রক্তিম সাত্তে ফোরাত !!
হঠাৎ ঘোড়ার পা থেমে গেল !
এক পাও আর এগুচ্ছেনা !
তীব্র দাবদাহ !
মরুর শুষ্কতায় চৌচির হয়ে আছে সব।
ইমামবিহীন জনপদ থেকে
হাজার হাজার বায়াতপত্র !
যেতে হবে কুফাতে ।
দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়েছেন ,দিতে হবে আরো!
পথিমধ্যে ছিল কত বাঁধা !
সেনাপতি হোরের বাহিনীকে পানি পান করিয়ে সব মশক শূণ্য!
কিন্তু ঘোড়া আর এগুচ্ছেনা !
নেমে জিজ্ঞেস করলেন সেখানকার বাসিন্দাদের ।
নাম কি ভাই এ জায়গার ?
এ জায়গার নাম নায়নোয়া !
আরেকজন বললেন গাজেরিয়া!
কেউ বললেন সাত্তে ফোরাত !
আবার কে যেন বলে উঠলেন জায়গাটি হচ্ছে কারবালা !!
এক মুসিবতের জায়গা !
নাম শুনেই ইমাম নেমে পড়লেন ঘোড়া থেকে !
এখানেই আমাদের যেমে যেতে হবে।
থেকে যেতে হবেই এই কারবালায় !
হবে সলিল সমাধি !
একে একে সবাই ।
এমনকি ছয় মাসের কচি আসগরও !
কিন্তু এটাই তো সেই
স্বপ্নে দেখা আকাঙ্খার মহামিলনের স্থান!
সেদিনটি ছিল ২ মহররম।
অশনি সংকেত পানে অপেক্ষমান থাকা সে সফর সঙ্গী।
বেদনার আকাশের পুন্জিভুত দূর্দশার মেঘ !
ইতিহাসের পাতায় ঠাঁয় করে নেয়া সবচেয়ে জঘন্যতম নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের সূচনার বীজ।
রক্তিম বর্ণের মিছে খেলার বীজ সে নয় !
পাপাত্নাদের হাতে পবিত্র আত্নার নির্মম বলি ।
তাজা রক্তের ফিনকি দিয়ে বের হওয়া মজলুমদের পবিত্র শোণিতের বাণে রক্তিম সাত্তে ফোরাতের খেলা !
বিধূর বাষ্পে হারিয়ে কুঁকড়ে কুঁকড়ে যন্ত্রনার প্রতিধ্বনি গুণা !
আর মাত্র আটটি দিন ,
পায়ে বেরি পড়িয়ে দেওয়া
সে রক্তিম সাত্তে ফোরাত !!
___মাসুদ রানা তরুন।