মুসলিম মিল্লাতের জন্য জুমআ’র দিন ও জুমআ’র নামাজ এক বড় নেয়ামত। কেননা, যুগ, কাল, বছর ও মাসের আবর্তনে আল্লাহপাকের অসীম রহমত ও কুদরতের ঝর্ণাধারা জুমার দিনকে কেন্দ্র করেই প্রবাহিত হয়ে চলেছে। মহান রাব্বুল আলামীন সৃষ্টি জগতের নিয়ম শৃঙ্খলা সুষ্ঠুভাবে বজায় রাখার জন্য বছর, মাস, সপ্তাহ ও দিনের ব্যবস্থা করেছেন। সপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলোর মধ্যে জুম’আ বার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। জুম’আর দিন ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার ন্যায় একটি ঈদের দিন। জুমআ’র দিন এবং রাতের ফযিলত ও মর্যাদা সম্পর্কে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে। নবী করিম (সা.) বলেছেন, সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম ও শ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমআ’র দিন। এই বরকতময় ও মর্যাদাপূর্ণ দিনটিতে আল্লাহপাক উম্মতে মুহাম্মাদীর উপর কিছু শর্ত সাপেক্ষে জুমআ’র নামাজকে ফরজ করেছেন। আল কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, “যখন জুমআ’র দিন নামাজের জন্য আহবান করা হবে, তখন তোমরা আল্লাহর যিকিরের দিকে দৌড়ে এসো।”
জুমআ’র দিনের পাঁচটি বৈশিষ্ট রয়েছে:
👉 হযরত আদম (আ.)কে এই দিনে সৃষ্টি করা হয়।
👉 হযরত আদম (আ.)কে এই দিনে দুনিয়ার বুকে প্রেরণ করা হয়।
👉 হযরত আদম (আ.) এই দিনেই ইহলোক ত্যাগ করেন।
👉 এই দিনে এমন সময় আছে যখন আল্লাহর কাছে বৈধ যা কিছু চাওয়া হয় আল্লাহ তার বান্দাকে তাই দান করেন।
👉 আল্লাহ তায়ালার নিকটতম ফেরেশতা, আসমান, জমিন, সমুদ্র, মরুপ্রান্তর সব কিছুই শুক্রবারের দিনটিকে ভয় করে, কারণ এদিনেই কেয়ামত সংঘটিত হবে।
[“মাফাতিহুল জিনান” নামক দোয়ার কিতাব থেকে উদ্ধৃত।]