির রক্ত থেকে হারামই পয়দা হতে পারে !
করতে পারে জঘণ্য সব অপকর্ম!
কত অসহায় হয়ে আজ বন্দি শিবিরে কচি শিশুগুলো !
কতটা নির্মমতার কৌশলে আটকা পরে আছে ধরার সবচেয়ে পূণ্য আত্নাগুলো !
প্রতিটা হৃদয় আজ কতটা দগ্ধ হতে চলেছে !
মাসুমিয়াতে ভরা প্রতিটা দেহের অংগ প্রত্যংগ গুলো যেন মায়ার আকুতিতে ডাকছে কে কোথায় আছো
আমাদের সাহায্য করো !
অস্ফুট স্বরে কচি মুখ থেকে বের হচ্ছে আল আতাশ!আল আতাশ !
তবুও পাচ্ছে না একফোটা পানি !
পানির অভাবে গোলাপের কলিগুলো আজ চুপসে
ঝরাপাতার মতো খসে যাবে !
অথচ পাশেই বয়ে যাওয়া ফোরাতের টলটলে পানির শব্দ !
তার সব স্নিগ্ধভরা সুমিস্ট পানি শুধুই পাপাত্নাদের জন্য !
আর বনের পশুদের !
ওরা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবে পূণ্যাত্নাদের তৃষ্ণার্ততার বিলাপ !
ওরা দেখতে চায় তাঁদের অসহায় আত্ন সমর্পন!
ওরা হাসতে চায় দাঁত কেলিয়ে নির্মমতার জৌলুস নিয়ে!
সাধ যদি থাকে তবে আয় এক এক করে তোদের জৌলুসতার দাঁত ভেঙ্গে দেব !
ফোরাত বন্ধ করেছিস তো কি হয়েছে?
মনে করেছিস সহসায় ধরা দেব ?
মুহাম্মদের রক্ত এখনো দেহের প্রতি শিরায় উপশিরায় টগবগ করছে !
প্রয়োজনে শোণিতের নহর বয়িয়ে উর্বর করে দেবো এই কারবালা !
কলেমার মন্ত্রে দিক্ষিত পূণ্যাত্না
সব বিকিয়ে হলেও কলেমার জয় ছিনিয়ে আনবেই!
তোরা দেখিস সেদিন !!
___মাসুদ রানা তরুন ।