হুসাইন(আ:) কে?
(পর্ব-৭)
– নূরে আলম মুহাম্মাদী।
হুসাইন(আ:) কে? তা কি জানো? তাহলে বলি শোন।
হুসাইন!!!
যাকে মহব্বত করা
যার প্রতি আনুগত্য করা
নবীর উম্মতের উপর ফরজ করা হয়েছে,
যার সাথে দুশমনী করা
যাকে অমান্য করা
নবীর উম্মতের উপর হারাম করা হয়েছে।
তিনি সেই হুসাইন!!
যাদের মহব্বত ও আনুগত্যে
হয় রেসালতের পারিশ্রমিক আদায়,
যাদের হাতে হাত রাখলে,
যাদের মাওলা ও নেতা মানলে,
দুনিয়া ও আখেরাতে মুমিনেরা
দোজখের কষ্ট ও ভয় নাহি যে পায়।
তারা আহলে বাইত নবীজীর
তাদেরই অন্যতম বিশেষ জন
হুসাইন ইবনে আলী
তৃতীয় ইমাম উম্মতীর।
হুসাইন!
জন্মেছিলেন তিঁনি
মানবতার মুক্তির বাণী নিয়ে
নবীর পথহারা উম্মতকে
পথ দেখাবেন বলে।
কিন্তু!!!!!
উম্মতের মাঝে মুসলমান নামে
দুশমনের অভাব ছিল না তাঁর,
মনে হয় যেনো……
জন্মেছেন তিঁনি
তৈরী করতে শুধু, দুশমন আল্লাহর।
হুসাইন!!
তাঁর দুশমনেরা চেয়েছিল সদা,
আজো চায় সর্বদা,
হুসাইন যেনো না থাকে ধরায়,
নবীর খাটি আদর্শ মানুষেরা না যেনো পায়।
কেননা,
হুসাইন যে,
জুলুমের বিরোদ্ধে করেছিল সংগ্রাম!!!
হুসাইন যে,
অবিচারের বিরোদ্ধে হুংকারের নাম!!!
হুসাইন যে,
তাগুত ভেঙ্গে করে খান খান।
তাই,
নবীর দুশমনেরা এক জোট হয়ে,
খেলাফতের নামে,
খেলাফতের ডাকে,
খেলাফতের মসনদে বসে-
নবীর গলায় ছুড়ি চালায়।
তারা যে, হুসাইনী আয়নায় মুহাম্মাদকেই দেখতে পায়।
এই সেই হুসাইন!!
সুফিয়ানী, উমাভী, ইয়াযিদিদের যিনি ছিলেন চক্ষুশূল!
যিনি দুশমনদের আক্রমনের শিকার হয়ে
পরিবার-পরিজন আর দোস্ত-আহবাব হারিয়ে
সত্য-মিথ্যার পার্থক্য স্পষ্ট করে
শাহাদাতের পেয়ালা তুলে নেন হাতে।
যিনি হয়েছিলেন ব্যাকুল
রাসূলের সাক্ষাতে
চেয়েছিল দুশমনেরা
মিটে যাক, নাম-নিশানা হুসাইনের।
চেয়েছিল তারা
মিটে যাক, নবীর স্মৃতি আর
চেহারা হুসাইনের।
তাই,
তারা ইমামের পবিত্র মস্তক কেঁটে
দেহ থেকে মস্তক আলাদা করে
মাথা বিহীন দেহের অবমাননা করে
রক্তাক্ত ধুলো মাখা দেহে ঘোড়া দাবড়িয়ে
ঘোড়ার ক্ষুরে পিষ্ট করে
চেয়েছিল তারা
মিটে যাক, নবীর স্মৃতি আর
চেহারা হুসাইনের।
কিন্তু আজ,
হুসাইনী আয়না যে,
হয়েছে আরো বেশী স্বচ্ছ,
আরো বেশী পরিস্কার।
যে আয়নাতে নবী মুহাম্মাদের রেসালত
আর হুসাইনের রক্তমাখা ইমামত,
সব হয়েছে একাকার।
হত্যা করে, শির কেঁটে,
ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে,
চেয়েছিল আবু সুফিয়ানের দলেরা,
না যেনো থাকে নাম-নিশানা হুসাইনের।
কিন্তু আজ সেই হুসাইন!!
শত-সহস্রগুণ শক্তিশালী হয়ে
মানুষের হৃদয়ের মাঝে
স্থান করে নিয়ে
লক্ষ-কোটি জনতা হুসাইনী হয়ে
শ্লোগানে শ্লোগানে
আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে
তাগুত দলিত মথিত করে
এগিয়ে যায়
যামানার ইমামের সম্বর্ধনায়।
ইমাম সামনে
শত সহস্র কোটি জনতা তাঁর পেছনে
শ্লোগান দেয় শুধু
লাব্বাইক ইয়া হুসাইন
লাব্বাইক ইয়া হুসাইন!!