আজো সদা জাগ্রত তুমি চির আকাশের নীল,
ঐ নীলিমায় ছুঁয়ে আছো জানি সদা জাগ্রত হে বীর!
দিন যায় মাস আসে ,
আসে বছর শেষে যুগ,
শতাব্দীর ক্রান্তি শেষেও কভূ ফুরায় না সে অমোঘ।
ধরাধামের তব স্পৃহার স্ফুলিঙ্গে নাচিছে যে অবিরাম,
গাইবে জানি গাইবে তক কিয়ামত সে সবিরাম।
ধূলোস্মৃতি মনে জাগিছে কত নাদান মিথ্যে পালকের দল,
হানিছে আঘাত আজোবধি সে সত্যেকে করে কতল!
ভূখা নাঙ্গা পঙ্গ পালকেরা ক্ষমতা পিয়াসু সবই,
পেরেছিস কি নীলিমার সে অনন্ত সুখের রঙ কভূ গায়ে মাখতে নিরোবধি?
ধোঁয়াশায় কেবল রইলি পড়ে যতসব বেজন্মা মুনাফিকী আস্ফালনে,
ক্ষণিকের লাগি কভূ পড়েনি মনে সত্যের সে কেতনের তনে।
ঐশী রঙে রাঙানো নীলিমা ডাকে সদা আপন ইশারায়,
দিয়েছে যারা তব সে হাঁক বইবো মোরা তব সে
বিমূঢ় বন্দনায়।
তব নীলিমার সে বুক ফাটা কান্নায় আঁসু আনেনি যে নয়নে ,
জানি সে নির্বোধ পাপাচারী মুনাফিক কহে জনে।
ধাপে ধাপে ধাবমান সে বহে চলে ধরাধামে,
শাশ্বত নীলিমার সে ঐশী রঙ মেখে চল অনন্তধামে।
মিছে খেলায় মাতি লভিবে না কভূ জানি,
লভিবে শুধুই পাথেয় করে পরজগতের অঙ্গারখানি।
দেখ সদা জাগিছে আজো হাঁকিছে রব সে সত্যের জয়বাণী,
ধূলোস্সৃতি মূছে ফেলে সত্যের ঝাণ্ডা তুলে হও আগুয়ানি।
মরুর ধূলোর সিক্ততা ডাকে গাইতে জয়গান,
কচি যুব তাজা রক্তের বহতায় কভূ নাহি সে ফুরায়।
অশ্রু সজলের বাণে কেঁপেছিল সেদিন আরশ আসমান,
শোকে মূহ্যমান হয়ে কেঁদেছিল মর্ত্যের সব দৃশ্যমান।
কাঁদেনি কেবল ছিল যারা সব ইয়াজিদি মুসলমান,
নাহি দেখি সে আঁসু আজো তাদের দোসর দাঁড়োয়ান।
দ্যাখ চেয়ে ঐ হারামির দল জাগে ঐ নীলিমায়,
শান্তির পতাকায় ডাকিছে আজো সে সত্যের উপমায়।
জাগ্রত হে সেনানী বীর, চির জাগ্রত শোবাইর,
ডাকিছে সদা সত্যের পতাকায় নীলিমার ঐ নীল।।
___মাসুদ রানা (তরুন)