🌹হাদিস নং ২🌹
🔳হযরত ইমাম জাফার আস সাদিক্ব আলাইহিস সালামঃ
✍”【এ পৃথিবী ইমামের উপস্থিতি ছাড়া সংশোধন হবে না। যে ব্যক্তি ইমাম কে না চেনে মারা যায় সে জাহেলিয়াতের মৃত্যুবরণ করে। আর যখন তোমাদের রুহ এখানে এসে পৌছে –ইমাম তাঁর হাত দিয়ে বুকের দিকে ইশারা করলেন, তখন সবচেয়ে বেশী এই পরিচয় জ্ঞান প্রয়োজন। (আর এই সঠিক পরিচয় নিয়ে মৃত্যুবরণের পর বলতে পারবে) আমি সঠিক পথে ছিলাম।】
📚বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ২৩, পৃঃ নং ৭৬ ও ৭৭।
🌹হাদিস নং ৩🌹
🔳হযরত ইমাম জাফার আস সাদিক্ব আলাইহিস সালামঃ
إستَنزلوا الرِّزقَ بِالصَّدَقَةِ
“সদকা প্রদানের মাধ্যমে তোমরা রিযিক অবতীর্ণ করো।”
📚 মান লা ইয়াহ্-দ্বারুহুল ফাক্বিহ, খণ্ড ২, পৃঃ নং ৬৬, হাদিস নং ১৭৩০; আল কাফি, খণ্ড ৪, পৃঃ নং ৩, হাদিস নং ৫, ইসলামিয়া প্রকাশনা, তেহরান; তুহাফল উক্বুল, পৃঃ নং ৬০।
🌹হাদিস নং ৪🌹
🔳হযরত ইমাম জাফার আস সাদিক্ব আলাইহিস সালামঃ
“এক দিরহাম [=সর্ব নিম্ন পরিমান অর্থ] সদকা দেয়া একদিন রোজা রাখার চেয়েও উত্তম।”
📚 মান লা ইয়াহ্-দ্বারুহুল ফাক্বিহ, খণ্ড ২, পৃঃ নং ৮৪, হাদিস নং ১৭৯৪; সাওয়াবুল আ’মাল, পৃঃ নং ৮২।
🌹হাদিস নং ৫🌹
🔳হযরত ইমাম জাফার আস সাদিক্ব আলাইহিস সালামঃ
مَنْ تَصَدَّقَ فى يَوْمٍ اَو لَيْلَةٍ اِنْ كَانَ يَوْمٌ فَيَوْمٌ وَ اِنْ كانَ لَيْلَةٌ فَلَيْلٌ دَفَعَ اللّه ُعَزَّ وَ جَلَّ عَنْهُ الْهَمَّ وَ السَّبُعَ وَ ميتَةَ السُّوءِ؛
“যে ব্যক্তি দিনে অথবা রাতে সদকা প্রদান করে, যদি দিনে হয় তো দিনে আর যদি রাতে হয় তো রাতে, আল্লাহ তার কাছ থেকে দুশ্চিন্তা ও মনঃকষ্ট, হিংস্র প্রাণীর আক্রমন এবং অপমৃত্যু দূর করে দিবেন।”
📚 সাওয়াবুল আমাল, পৃঃ নং ১৪০।
🌹হাদিস নং ৬🌹
🔳হযরত ইমাম জাফার আস সাদিক্ব আলাইহিস সালামঃ
“আল্লাহ কসম! (নিচের) এই দরুদের মাধ্যমে একজন মানুষ সদ্য ভুমিষ্ট শিশুর ন্যায় গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে যায়।”
صَلَواتُ اللهِ وَ صَلَواتُ مَلائِکَتِهِ وَ أنْبِیائِهِ وَ رُسُلِهِ وَ جَمیعِ خَلْقِهِ عَلی مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ وَ السَّلام عَلَیْهِ وَ رَحَمهُ اللهِ وَ بَرَکاتُهُ
〖সালাওয়াতুল্ল-হি ওয়া সালাওয়াতু মালাইকাতিহি ওয়া আম্বয়াইহি ওয়া রুসূলিহি ওয়া জামিয়ি’ খালক্বিহি আলা মুহাম্মাদিউ ওয়া আলে মুহাম্মাদ। ওয়াস্ সালামু আলাইহি ওয়া রাহমাতুল্ল-হি ওয়া বরাকাতুহুহ্ 〗
📚মাআনিল আখবার, খণ্ড ২, পৃঃ নং ৩৬২🌹হাদিস নং ৭🌹
🌹হাদিস নং ৮🌹
❥✦🔳হযরত ইমাম জাফার আস সাদিক্ব আলাইহিস সালামঃ
كَتَبَ رَجُلٌ إِلَى أَبِی ذَرٍّ رَضِیَ اللَّهُ عَنْهُ یَا أَبَا ذَرٍّ أَطْرِفْنِی بِشَیْءٍ مِنَ الْعِلْمِ فَكَتَبَ إِلَیْهِ أَنَّ الْعِلْمَ كَثِیرٌ وَ لَكِنْ إِنْ قَدَرْتَ أَنْ لَا تُسِیءَ إِلَى مَنْ تُحِبُّهُ فَافْعَلْ قَالَ فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ وَ هَلْ رَأَیْتَ أَحَداً یُسِیءُ إِلَى مَنْ یُحِبُّهُ فَقَالَ لَهُ نَعَمْ نَفْسُكَ أَحَبُّ الْأَنْفُسِ إِلَیْكَ فَإِذَا أَنْتَ عَصَیْتَ اللَّهَ فَقَدْ أَسَأْتَ إِلَیْهَا
✍[একবার কোন এক ব্যক্তি আল্লাহর রাসূল (সা.)-এর সম্মানিত সাহাবী হযরত আবুযার গিফারী (রাঃ)-এর কাছে উপদেশ চেয়ে একটি পত্র লিখেন। হযরত আবুযার গিফারী (রাঃ) পত্রের জবাবে লিখেনঃ
✍“যাকে তুমি অন্য সকলের চেয়ে বেশী ভালবাস তার সাথে মন্দ আচরণ করো না।”
পত্র প্রেরক লোকটি বললো, এটা কি সম্ভব? যাকে কেউ অন্য সকলের চেয়ে বেশী ভালবাসে তার সাথে কী সে মন্দ আচরণ করতে পারে?
হযরত আবুযারের (রাঃ) কথার উদ্দেশ্য বুঝতে না পেরে ব্যাখ্যা চেয়ে সে পুনরায় হযরত আবুযারের (রাঃ) কাছে পত্র লিখলো। জবাবে হযরত আবুযার (রাঃ) লিখলেনঃ
✍“জ্বী, হ্যাঁ, তোমার সবচেয়ে প্রিয়তম বন্ধু তুমি নিজেই। তুমিই তোমাকে অন্য মানুষের চাইতে অধিক ভালোবাস। কোন মানুষ যখন গুনাহ করে, তখন সে নিজেকেই ক্ষতিগ্রস্থ করে। আর গুনাহ করে সে নিজেই নিজের শত্রুতে পরিণত হয়ে যায়।]
📚আল কাফি, খণ্ড ২, পৃঃ নং ৪৫৮, ইসলামিয়্যা প্রকাশনা; দসতনহইয়ে উসুলে কাফি, পৃঃ নং ৫৪১।
🌹হাদিস নং ৯🌹
❥✦🔳হযরত ইমাম জাফার আস সাদিক্ব আলাইহিস সালামঃ
- যে গুনাহ নেয়ামতকে পরিবর্তন করে দেয় তা হচ্ছে, সীমা লংঘন করা।
- যে গুনাহ মানুষকে অনুতপ্ত ও হতাশ করে তা হচ্ছে, মানুষ হত্যা করা।
- যে গুনাহ মানুষকে বিপদে ফেলে তা হচ্ছে, জুলুম করা।
- যে গুনাহ মানুষকে অপমানিত করে তা হচ্ছে, মদ পান করা।
- যে গুনাহ মানুষের রিজিক নষ্ট করে দেয় তা হচ্ছে, যেনা বা ব্যাভিচার।
- যে গুনাহ মানুষের মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করে তা হচ্ছে, আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট করা।
- যে গুনাহ দোয়া কবুলে বাধা দেয় এবং মানুষের জীবনকে অন্ধকার করে দেয় তা হচ্ছে, নেক কাজে পিতামাতার অবাধ্যতা।
🌹হাদিস নং ১০🌹
❥✦🔳হযরত ইমাম জাফার আস সাদিক্ব আলাইহিস সালামঃ
সবচেয়ে নিকৃষ্ট গুনাহ তিনটিঃ↯
⇦কোন প্রাণী হত্যা করা।
⇦ স্ত্রীর মোহরানা আদায় না করা।
⇦ শ্রমিকের পারিশ্রমিক পরিশোধ না করা।
📚মিযানুল হিকমাহ, খণ্ড ৪, পৃঃ নং ২৭০, হাদিস নং ৬৭৭৯।
🌹হাদিস নং ১১🌹
হযরত ইমাম জা’ফার ইবনে মুহাম্মাদ আস সাদিক্ব আলাইহিস সালামঃ
يَا عَبِيْدَ بْنَ زُرَارَةِ اِنَّ السَّرْفَ یُوْرِثُ الفَقْرَ وَ اِنَّ القَصْدَ یُوْرِثُ الغِنَی.
“হে আবিদ ইবনে যুরারাহ! জেনে রাখো, অপচয় অভাব ডেকে আনে এবং মিতব্যয়ীতা সম্পদশালী হওয়া ও অমুখোপেক্ষীতার কারণ হয়।”
📚ফুরু আল কাফি, খণ্ড ১, পৃঃ নং ১৭৭।
🌹হাদিস নং ১২🌹
হযরত ইমাম জা’ফার ইবনে মুহাম্মাদ আস সাদিক্ব আলাইহিস সালামঃ
حَدَّثَنَا أَبِي رَضِيَ اَللَّهُ عَنْهُ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اَللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ اَلْحِمْيَرِيُّ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عِيسَى عَنِ اَلْحَسَنِ بْنِ مَحْبُوبٍ عَنْ عَلِيِّ بْنِ رِئَابٍ عَنِ اَلْحَلَبِيِّ عَنْ أَبِي عَبْدِ اَللَّهِ عَلَيْهِ السَّلاَمُ قَالَ: لَيْسَ يَتْبَعُ اَلرَّجُلَ بَعْدَ مَوْتِهِ مِنَ اَلْأَجْرِ إِلاَّ ثَلاَثُ خِصَالٍ صَدَقَةٌ أَجْرَاهَا فِي حَيَاتِهِ فَهِيَ تَجْرِي بَعْدَ مَوْتِهِ إِلَى يَوْمِ اَلْقِيَامَةِ صَدَقَةٌ مَوْقُوفَةٌ لاَ تُورَثُ أَوْ سُنَّةُ هُدًى سَنَّهَا فَكَانَ يَعْمَلُ بِهَا وَ عَمِلَ مِنْ بَعْدِهِ غَيْرُهُ أَوْ وَلَدٌ صَالِحٌ يَسْتَغْفِرُ لَهُ .
“একজন মানুষের মৃত্যুর পর তার কাছে কোন সাওয়াব আর পৌছুবে না শুধুমাত্র তিনটি বিষয় ব্যতিতঃ
(একঃ) যে সদকা বা দান দুনিয়াতে চলমান রেখে গেছে তা তার মৃত্যুর পর কিয়ামত পর্যন্ত জারী থাকবে,
অথবা (দুইঃ) হেদায়েতের কোন প্রথা যা চালু করে রেখে গেছে, তার মৃত্যুর পর সেই হেদায়েতের উপর যে আমল চলতে থাকবে,
অথবা (তিনঃ) পুণ্যবান সন্তান যে তার [=বাবার] জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।”
(আল খিসাল, শেইখ সাদুক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি, খণ্ড ১, পৃঃ নং ১৫১, বাব সালাসা, নামঃ “লাইসা ইয়াতবাউর রাজুল বা’দা মাওতিহি ইল্লা সালাসা খিসাল”); আল আমালী, শেইখ সাদুক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি, পৃঃ নং ৮৭।
কোন কোন হাদিসের শেষের অংশে أَوْ وَلَدٌ صَالِحٌ يَسْتَغْفِرُ لَهُ –এর পরিবর্তে
আছেঃ
أَوْ وَلَدٌ صَالِحٌ يَدْعُو لَهُ
অর্থাৎ “অথবা (তিনঃ) পুণ্যবান সন্তান যে তার [=বাবার] জন্যে দোয়া করবে।”
📚আল কাফি, খণ্ড ৭, পৃঃ নং ৫৬, কিতাবুল ওয়াসা-ইয়া, বাব ইয়ালহাক্বুল মাইয়িত বা’দা।
🌹হাদিস নং ১৩🌹
হযরত ইমাম জা’ফার ইবনে মুহাম্মাদ আস সাদিক্ব আলাইহিস সালামঃ
مَن صَامَ لِلَّهِ عَزَّ وَ جَلَّ یَومًا فِی شِدَّةِ الحَرِّ فَاَصَابَهُ ظَمَاً وَکَلَ اللهُ بِهِ اَلفَ مَلَکٍ یَمسَحُونَ وَجهَهُ وَ یُبَشِّرُونَهُ حَتَّی اِذَا اَفطَرَ
“যে ব্যক্তি প্রচন্ড গরমের দিনে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে রোজা রাখে ও পিপাষার্ত থাকে, আল্লাহ তার জন্যে এক হাজার ফেরেস্তা নিয়োগ দেন. যেন তারা ঐ ব্যক্তির চেহারায় হাত বুলিয়ে দেয় এবং তাকে ইফতারের সময় পর্যন্ত বেহেস্তের সুসংবাদ দান করে।”
📚আল কাফি, খণ্ড ৪, পৃঃ নং ৬৪, হাদিস নং ৮; বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৯৩, পৃঃ নং ২৪৭।
🌹হাদিস নং ১৪🌹
হযরত ইমাম জাফার ইবনে মুহাম্মাদ আস্ সাদিক্ব আলাইহিস সালামঃ
“শুক্রবারের দিন দরুদ ও সালাওয়াত পাঠের চেয়ে উত্তম আমল আর নেই।”
📚আল খিসাল, পৃঃ নং ৩৯৪।
🌹হাদিস নং ১৫🌹
ইমাম জাফার আস সাদিক্ব আলাইহিস সালাম ইমাম আমিরুল মুমিনিন আলী আলাইহিস সালামের কাছ থেকে বর্ণনা করছেনঃ
عِدَّةٌ مِنْ أَصْحَابِنَا عَنْ سَهْلِ بْنِ زِیَادٍ عَنْ عُبَیْدِ اللَّهِ الدِّهْقَانِ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عُمَرَ الْحَلَبِیِّ عَنْ یَحْیَى بْنِ عِمْرَانَ عَنْ أَبِی عَبْدِ اللَّهِ علیه السلام قَالَ : كَانَ أَمِیرُ الْمُؤْمِنِینَ علیه السلام یَقُولُ : بِالْعَقْلِ اسْتُخْرِجَ غَوْرُ الْحِكْمَةِ وَ بِالْحِكْمَةِ اسْتُخْرِجَ غَوْرُ الْعَقْلِ وَ بِحُسْنِ السِّیَاسَةِ یَكُونُ الْأَدَبُ الصَّالِحُ قَالَ: وَ كَانَ یَقُولُ : التَّفَكُّرُ حَیَاةُ قَلْبِ الْبَصِیرِ كَمَا یَمْشِی الْمَاشِی فِی الظُّلُمَاتِ بِالنُّورِ بِحُسْنِ التَّخَلُّصِ وَ قِلَّةِ التَّرَبُّص
“প্রজ্ঞার গভীরতা আক্বল ও বিবেকের মাধ্যমে এবং আক্বলের গভীরতা প্রজ্ঞার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সঠিক পরিচালনা আদবের মাধ্যমে যথপোযুক্ত হয়। চিন্তা-ভাবনা ও বিবেক বুদ্ধির প্রয়োগ অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তির জীবনের উৎস। যেমনি করে একজন ব্যক্তি অন্ধকারে আলোর মাধ্যমে পথ চলার কারণে বিপদ থেকে মুক্তি পায় এবং সে পথিমধ্যে অল্পই থেমে থাকে।” আল কাফি, খণ্ড ১, পৃঃ নং ২৮।
🌹হাদিস নং ১৬🌹
হযরত ইমাম জাফার ইবনে মুহাম্মাদ আস্ সাদিক্ব সালাওয়াতুল্লাহি ওয়া সালামুহু আলাইহিঃ
أَیُّمَا عَبْدٍ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ سَنَّ سُنَّةَ هُدًى كَانَ لَهُ أَجْرٌ مِثْلُ أَجْرِ مَنْ عَمِلَ بِذَلِكَ مِنْ غَیْرِ أَنْ یَنْقُصَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَیْءٌ وَ أَیُّمَا عَبْدٍ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ سَنَّ سُنَّةَ ضَلَالٍ كَانَ عَلَیْهِ مِثْلُ وِزْرِ مَنْ فَعَلَ ذَلِكَ مِنْ غَیْرِ أَنْ یَنْقُصَ مِنْ أَوْزَارِهِمْ شَیْء
“যদি আল্লাহর কোন বান্দা কোন হেদায়াতপূর্ণ পন্থা ও রেওয়াজ চালু করে (দুনিয়া থেকে চলে) যায়, আর অন্য মানুষেরা সেই অনুযায়ী আমল করে, তাহলে তার (রেওয়াজ ও পন্থা সৃষ্টিকারীর) জন্যে আমালকারী ব্যক্তিদের সমান পুরুস্কার বরাদ্ধ থাকবে, যদিও তাদের পুরুস্কার থেকে কোন কিছু কমানো হবে না। তদ্রুপ যদি আল্লাহর কোন বান্দা কোন অসৎ ও গোমরাহী পন্থা ও রেওয়াজ চালু করে (দুনিয়া থেকে চলে) যায়, আর অন্য মানুষেরা সেই অনুযায়ী আমল করে, তাহলে তার (রেওয়াজ ও পন্থা সৃষ্টিকারীর) জন্যে আমালকারী ব্যক্তিদের সমান গুনাহ বরাদ্ধ থাকবে, যদিও তাদের গুনাহ থেকে কোন কিছু কমানো হবে না।”
(সাওয়াবুল আ’মাল ওয়া ইক্বাবুল আ’মাল লি শেইখ সাদুক্ব, পৃঃ নং ১৩২)।
🌹হাদিস নং ১৭🌹
হযরত ইমাম জাফার ইবনে মুহাম্মাদ আস সাদিক্ব আলাইহিস সালামঃ
لِلْمُسْرِفِ ثَلاَثَ عَلاَمَاْتٍ یَشْتَرِیْ مَاْ لَیْسَ لَهُ وَ یَلْبَسُ مَاْ لَیْسَ لَهُ وَ یَاْکُلُ مَاْ لَیْسَ لَهُ.
“অপচয়কারীর তিনটি চিহৃ আছেঃ
একঃ এমন কিছু ক্রয় করে যা তার জন্যে উপযুক্ত নয়।
দুইঃ এমন কিছু পরিধান করে যা তার জন্যে উপযুক্ত নয়।
তিনঃ এমন কিছু খায় যা তার জন্যে উপযুক্ত নয়।”
(তাফসীরু নুরুস্ সাক্বালাইন, খণ্ড ১, সূরা আল ইনআম, পৃঃ নং ৭৭২)।
🌹হাদিস নং ১৮🌹
❥✦হযরত ইমাম জাফার আস সাদিক্ব (আলাইহি সালাওয়াতুল্লাহ):
ما من عبد شرب الماء فذکر الحسین و لعن قاتله الا کتب له مأة الف حسنة و حط عنه مأة الف سیّئة
✍«যদি কেউ পানি পান করার সময় ইমাম হুসাইনকে স্মরণ করে এবং তাঁর হত্যাকারীদের উপর লানত বর্ষন করে, তাহলে ঐ ব্যক্তির জন্যে এক লক্ষ নেকী লেখা হবে এবং তার এক হাজার গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।»
📚আল আমালী লি শেইখ সাদুক্ব (রহঃ), পৃঃ নং ১২২।
🌹হাদিস নং ১৯🌹
🔳হযরত ইমাম জাফার আস সাদিক্ব(আ:) তাঁর একজন সাহাবীকে জিজ্ঞেস করলেনঃ
“কতবার তুমি হজ্বে গমন করেছো?”
সে বল্লোঃ “উনিশ বার হজ্ব করেছি।”
ইমাম বলেনঃ “আরেকবার হজ্ব করে বিশ বার পূর্ণ করো, যেনো একবার ইমাম হুসাইনের যিয়ারত করার সমান সাওয়াব তোমার জন্যে লিখা হয়।”
📚কামিলুয যিয়ারাত, পৃঃ নং ১৬২।
🌹হাদিস নং ২০🌹
🖊 *ইমাম জাফার আস সাদিক্ব (আ.):*👇
“যে কেউ ফরজ নামাজের পর হযরত ফাতেমার তসবিহ পাঠ করবে নামাজের স্থান ত্যাগ করার পূর্বেই তার গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।”
✔️(আল কাফি, খণ্ড ৩, পৃঃ নং ৩৪৩)।
🌹হাদিস নং ২১🌹
🔳হযরত ইমাম জাফার আস সাদিক্ব আলাইহিস সালামঃ
✍”আল্লাহ যার মঙ্গল চান তার অন্তরে (ইমাম) হুসাইনের ইশক ঢেলে দেন এবং তাঁর যিয়ারতের প্রেম ইলহাম করেন।”
📚ওয়াসায়িলুশ শিয়া, খণ্ড ১৪, পৃঃ নং ৪৯৬।
🌹হাদিস নং ২২🌹
❥✦হযরত ইমাম জাফার আস সাদিক্ব (আলাইহি সালাওয়াতুল্লাহ):
〖দুনিয়া ও আখেরাতের মাঝখানে এক হাজার দুর্গম গিরিপথ বিদ্যমান, যার মধ্যে সবচেয়ে ছোট ও সহজ গিরিপথটি হচ্ছে মৃত্যু।〗
📔মান লা ইয়াহ্-দ্বারুহুল ফাক্বিহ, খণ্ড ১, পৃঃ নং ১৩৪।