*বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম*
✍️তিব্বে সুন্নাতি বা সনাতনী চিকিৎসা পদ্ধতি পৃথিবীর সকল দেশেই সমাদৃত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, কিছু মানুষের স্বল্প জ্ঞানের কারণে তারা এর ভুল প্রয়োগ ও ব্যবহার করেছেন। ফলে তারা নিজেরা তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেনই, সেই সাথে বদনাম হয়েছে সনাতনী প্রাকৃতিক চিকিৎসারও। পরিণতিতে আধুনিক চিকিৎসকরা এটাকে হাতুড়ি বিদ্যার নাম পর্যন্ত দিয়েছেন। অনেকে এর নাম শুনলেও নাক সিটকান তথাপি অধুনা ইরানের তিব্বে ইসলামির উপর বিভিন্ন গবেষণা এবং এর সফলতার কারণে পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেই এই বিষয়ে নতুন করে গবেষণার আগ্রহ তৈরী হয়েছে। বিভিন্ন স্বনামধন্য ইউরোপিয়ান এবং আমেরিকান পত্রিকায় ইরানের “আত্তারি চিকিৎসা কেন্দ্র”-গুলোর ব্যাপারে প্রতিবেদন ছাপিয়েছে। যেহেতু ইরানের সনাতনী চিকিৎসা ইসলামী চিকিৎসা পদ্ধতির সাথে মিলিয়ে আধুনিকভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে, ফলে এই পদ্ধিতিটি একেবারে নির্ভুল চিকিৎসা সম্পাদনে সফল ভুমিকা রেখে আসছে অনেক বছর ধরে। অপরদিকে বিশ্বব্যাপী এলোপেথিক চিকিৎসা সেক্টরটি চলে গেছে যায়নিষ্টদের হাতে। পৃথিবীর সকল ঔষুধ কোম্পানিগুলো কোন না কোনভাবে লোভী ও অমানবিক যায়োনিষ্ট মালিকদের অনৈতিক মুনাফার উৎসে পরিণত হয়েছে। টীকা এবং জীবন রক্ষাকারী ঔষুধগুলো এখন আর জীবন রক্ষা করে না। বরং ধুকে ধুকে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। ঔষুধ ব্যবসার মাধ্যমে ট্রিলিয়ন ডলারের মালিক হচ্ছে ইহুদিবাদি যায়নিষ্ট কোম্পানিগুলো, যারা মনে করে যায়োনিষ্ট ইহুদিরা ছাড়া পৃথিবীর সকল মানুষের আকৃতি বিশিষ্ট প্রাণীগুলো তাদের দাস এবং তাদের সেবা করার জন্য সৃষ্টি হয়েছে।
ক্যান্সারের কেমোথেরাপির অনৈতিক প্রয়োগের বিরুদ্ধে খোদ আমেরিকাতে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে সেখানকার সচেতন মানুষ। অনেক স্টেটে ভেক্সিনের অনৈতিক প্রয়োগের বিরুদ্ধে সরকারের সাথে মামলায় লিপ্ত সচেতন ও নিঃস্বার্থ কিছু বৈজ্ঞানিক ও চিকিৎসক।
কাজেই বুঝা যাচ্ছে, একটি অদ্ভুত সময় পার করছে এই ধরণী। প্রকৃতির সন্তান মানুষ প্রকৃতিকে ধ্বংসের এক নিষ্ঠুর খেলায় মেতে উঠেছে। এ খেলায় মানুষের জীবনকে পুজি করে, তার শরীরে বিভিন্ন উপায়ে কৃত্রিম রোগ জীবাণু ঢুকিয়ে ব্যথা বেদনা দেবার মাধ্যমে অসহায় বানিয়ে তাঁকে অপ্রয়োজনীয় ঔষুধ খাইয়ে বাচিয়ে রাখার বর্বর এক শয়তানী ব্যবসার ফাঁদ পেতে বসেছে। আর এসব কিছুরই চাবিকাঠি যায়নবাদী ইসরাইল এবং তার প্রভুদের হাতে। আমাদের বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতও এভাবেই চলে গেছে বিদেশী প্রভুদের হাতে। অবাক লাগলেও সত্য ইরানেরও অবস্থা কিছুটা একই রকম। বাংলাদেশের ব্যাপারে যখন আমরা শুনি তখন কারোরই গায়ে কোন সাড়া শব্দ হয় না। কেননা আমরা এগুলো শুনে শুনে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। নিতান্তই ধার্মিক বা দেশপ্রেমিক হলে একটু আফসোস করা এবং বলা যে “আহারে, দেশটা গেল” এবং তাতেই দায়িত্ব শেষ। কিন্তু ইরান তো তা নয়! ইরান নিজে স্বাবলম্বী হতে চায়। বিদেশী প্রভুদের কাছে মাথা নত না কবার শিক্ষা দেয়। জীবন বাজি রেখে বিশ্ব প্রভুদের চোখে চোখ রেখে অধিকার আদায়ের কথা বলে। শয়তানী শক্তিকে দমন করার সৎ সাহস রাখে। তবুও ইরান কিছু কিছু জায়গায় অসহায়। তার মধ্যে প্রধান হল ইরানের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা। কেননা দালালদের কারণে এই সেবাটি এখন আর ইরানের দেশপ্রেমিক মানুষদের হাতে নেই। বিশ্ব অপশক্তি চায় না ইরান নিজে স্বাবলম্বী হোক।
ইসরাইল সরাসরি একাধিক বার হুমকি দিয়েছে ইরানের জনগণকে বায়োটেররিজমের মাধ্যমে শেষ করে দেবার। বিশ্ব শক্তি নিশ্চুপ। এমনকি এসব প্রকাশ্য ঘোষণা কোন কাগজ পত্রে খুঁজে পাওয়া যায়না। পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে মন্ত্রিরা হিসাব পেশ করে ইরানের বিরুদ্ধে কি কি জীবাণু তৈরি করা হয়েছে। এসব জিবানুর শক্তি এমন যে কোন ধরনের ভেক্সিন বা ঔষুধে তা রোধ করা সম্ভব নয়। ইসরাইল প্রতিদিন নতুন নতুন ডার্টি জার্ম বানিয়ে যাচ্ছে। আর এগুলো প্রয়োগের সবচেয়ে আকাংখিত টার্গেট হচ্ছে ইরান। কেননা বিশ্বের মানচিত্রে ক্যান্সার সমতুল্য এই বিষফোড়া ইসরাইল রাষ্ট্রটি একমাত্র ইরানকেই তার পায়ে মাথা নত করাতে পারেনি। এজন্য যেভাবে পারে ইরানকে ধ্বংস করার সকল চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
তেহরান ইউনিভার্সি্টি অফ মেডিকেল সায়েন্সেস, ডিপার্টমেন্ট অফ ইসলামিক এন্ড ইরানিয়ান ট্রেডিশনাল মেডিসিন-এর পি এইচ ডি গবেষক হাশেম দাব্বাঘিয়ান এবং এম ইমতিয়াজির বরাত দিয়ে জানা গেছে ইরানের এলোপেথিক চিকিৎসা ব্যবস্থা অন্যান্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মতই অনেকটাই বিদেশী মাফিয়া নিয়ন্ত্রিত। যেহেতু ইরান স্বাবলম্বী হবার চেষ্টা করছে তাই সরকারের কিছু অসাধু উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, এম পি ও মন্ত্রিদেরকে চাপ প্রয়োগ করে কিংবা লোভ দেখিয়ে অথবা বিভিন্ন ভয় ভীতির মাধ্যমে ইসরাইল এবং এমেরিকা চেষ্টা করে যাচ্ছে কিভাবে ইরানের এই অগ্রগতি থামিয়ে দেয়া যায়। বিভিন্ন অবরোধের মাধ্যমে সে চেষ্টা প্রতিনিয়ত অব্যাহত আছে। এই অবরোধগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক অবরোধ হল জীবন রক্ষাকারী ওষুধ আমদানির পথ বন্ধ করে দেয়া।
মানবতা এবং সমান অধিকারের বুলি আওড়ানো বিশ্ব মোড়ল এমেরিকা তার যায়নিষ্ট প্রভু ইসরাইলের পরামর্শে ইরানী জনগণকে ভোগান্তি এবং অর্থনৈতিক হাজারো লাখো অবরোধ দিয়েও দমাতে না পেরে শেষ মরন কামড় দিল জীবন রক্ষাকারী ওষুধ আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে। মৃত বিশ্ববিবেক একটি টু শব্দও করেনি।
ইরানের বিজ্ঞ আলেম ওলামা বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে ইরানের ৮ হাজার বছর প্রাচীন সনাতনী চিকিৎসা পদ্ধতির উপর নির্ভর করার পরামর্শ দিতে থাকেন জনগণকে। এই শিক্ষা আলেমরা পেয়েছেন ইরানের ইসলামী বিপ্লবের মহান নেতা ইমাম খোমেনির কাছ থেকে। প্রথম আমেরিকান খাদ্য অবরোধের জবাবে ইমাম খোমেনি বলেছিলেন, “আমরা মুসলমান, আমাদের এক মাস রোজা রাখার অভ্যাস আছে। এবার আমরা এক বছর রোজা রাখব। কিন্তু তবুও তাদের কাছে মাথা নত করবো না”। ইরানের আলেমগণ তাদের অভিভাবকত্বে বিজ্ঞতার ছাপ রেখে এসেছেন সব সময়ই। সনাতনী চিকিৎসা পদ্ধতির উপর জনগণের আস্থা বাড়তে থাকে। আলেমরা এই বিষয়ে মুখ খুলতে থাকেন। যদিও কাজটি সহজ নয়। কেননা অত্যাচারী শাসক শাহের আমলে রচিত একটি চিকিৎসা আইন যেখান বলা হয়েছে, ইরানের সরকারী চিকিৎসা ব্যবস্থার বিষয়ে কেউ কোন আপত্তি বা প্রশ্ন তুলতে পারবে না। উচ্চহারে জরিমানাসহ জেলের শাস্তির বিধান করা হয়েছে। স্পষ্টতঃই বুঝা যায় এই আইন বিদেশী প্রভুদের খুশী করার জন্য। কেননা শাহ চেয়েছিল ইরানের হাসপাতালগুলো ইউরোপের আদলে তৈরি হোক এবং নার্স থেকে শুরু করে ডাক্তার ও ঔষুধ সবই ইউরোপের বাজারে পরিণত হোক। ইসলামী বিপ্লবী সরকার আসার পর এই বিষয়ে এক্সপার্ট না থাকার কারণে এই আইনটি পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি। ইরান নির্ভর হয়ে পরে মুসলিম দেশগুলো থেকে বিশেষ করে বাংলাদেশ পাকিস্তান প্রভৃতি স্বল্প আয়ের দেশের দক্ষ ডাক্তারদের উপর। হাজার হাজার ডাক্তার ইরানে গিয়ে প্রশিক্ষন দিয়েছেন। আমাদের বাংলাদেশের ডাক্তারদের সুনাম এখনো রয়েছে। অতঃপর দক্ষতা অর্জন হয়ে গেলে নিজেরাই হাল ধরে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার। কিন্তু ষড়যন্ত্র কখনো থেমে থাকে নাই।
ইসরাইল, শাহের আমলে সুবিধা প্রাপ্ত কিংবা সে মতের উপর বর্তমানে অবস্থিত উচ্চ পদস্থ ডাক্তার, আইন প্রনেতা ও বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন ভাবে প্ররোচিত করে ইরানের স্বাস্থ্য খাতকে এখনো সেই আইনের অধীনে রেখেছে। ফলে ঔষুধ অবরোধের মধ্যে থাকার পরেও নিজেরা ঔষুধ উৎপাদনের খাতকে উৎসাহ দেবার পরিবর্তে নিরুৎসাহীত করে প্রভুদের কাছে মাথা নত করার জন্য চাপ দিয়ে এসেছে সব সময়। কিন্তু ইরানের দেশপ্রেমিক ও ইসলামী শক্তিতে বলীয়ান আলেম উলামা এবং রাজনীতিবিদ ও বিজ্ঞানীগন বিশেশ করে ইরানের বিজ্ঞ সর্বোচ্চ নেতা নিজেদের শক্তি অর্জনের উপর জোর দেবার ফলে ইরান ওষুধ শিল্পে অনেকটাই স্ববালম্বী হয়ে উঠে। কিন্তু শুরু হয় নতুন ষড়যন্ত্র। কেমিক্যাল ঔষুধ এমনিতেই সাইড এফেক্ট সম্বলিত। তার উপর ইসরাইলী বায়ো এন্ড কেমিক্যাল টেরোরিজম থ্রেট সবসময় ইরানকে ভিতির মধ্যে রেখেছে। এসব কারণে ইরানি আলেমদের মধ্যে চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি হয়েছে এবং অনেক গবেষক ফিকাহ শাস্ত্রে পণ্ডিত হয়েও ফিকাহকে আরো বিজ্ঞদের দায়িত্বে রেখে নিজেরা চিকিৎসা সেবায় নেমেছেন। এক দিকে ঔষুধের আকাশচুম্বী দাম, অপরদিকে ঔষুধের মধ্যে ক্ষতিকর পদার্থ অনেক যা উপকারের চেয়ে অপকার করে বেশী, তার উপর এসব ঔষুধের কাচা মালের মধ্যে বিভিন্ন জীবাণু প্রবেশ করিয়ে দেয়। তাই আলেমরা সোচ্চার হয়েছেন। কিন্তু সোচ্চার হতে গিয়েই যে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে তা হল শাহের আমলের একটি আইন যাতে বলা হয়েছে সরকারী চিকিৎসা বিষয়ে যে কোন ধরনের নাক গলালে ৬ মাসের বিনা বিচারে জেল হবে। এ কারণে তাবিব ও হাকিমগণ স্বাধীনভাবে কোন কাজই করতে পারছেন না।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামানির নজরে আসলে তিনি এই সনাতনী ও ইসলামী চিকিৎসা বিজ্ঞানকে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতার আহ্বান জানান। কিন্তু আইনের ভয় দেখিয়ে দালালরা এই সনাতনী ইরানি ও ইসলামী চিকিৎসাকে সরকারের অনুমোদনের আওতায় আনেনি। এসব দালালদের শক্তি যোগায় আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্র। প্রতিটি নাগরিক যে চিকিৎসা বিমা সুবিধা পায় তা থেকেও এই সনাতনী চিকিৎসাকে দূরে রেখেছে যাতে করে এর ক্রয় মূল্য সাধারণ মানুষের ধারন ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। এছাড়া সনাতনী চিকিৎসার মাধ্যমে কোন ভুল চিকিৎসা হলে উক্ত চিকিৎসককে কয়েক বছরের জেলসহ আজীবন তার প্রেক্টিসের লাইসেন্স বন্ধ করে দেবার ক্ষমতা রয়েছে এদের হাতে।
এমনকি আত্তারি নামে পরিচিত এসব হার্বাল পণ্য বিক্রয় কেন্দ্রগুলোও সব সময় সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের মনিটরিং কমিটির ঝটিকা অভিজানের ভয়ে তটস্থ থাকে। এটা ঠিক যে, জনগণের আস্থার কারণে অনেক সময় আগানে বাগানে বেঙ্গের ছাতার মত আত্তারি গজিয়ে উঠে যা প্রতিষ্ঠিত এবং প্রফেশনাল আততারদের রেপুটেসন নষ্ট করে। তথাপি এসবের সাইড এফেক্ট নেই বললেই চলে। যদিও উচ্চ ডোজের ঔষুধের মাত্রার ভুল প্রয়োগের ফলে কিডনিসহ অনেক কিছুরই ক্ষতি হতে পারে। কেননা উপসংহারে এটাই বলতে হয় এসব গাছ গাছরা লতা পাতাও একটি ওষুধ। ঔষুধকে ঔষুধের মতই ব্যবহার করা উচিৎ।
তাই হাকিমদের নিয়ন্ত্রনে থেকে তাদের দেখিয়েই এসব ওষুধ সেবন করা উচিৎ।
ইরানে সরকারীভাবে তিব্বে ইসলামী এবং তিব্বে সুন্নাতির কোন প্রোগ্রাম নেই। সর্বোচ্চ নেতা জনাব আয়াতুল্লাহ আলী খামেইনির অনুরোধে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে কোর্স চালু হয়েছে এবং অনেকেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে সনাতনী চিকিৎসা নিয়ে পড়ালেখা করছে। কিন্তু এখনো এর প্রেক্টিস করার সরকারী কোন অনুমোদন মিলেনি। আত্তারির দোকানগুলোকে যে লাইসেন্স দেয়া হয় তা অনেকটা ট্রেড লাইসেন্সের মত যা কেবল ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে এবং নার্কোটিক বিভাগের নজরদারীর সুবিধার জন্য এই লাইসেন্স দেয়া হয়। অর্থাৎ কেউ যেন আত্তারির দোকানের আড়ালে আফিমসহ অন্যান্য নেশাদ্রব্য এবং অবৈধ যৌন উত্তেজক ও গর্ভপাতের ওষুধ বিক্রি করতে না পারে। তাই এই লাইসেন্স দেয়া হয়ে থাকে।
সবচেয়ে বিপদজনক খবর হল ইরানের প্রায় সকল তাবিব বা হাকিমদের উপর সরকারের মেডিকেল বিশেষজ্ঞ নামধারী ভেক্সিন ব্যবসায়ীরা একাধিক কেইস করে রেখেছে। এ কারণে তাবিব বা ইসলামী চিকিৎসকরা অনেক কোণঠাসা হয়েই কাজ করছেন। অনেক টাকা খরচ করে একটি আত্তারির দোকান দেবার পর তা বিনা নোটিসে বন্ধ করে দেবার হয়রানি থেকে শুরু করে সাধারন হিজামা চিকিৎসা করালেও কেইস করে দেয়। এই কেইসের ফলে অনেক আলেম পালিয়ে বেরিয়েছেন কিংবা জেলের ভাত খেয়েছেন বিনা বিচারে। যে কেউ অভিযোগ করে দিলেই হল। তা প্রমাণের প্রয়োজন নেই। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগায় হেলথ সেক্টরের ইন্সপেক্টর নামধারী দালালেরা।
সব কিছুর পরো ইরানের সনাতনী চিকিৎসা ব্যবস্থা সকল বাধা বিপত্তি পেরিয়ে এবং মাফিয়াদের দুষ্ট চক্রের বুহ্য অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছে। ইরানের দুরদর্শি ও বিজ্ঞ আলেমদের তত্ত্ববাধানে একে জনপ্রিয় করে তোলা হয়েছে। ফলে বিষাক্ত কেমিক্যাল ওষুধের নেতিবাচক প্রভাব থেকে বাচার জন্য মানুষ চেষ্টা করছে।💐🌹♻️
(লেখকঃ মোহাম্মদ গোলাম সারওয়ার)
মাশাআল্লাহ অত্যন্ত সুন্দর এবং একটি তথ্যবহুল লেখা। যাজাকাল্লাহু খাইরান..
সালামুন আলাইকুম। সাথে থাকার জন্যে আপনাকে অনেক শুকরিয়া।