বর্ণিত যে, একদা বাদশাহ্ ইস্কান্দার মাকদুনী (আলেকজান্ডার) বাক্যালাপের উদ্দেশ্যে দিভ্জান্স-এর খেদমতে আগমন করেন। দিভ্জান্স ছিলেন একজন নির্জনবাসী ও আধ্যাত্মিক সাধক। বাদশাহ্ ইস্কান্দার তার কাছে গেলে তিনি আশানুরূপ সম্মান পেলেন না। এতে করে তিনি অত্যন্ত ক্রোধান্বিত হয়ে পড়েন। বাদশাহ ক্রোধের স্বরে তাকে বলেন : “এটা কি ধরনের আচরণ তুমি আমার সাথে করলে? তুমি মনে করেছো আমার কাছে তোমার কোন কিছুর প্রয়োজন নেই।”
“জি হ্যাঁ, প্রয়োজন নেই।” উত্তর দিলেন সাধক। বাদশাহ্ : “তোমাকে তো অ-মুখোপেক্ষী দেখছি না। মাটির উপর বসে আছো দেখছি আর আসমান তো তোমার ঘরের ছাদ। আমার কাছে কিছু চাও যেন তোমাকে দিতে পারি।”
সাধক : “হে বাদশাহ্! আমার একান্ত অনুগত দু’টি দাস আছে যারা তোমার মনিব। সেহেতু তুমি আমার দাসদেরও দাস।”
বাদশাহ্ : “তোমার যে দাসেরা আমার মনিব তারা কারা?” সাধক : “তারা হলো কাম এবং ক্রোধ। আমি ঐ দু’টোকে নিজের অধীনে এনে দাসত্বের শৃংখল গলায় পড়িয়ে দিয়েছি। আর এরাই তোমার উপর কর্তৃত্ব করছে। তারাই তোমার মনিব। তারা যেদিকে তোমাকে নেয় তুমিও সেদিকে চল। এখান থেকে চলে যাও। এখানে এই দু’য়ের কোন স্থান নেই।” (ইবনু ফাতিক; মুখতারুল হিকাম ওয়া মাহাসিনুল কিলাম,পৃঃ নং ৭৩)।