হুসাইন(আ:) কে?
(পর্ব-৪)
– নূরে আলম মুহাম্মাদী।




হুসাইন(আ:) কে? তা কি জানো? তাহলে বলি শোন।
হুসাইন!!!
হুসাইন(আ:), হাসানের(আ.) সহোদর ভাই,
যারা নবীজীর(সা.) কোলে নিয়েছিলেন ঠাই।
হাসান ও হুসাইনকে দিয়েছেন নবী
বেহেশতীদের সর্দার করে,
খোদ দয়াল নবী যেখানে
আছেন বেহেশতের সদস্য হয়ে।
হুসাইন!!!
খোদায়ী সকল বিষয়ের তারকা যে তিনি,
তাই তো,
হুসাইনের গালে, গলায়, ঠোটে চুমু খেয়ে বলতেন নবীজী,
হুসাইন! তুমি যে আমার
দু’নয়নের মনি।
এ জগতের তারকারা মিটি মিটি জ্বলে,
কারণ, তারা যে রয়েছে আমাদের বহু বহু দূরে।
আর খোদায়ী তারকা হুসাইন!!
যত দুরেই থাক, আরশের আলো জ্বালায় অবিরাম,
প্রতিটি অসহায়, বঞ্চিতের ঘরে।
হুসাইন(আ:) কে? তা কি জানো? আরো বলি শোন।
নুহের কিস্তি বলেন নবীজী
তাঁর আহলে বাইতকে,
আর এ কিস্তিই যে নাজাতের তরী
তাও বলে গেলেন অকপটে।
কিন্তু, এর মধ্যে হুসাইন!!
আহলে বাইতের অন্যতম
ব্যতিক্রমী সদস্য যিনি।
সকলের মাঝে বেছে নিলেন
দয়াল নবী, বললেন তিনিঃ
“হুসাইন যে চেরাগ হেদায়েতের,
আর কিস্তি হলো নাজাতের!”
কেননা, কঠিন ও ব্যতিক্রমী কাজটি করেছেন হুসাইন,
শাহাদাতের শুরা পানে খোদায়ী ভুবনে
মাতাল হয়ে সর্বস্ব দিয়েছেন
উজার করে দ্বীনের কাবণে।
তাই, এককভাবে এ গর্ব শুধু হুসাইনের,
নাজাতের তরী হয়েছেন তিনি
সব মানুষের
ইহকাল ও পরকালের।
হাশরের ময়দানে আর বেহেশতে
যার ক্ষমতা আর মমতা সবচাইতে বেশী হবে,
তিনি সেই হুসাইন!!!
হাশরের দিন হুসাইনের আশেকদের অবস্থা দেখে,
রহমতের প্রভু অস্থির হবেন
কখন যে এ ঘোর কেটে যাবে?!!
হুসাইনও তাঁর আশেকদের আশেক হয়ে
খোদায়ী জগতের মেলা বসাবেন তাদের নিয়ে।
হাশরের ময়দান অবাক হবে সেদিন,
সকল কার্যক্রম
থমকে দাঁড়াবে সেদিন,
হুসাইনের জ্যোতি আর খোদায়ী আরশ
একাকার হবে সেদিন।
তাই, আসবে ডাক আরশে মাওলা থেকে
এই পাগলদের টেনে নিয়ে যাও বেহেশতের দিকে।
খোদায়ী তারকা আর আশেক্বানে হুসাইন,
একই মেলায় বেহেশতে সব
ঘুরে ঘুরে দেখবেন শুধু
হুসাইন আর হুসাইন আর হুসাইন!!!
______________