হযরত মুহাম্মাদ ইবনে আলী আল্ বাক্বির হতে বর্ণিত কিছু হাদিসঃ
💠 হাদিস নং ১ 💠
🖊ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে আলী আল বাক্বির (আ.): যে ব্যক্তি প্রতি রাতে ঘুমানোর পূর্বে সূরা আল ওয়াক্বিয়া (৫৬ নং সূরা) তিলাওয়াত করে সে ব্যক্তি চন্দ্র মাসের চৌদ্দ তারিখের চাঁদের মত উজ্জ্বল চেহারার অধিকারী হয়ে আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে।” (সাওয়াবুল আমাল, পৃঃ নং ২৫১)।
ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে আলী আল বাক্বির সালাওয়াতুল্লাহি ওয়া সালামুহু আলাইহিঃ
[যে ব্যক্তি নামাজের রুকু, সিজদা ও ক্বিয়ামে
اَلْلَّهُمَّ صَلِّ عَلَيْ مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ
“আল্ল–হুম্মা সাল্লি আ’লা মুহাম্মাদ ওয়া আলে মুহাম্মাদ” বলবে, আল্লাহ তাকে রুকু, সিজদা ও ক্বিয়ামের সম পরিমান সাওয়াব তার আমলনামায় লিখে দিবেন।]
(সাওয়াবুল আ’মাল ওয়া ইক্বাবুল আ’মাল, হাদিস নং ১৪১)।
💠 হাদিস নং ৩ 💠
নবীকুলের শিরমনি হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের আহলে বাইতের পঞ্চম ইমাম, বাক্বিরুল উলুম হযরত মুহাম্মাদ ইবনে আলী আল বাক্বির সালাওয়াতুল্লাহি ওয়া সালামুহু আলাইহিঃ
“মিথ্যা পরিহার করা ঈমানের অংশ।”
📚ওয়াসাইলুশ শিয়া, খন্ড ২, পৃঃ নং ২৩৩।
💠 হাদিস নং ৪ 💠
“মু’মিন ব্যক্তি ভীতু, লোভি ও কৃপণ হয় না।”
📚ওয়াসাইলুশ শিয়া, খন্ড ২, পৃঃ নং ৬।
💠 হাদিস নং ৫ 💠
“দুনিয়ার প্রতি লোভ রেশম পোকার গুটির ন্যায়, যতই তার উপর সুতার আবরণ তৈরী করবে ততই তা থেকে বেরিয়ে আসা কষ্টকর হয়ে পড়বে।”
📚ওয়াসাইলুশ শিয়া, খন্ড ২, পৃঃ নং ৪৭৪।
💠 হাদিস নং ৬ 💠
“আল্লাহ্ তা’য়ালা লজ্জা ও সহনশীলতাকে পছন্দ করেন।”
📚ওয়াসাইলুশ শিয়া, খন্ড ২, পৃঃ নং ৪৫৫।
💠 হাদিস নং ৭ 💠
✨ইমাম আল বাক্বির (আ.) বলেনঃ
【যখনি আল্লাহর কোন বান্দা একটা গুনাহ করে তখনি একটা কালো দাগ তার অন্তরে সৃষ্টি হয়ে যায়। যদি সে তাওবা করে গুনাহ থেকে ফিরে আসে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তখন তার ক্বলব পরিস্কার হয়ে যায়। আর যদি পুনরায় গুনাহতে ফিরে যায় তখন তার অন্তর কালো অন্ধকারে ভরে যায়।】
আল কাফি, খণ্ড ২, পৃঃ নং ২৭৩।