হারাম ও মাকরুহ রোযা

423

হারাম ও মাকরুহ রোযাঃ👇
☆ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন রোযা রাখা হারাম এবং যেদিন কেউ জানে না যে, মাহে শাবানের শেষ দিন নাকি মাহে রমযানের শুরু, যদি সে প্রথম রোযার নিয়তে রোযা রাখে তাহলে সেটা হারাম হবে।

☆যদি কোন মহিলা তার রোযা রাখার কারণে তার স্বামীর অধিকার ক্ষুন্ন হয়, তদ্রুপ যদি তার স্বামী তাকে রোযা থেকে বিরত রাখে তাহলে এক্ষত্রে ফরজ সতর্কতা হচ্ছে, সে যেন রোযা রাখা থেকে বিরত থাকে।

☆পিতা-মাতা বা দাদা-দাদির বিরক্তির কারণ হলে সন্তানদের জন্য নফল ও মুস্তাহাব রোযা রাখা জায়েয নয়, বরং যদি এটি তাদের বিরক্তির কারণ নাও হয়, কিন্তু তারা তাকে এই নফল রোযা রাখতে বাধা দেয়, তাহলে ফরজ সতর্কতা হচ্ছে যে, এই রোযা না রাখা।

☆যদি কোন ছেলে তার পিতার অনুমতি ব্যতীত মুস্তাহাব বা নফল রোযা রাখে এবং দিনের মাঝখানে পিতা তাকে নিষেধ করে তাহলে তার রোযা ভেঙ্গে ফেলতে হবে।

☆যে ব্যক্তি জানে যে, রোযা রাখা তার জন্য ক্ষতিকর নয়, এমনকি যদি ডাক্তার বলে যে, এটি ক্ষতিকর, তারপরো তার রোযা রাখা উচিত। অন্যদিকে যে ব্যক্তি নিশ্চিত যে, রোযা রাখা তার জন্য ক্ষতিকারক, যদিও ডাক্তার বলে যে, এটা ক্ষতিকর নয়, তারপরো তার রোযা রাখা উচিত হবে না। আর যদি সে রোজা রাখে তবে তা বৈধ হবে না যতক্ষণ না আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে তার রোযা রাখার পর স্পষ্ট হয়ে যায় যে, রোযা রাখার কারণে তার কোন ক্ষতি হয়নি।

☆যদি কোন ব্যক্তি রোযা রাখা তার জন্য ক্ষতিকর হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করে এবং সেই সম্ভাবনা থেকে সে নিজের ক্ষতির আশঙ্কা করে, যদিও সাধারণ লোকজনের দৃষ্টিতে রোযা রাখা সঠিক বলে সাব্যস্থ হয়ে থাকে, তারপরো তার রোযা রাখা উচিত নয়। সে যদি রোযা রাখে তাহলে সেটা জায়েয হবে না। ব্যতিক্রম হচ্ছে যে, আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে রোযা রাখার পর যদি স্পষ্ট হয়ে যায় যে, রোযা রাখার কারণে তার কোন ক্ষতি হয়নি।

☆যে ব্যক্তির বিশ্বাস রোযা তার জন্য ক্ষতিকর নয়, সে যদি রোযা রাখে এবং মাগরিবের পর বুঝতে পারে যে, রোযা তার জন্য ক্ষতিকর ছিল, তাহলে তাকে সেই রোযার ক্বাযা করতে হবে।

☆আশুরার দিনের রোযা এবং যেদিন কোনো ব্যক্তি সন্দেহ করে যে, এটা আরাফার দিন নাকি ঈদুল আযহার দিন, সেদিন রোযা রাখা মাকরুহ।

☆উল্লেখিত রোযাগুলো ছাড়াও আরো কিছু হারাম রোযা রয়েছে যা বিস্তারিতভাবে বিভিন্ন কিতাবে বর্ণিত হয়েছে।

Related Post

মাহরাম ও না-মাহরাম

Posted by - সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
মাহরাম অর্থ যার সাথে বিয়ে করা হারাম এবং যার সাথে খোলামেলা দেখা সাক্ষাত করা জায়েয। মাসআলাঃ মাহরাম ব্যক্তির সাথে বিয়ে…

ওযুর মাসআলা

Posted by - সেপ্টেম্বর ১, ২০১৯
ওযুর ফরজ চারটিঃ ১। মুখমন্ডল ধৌত করা ২। হাত ধোয়া ৩। মাথা মাসেহ করা ৪। পা মাসেহ করা   মাসআলাঃ…

ব্যান্ডিসের উপর ওযু

Posted by - সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
???? ওযুর অঙ্গসমূহের কোনটিতে যদি ব্যান্ডিস থাকে তাহলে ব্যান্ডিসের আশ পাশ ধোয়ার পর যদি ব্যান্ডিস পাক থাকে তাহলে হাত ভিজিয়ে তার…

আল-কোরআন ও হাদীসের আলোকে ইফতারের সহিহ্ সময়সীমা

Posted by - মার্চ ২৪, ২০২৩
রোযা সম্পর্কে কয়েকটি তাৎপর্যপূর্ণ আয়াত: يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ…

আযানের মাসআলা

Posted by - অক্টোবর ৬, ২০১৯
মাসআলাঃ আযান ও ইক্বামত, জামায়াত অথবা ফুরাদা, কোন নামাজের জন্যেই ফরজ নয়। মূলতঃ আযান ও ইক্বামত নামাজের অংশ নয়। জামায়াত…

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »