রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর বাণীসমূহ

1124

✨ হাদিস নং ১

আল্লাহর রাসূল (সা.):

حدثنا الْحَسَنُ بن عَرَفَةَ حدثنا إسماعيل بن عَيَّاشٍ عن عبد اللَّهِ بن عُثْمَانَ بن خيثم عن سَعِيدِ بن رَاشِدٍ عن يَعْلَي بن مُرَّةَ قال قال رسول اللَّهِ صلي الله عليه وسلم حُسَيْنٌ مِنِّي وأنا من حُسَيْنٍ أَحَبَّ الله من أَحَبَّ حُسَيْنًا حُسَيْنٌ سِبْطٌ من الْأَسْبَاطِ قال أبو عِيسَي هذا حَدِيثٌ حَسَنٌ 
“হুসাইন আমার থেকে আর আমি হুসাইন থেকে। যে ব্যক্তি হুসাইনকে ভালবাসবে তাকে আল্লাহ ভালবাসবে।”
(সুনানু তিরমিযি, খণ্ড ৫, পৃঃ নং ৬৫৮, হাদিস নং ৩৭৭৫; আল মুস্তাদরাক আলাস সাহিহাইন লি হাকিম নিশাবুরী, খণ্ড ৩, পৃঃ নং ১৯৪, হাদিস নং ৪৮২০; সাহি ওয়া দ্বয়িফু সুনানি তিরমিযি লিল আলবানী, খণ্ড ৮, পৃঃ নং ২৭৫)।

✨ হাদিস নং ২

হযরত আবুযার গিফারী রাদ্বিআল্লাহু তায়ালা আনহু পবিত্র কাবা ঘরের দরজা ধরে বলেন, আমি প্রিয় নবী (সঃ)-কে বলতে শুনেছি,

ألاَ إنَّمَا مَثَلُ أهْلُ بَیْتِیْ فِیْکُمْ مَثَلُ سَفِیْنَةِ نُوْحٍ مَنْ رَکَبَهَا نَجَیْ وَ مَنْ تَخَلَّفَ عَنْهَا هَلَکَ
“জেনে রাখো! নিশ্চয় তোমাদের মাঝে আমার আহলে বাইত হচ্ছে নূহের তরীর ন্যায়। যে ব্যক্তি তাতে আরোহণ করবে সে নাজাত পাবে আর যে ঐ তরী থেকে দূরে থাকবে, সে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।”
কউকাবে দুররী, পৃঃ নং -১৯৯।

✨ হাদিস নং ৩

আল্লাহর রাসূল (সা.):

«الْحَسَنُ وَ الْحُسَينُ سَيِّدا شَبابِ اهْلِ الْجَنَّةِ» او «وَ انّ حَسَنَاً وَ حُسَيْنَاً سَيِّدا شَبابِ اهْلِ الْجَنَّة»
“ নিশ্চয় (ইমাম) হাসান ও (ইমাম) হুসাইন জান্নাতবাসী যুবকদের সর্দার।”
সুনান ইবনে মাজা, খণ্ড ১, পৃঃ নং ৫৬; আল জামিউস সাগ্বির, খণ্ড ১, পৃঃ নং ৭ ও ১৫২, সুনান আত্ তিরমিযি, খণ্ড ১৩, পৃঃ নং ১৯১, ১৯২; খাসায়িসু নিসায়ী, পৃঃ নং ৪৮।

✨ হাদিস নং ৪

আল্লাহর রাসূল (সা.) ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইনকে কোলে নিয়ে দোয়া করতেনঃ
«اللَّهُمَّ انّى‏ احِبُّهُما فَاحِبَّهُما وَ احِّبَّ مَنْ يُحِبُّهُما»
“হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি এই দুইজন (হাসান ও হুসাইন)-কে ভালবাসি। যে ব্যক্তি এই দুইজন (হাসান ও হুসাইন)-কে ভালবাসবে তুমি তাকে ভালবাস।”
আল ইসতিয়াব ফি মা’রিফাতিল আসহাব লি ইবনে আব্দিল বির, খণ্ড ১, পৃঃ নং ৩৭৬।

✨ হাদিস নং ৫

আল্লাহর রাসূল (সা.):

احَبُّ اهْلِ بَيْتى‏ الَىَّ الْحَسَنُ وَ الحُسَيْنُ

“আমার আহলে বাইতের মধ্যে আমি সবচেয়ে বেশী ভালবাসি হাসান ও হুসাইনকে।”
সুনান আত্ তিরমিযি, খণ্ড ১৩, পৃঃ নং ১৯৪।

✨ হাদিস নং ৬

আল্লাহর রাসূল (সা.):

انَّ الْحَسَنَ وَ الْحُسَينَ هُما رَيْحانَتاىَ مِنَ الدُّنْيا

“নিশ্চয় হাসান ও হুসাইন এই দুনিয়ায় আমার দুটি সুগন্ধময় পুষ্প।”
সহি আল বুখারী, খণ্ড ২, পৃঃ নং ১৮৮; সুনান আত্ তিরমিযি, খণ্ড ১৩, পৃঃ নং ১৯৩; উসুদুল গ্বাবা, খণ্ড ২, পৃঃ নং ১৯।

✨ হাদিস নং ৭

ইমাম ইসমাঈল আল বুখারী ও ইবনে আসির বর্ণনা করেছেন যে, যখন ইমাম হুসাইনের পবিত্র (কর্তিত) মাথা কুফাতে ইয়াযিদের গভর্নর উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদের কাছে আনা হলো তখন উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদ এই পবিত্র মস্তককে একটা ট্রে-তে রেখে নিজ হাতের লাঠি দিয়ে ইমাম হুসাইনের চোখে-মুখে আঘাত করে।এ সময় সেখানে উপবিষ্ট রাসূলের সাহাবী হযরত আনাস ইবনে মালিক হযরত রাসূল (সা.)-এর কাছ থেকে একটি হাদিস বর্ণনা করে বলেনঃ
اَشبَعُ النَّاسٍ للنَّبِي الحُسَيْنُ
 
“(ইমাম) হুসাইন আহলে বাইতের মধ্যে সবচেয়ে বেশী রাসূল (সা.)-এর অনুরূপ ছিলেন।”
সহি আল্ বুখারী, খণ্ড ২, পৃঃ নং ১৮৮।

✨ হাদিস নং ৮

হাদিসের ইমাম তিরমিযি ও ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বাল বর্ণনা করেছেন যে,
“انَّ رسُولَ اللَّه (ص) اخَذَ بِيَدِ حَسَنٍ وَ حُسَيْنٍ فَقَالَ: مَنْ احَبَّنى‏ وَ احَبَّ هذَيْنِ وَ اباهُما وَ امَّهُما کانَ مَعى‏ فى‏ دَرَجَتى‏ يَوْمَ الْقِيامَةِ ”
 “আল্লাহর রাসূল (সা.) হাসান ও হুসাইনের হাত ধরে বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে, এই দুইজনকে [=হাসান ও হুসাইনকে], তাদের বাবা ও মাকে ভালবাসবে সে ব্যক্তি ক্বিয়ামতে আমার সাথে একই অবস্থানে অবস্থান করবে।” (সহি আত্ তিরমিযি, খণ্ড ১৩, পৃঃ নং ১৭৬; কানযুল উম্মাল, খণ্ড ৬, পৃঃ নং ২১৬; আস সাওয়ায়িক্বুল মুহরিক্বা, পৃঃ নং ১৮৫)।

✨ হাদিস নং ৯

ইমাম মারদা-উই রাসূল (সা.)-এর কাছ থেকে বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেনঃ
 
فِىْ الْجَنَّةِ دَرَجَةٌ تُدْعَى‏ الْوَسيلَةُ فَاذا سَأَلْتُمُ اللَّهَ فَسْأَلُوا لِىَ الْوَسيلَةَ قالُوْا: يا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ يَسْکُنْ مَعَکَ فيها؟ قالَ: عَلِىٌّ وَ فاطِمَةُ وَالْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ
 
“জান্নাতে একটা বিশেষ পদমর্যাদা আছে, যার নাম ওয়াসিলা। যখন তোমরা সেখানে আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করো, তখন আমার কাছ থেকে ওয়াসিলার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করো।”
“বলা হলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কে আপনার সাথে একই পদমর্যাদায় অবস্থান করছেন?”
তখন আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেনঃ “আলী, ফাতিমা, হাসান ও হুসাইন।”
কানযুল উম্মাল, খণ্ড ৬, পৃঃ নং ২১৭; উসুদুল গ্বাবা ফি মা’রিফাতিস সাহাবা, খণ্ড ৫, পৃঃ নং ৫২৩;

✨ হাদিস নং ১০

ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বাল, আল্লামা ত্বাবারানী ও হযরত ইবনে আসির, ইমাম আলীর কাছ থেকে এবং আল্লামা হাকিম নিশাবুরী তার আল মুস্তাদরাক কিতাবে হযরত আবি সাঈদ খুদরী(রাঃ)-এর কাছ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত রাসূলে আকরাম (সা.) কন্যা ফাতেমাকে বলেছেন,
 
«يا فاطِمَةُ، انّى‏ وَ ايّاک، وَ هذا الرَّاقِدَ يَعْنى‏ عَلِيًّا وَ الْحَسَنَ وَ الْحُسينَ يَوْمَ القِيامَةِ لَفِى مَکانٍ واحِدٍ»
“হে ফাতেমা! আমি ও তুমি আর এই যে দেখছো শুয়ে আছে আলী, আর হাসান ও হুসাইন ক্বিয়ামতের দিনে একই সাথে একই স্থানে অবস্থান করবো।” (কানযুল উম্মাল, খণ্ড ৬, পৃঃ নং ২১৬)।

✨ হাদিস নং ১১

হযরত আনাস ইবনে হারিস তার পিতার কাছ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তার পিতা বলেছেন, একদা (ইমাম) হুসাইন আল্লাহর রাসূলের কোলে ছিল। তখন আমি শুনেছি যে, রাসূল(সা.) বলেছেন,
«انَّ ابْنى‏ هذا يُقْتَلُ فى‏ ارْضٍ يُقالُ لَهَا الْعِراقُ فَمَنْ ادْرَ کَهُ فَلْيَنْصُرْهُ.»
 
“এই যে দেখছো, আমার সন্তান (হুসাইন) এমন এক যমিনে কতল হবে যার নাম বলা হয় ইরাক। যে ব্যক্তি তার আমলে বসবাস করবে তাকে অবশ্যই যেনো সাহায্য করে।” (কানযুল উম্মাল, খণ্ড ৬, পৃঃ নং ২২৩)।

✨ হাদিস নং ১২

রাসূল (সাঃ):

“রুগ্ন ব্যক্তিকে দেখতে যাও এবং মৃত ব্যক্তির জানাযাতে অংশ গ্রহণ করো। এগুলো তোমাদেরকে আখেরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে।”
(মুসনাদ ইবনে হানবাল, ৪/৯৬, হাদিস নং ১১৪৪৫; আল্ আদাব আল্ মুফরাদ, পৃ: ১৫৮, হাদিস নং ৫১৮; সাহিহ্ ইবনে হাব্বান, ৭/২২১, হাদিস নং ২৯৫৫; আস্সুনান আল্ কুবরা, ৩/৫৩২, হাদিস নং ৬৫৭৮; কানযুল উম্মাল, ৯/৯৫, হাদিস নং ২৫১৪৩; আদ্ দাআওয়াত, পৃ: ২২৭, হাদিস নং ৬৩৫; ইরশাদুল কুলুব, পৃ: ১২; বিহারুল আন্ওয়ার, ৮১/২২৪, হাদিস নং ৩২)।

✨ হাদিস নং ১৩

রাসূল (সা.):

“রোজ কিয়ামতে সর্বাপেক্ষা অনুতপ্ত ব্যক্তি সে-ই, যে তার আখেরাতকে অন্যের দুনিয়ার জন্যে বিকিয়ে দিয়েছে।” (কানযুল উম্মাল, হাদিস নং ১৪৯৩৬)।

✨ হাদিস নং ১৪

রাসূল (সা.):

“দুনিয়া পরকালের শস্যক্ষেত্র।”
(আওয়ালি আল্ লাআ-লি, ১/২৬৭, হাদিস নং ৬৬)।

✨ হাদিস নং ১৫

রাসূল (সা.):

“একজন ব্যক্তি ততক্ষন পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবে না যতক্ষন পর্যন্ত না সে নিজে যা পছন্দ করে তা অপরাপর লোকজনের জন্যে পছন্দ করবে।”
(কানযুল উম্মাল, হাদিস নং ৯৫)।

✨ হাদিস নং ১৬

রাসূল (সা.):

“যে ব্যক্তি সর্বদা মৃত্যুকে স্বাগতম জানায় সে সর্বদা সৎ কাজে সচেষ্ট থাকে।”
(বিহারুল আন্ওয়ার, ৭৭/১৭১, হাদিস নং ৭)।

✨ হাদিস নং ১৭

রাসূল (সা.):

“তোমাদের মধ্যে কেউ যেন কোন বিপদ ও সমস্যায় জর্জরিত হওয়ার কারণে মৃত্যু কামনা না করে। বরং সে যেন বলে হে আল্লাহ্! যতদিন পর্যন্ত জীবন-যাপন আমার জন্যে মঙ্গলজনক ততদিন তুমি আমাকে জীবিত রাখো আর যখন মৃত্যু আমার জন্যে উত্তম জ্ঞান করো তখন আমার মৃত্যু দান করো।”
(সুনানু আবি দাউদ, হাদিস নং ৩১০৮)।

✨ হাদিস নং ১৮

হযরত আল্লামা তাবারানী (রহঃ) হযরত ওয়াসিলা থেকে বর্ণনা করছেন যে, আল্লাহর রাসূল (সা.) আলী, ফাতিমা, হাসান ও হুসাইনের জন্যে এভাবে দোয়া করছেনঃ

«الَلّهُمَّ انَّکَ جَعَلْتَ صَلَواتِکَ وَ رَحْمَتَکَ وَ مَغْفِرَتَکَ وِ رِضْوانَکَ عَلى‏ ابراهيمَ و آلِ إِبْراهيمَ اللَّهُمَّ انَّهُم مِنّىِ وَ انَا مِنْهُم فَاجْعَلْ صَلَواتِکَ وَ رَحْمَتَکَ وَ مَغْفِرَتَکَ وَ رِضْوانَکَ عَلَىَّ وَ عَلَيْهِم يَعنِى عَلِيّاً وَ فاطِمَةَ وَ حَسَناً وَ حُسَيناً»

“হে আল্লাহ! তুমি তোমার সালাওয়াত, রহমত, মাগফিরাত ও সন্তুষ্টি ইব্রাহিম ও আলে ইব্রাহিমের উপর বর্ষণ করেছো, তুমি তোমার সালাওয়াত, রহমত, মাগফিরাত ও সন্তুষ্টি আমার এবং আলী, ফাতিমা, হাসান ও হুসাইনের উপর বর্ষণ করো।” (কানযুল উম্মাল, খণ্ড ৬, পৃঃ নং ২১৭)।

✨ হাদিস নং ১৯

🔰রাসূল(সা.):
✍️[তাকওয়াবিহীন কাজের চাইতে তাকওয়ার সাথে কার্য নির্বাহের উপর বেশী জোর দাও। কেননা, খোদাভীতির সাথে কোন আমলই অল্প নয়। যে কাজ গৃহীত হয় সে কর্ম কিভাবে স্বল্প বলে পরিগণিত হবে!? আল্লাহ্ বলেন: “আল্লাহ্ শুধুমাত্র মোত্তাকীদের আমল কবুল করেন।”]
📚বিহারুল আন্ওয়ার, খণ্ড ৭০, পৃঃ ২৮৪, হাদিস নং ৮।

✨ হাদিস নং ২০

🌻আল্লাহর রাসূল(সা.) হাযরাত আবুযারকে(রা.) উপদেশ দিচ্ছেন: “হে আবুযার! একজন অংশীদার অপর শরীকের কাছ থেকে হিসাব নেয়ার চেয়ে বেশী কঠিন করে নিজের নফসের কাছ থেকে হিসাব চুকে নিতে পারলে সে মুত্তাকীদের মধ্যে গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তি জানে কোথা থেকে আহার করছে, কোথা থেকে পান করছে এবং পরিচ্ছদের পোশাক কোথা থেকে যোগাড় হচ্ছে অর্থাৎ এগুলো কী হালাল পথে আসছে নাকি হারাম পথে?, সে মুত্তাকী।”
(কানযুল উম্মাল, হাদিস নং ৮৫০১)।

✨ হাদিস নং ২১

🌻রাসূল(সা.): “সর্বোচ্চ মুত্তাকী ব্যক্তি সে-ই, যে প্রকৃত সত্য কথা অনায়াসে বলে যায়। এতে সে তার লাভ -ক্ষতির দিকে ভ্রুক্ষেপ করে না।”
(আমালি আস্ সাদুক্ব, পৃ: নং ২৭, হাদিস নং ৪)।

✨ হাদিস নং ২২

🌻রাসূল(সা.): “তাকওয়াবিহীন কাজের চাইতে তাকওয়ার সাথে কার্য নির্বাহের উপর বেশী জোর দাও। কেননা, খোদাভীতির সাথে কোন আমলই অল্প নয়। যে কাজ গৃহীত হয় সে কর্ম কিভাবে স্বল্প বলে পরিগণিত হবে!? আল্লাহ্ বলেন: ‘আল্লাহ্ শুধুমাত্র মোত্তাকীদের আমল কবুল করেন’।”
(বিহারুল আন্ওয়ার, ৭০/২৮৪, হাদিস নং ৮)।📚

✨ হাদিস নং ২৩

হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামঃ

إنّ الغضب من الشّيطان و إنّ الشّيطان خلق من النّار و إنّما تطفا النّار بالماء فإذا غضب أحدكم فليتوضّأ

“ক্রোধ শয়তানের কাজ এবং নিশ্চয় শয়তান আগুন থেকে সৃষ্টি। আর আগুন পানি দিয়ে নিভিয়ে দিতে হয়। সুতরাং তোমাদের মধ্যে কেউ ক্রোধান্বি হলে সে যেন ওযু করে নেয়।” (নাহজুল ফাসাহা, পৃঃ নং ২৮৬, হাদিস নং ৬৬০)।

হাদিস নং ২৪

হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামঃ
“আল্লাহ্ সাত দল লোককে তাঁর ছায়ার নিচে অবস্থান দেবেন, যখন তাঁর প্রতিবিম্ব ব্যতিরকে অন্য কোন ছায়া থাকবে না। তারা হচ্ছেন, এক: ন্যায়বিচারক শাসক, দুই: যে যুবক আল্লাহর বন্দেগীতে পূর্ণ যৌবনে পৌছেছে, তিন: যে ব্যক্তি মসজিদ থেকে বের হবার পর পরই তার মন আবারো মসজিদের দিকে ফিরে যেতে চায়, চার: যে দুই জন আল্লাহর বান্দা আল্লাহর ইবাদতের জন্যে একত্রিত হয় আবার একই উদ্দেশ্যে পৃথক হয়ে যায়, পাঁচ: যে ব্যক্তি নিরব জায়গায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আল্লাহর ভয়ে তার চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে, ছয়: যে ব্যক্তি কোন সুন্দরী ও সন্মানিত নারীর (যৌন) আহ্বানে সাড়া না দিয়ে বলে, আমি আল্লাহকে ভয় পাই, সাত: যে ব্যক্তি এমনভাবে গোপনে দান করে যে, তার ডান হাতের দানের খবর বাম হাত পর্যন্ত জানে না।” (আল খিসাল, অধ্যায়: সপ্তম, হাদিস নং ৭)।📚

হাদিস নং ২৫

হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামঃ

✍️“তোমাদের মৃতদের স্মরণ করো, যারা কবরে শায়িত আছেন। তোমাদের মৃতরা তোমাদের দয়ার আশাপ্রার্থী। তোমাদের মৃতরা বন্দি আছেন এবং তোমাদের ভাল ও নেক কাজের মুখোপেক্ষী। তারা কোন কাজ করার শক্তি রাখে না। তোমরা সদকা ও দোয়া তাদের জন্যে হাদিয়া হিসেবে প্রেরণ করো।”
📚ইয়াযদী, শেইখ হাসান ইবনে আলী, আনওয়ারুল হিদায়াহ, পৃঃ নং ১১৫।‎

✨ হাদিস নং ২৬

হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামঃ

أُمِرْتُ أَنْ آخُذَ الصَّدَقَةَ مِنْ أَغْنِيَائِكُمْ فَأَرُدَّهَا فِي فَقُرَائِكُم

“আমি (আল্লাহর পক্ষ থেকে) আদিষ্ট হয়েছি, তোমাদের মধ্যকার ধনীদের কাছ থেকে সদকা ও অনুদান নিয়ে তোমাদের মধ্যকার গরীবদের মধ্যে বিতরণ করবো।”

📚 মুসতাদরাকুল ওয়াসায়িল ওয়া মুসতানবিতুল মাসায়িল, খণ্ড ৭, পৃঃ নং ১০৫, হাদিস নং ৭৭৬২।

✨ হাদিস নং ২৭

🌹হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামঃ

يَا فَاطِمَةُ ، مَنْ صَلَّى عَلَيْكِ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ وَ أَلْحَقَهُ بِي حَيْثُ كُنْتُ مِنَ الْجَنَّةِ
✍️“হে ফাতিমা! যে তোমার উপর দরুদ পাঠ করবে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন এবং আমি বেহেশ্তের যে স্থানেই থাকি না কেন, আল্লাহ তাকে আমার সাথে সাক্ষাত করাবেন।”
📚বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৪৩, পৃঃ নং ৫৫।
🗣🗣আসুন! আমরা হযরত ফাতিমা আলাইহাস সালাম-এর প্রতি দরুদ পড়িঃ👇
اللهم صل علی فاطمة و ابيها و بعليها و بنيها و سر المستودع فيها بعدد ما احاط به علمك
▶️উচ্চারণঃ
“আল্লাহুম্মা সাল্লি আ’লা ফাতিমাতা ওয়া আবিহা ওয়া বা’লিহা ওয়া বানিহা ওয়া সির্ রিল মুসতাওদিঈ’ ফিহা বিআদাদি মা আহ্বাত্বা বিহি ইল্-মুক্।”
▶️অর্থঃ
“হে আল্লাহ! দরুদ পাঠাও ফাতিমার উপর, তাঁর পিতা, তাঁর স্বামী ও তাঁর সন্তানদের উপর এবং (সেই পরিমান দরুদ পাঠাও) যে পরিমান গোপন রহস্যাবলী তাঁর মধ্যে নিহিত আছে এবং তোমার জ্ঞানের পরিধি যে সংখ্যক বিষয়কে ঘিরে রেখেছে।”
📚মু’জামু সাহিফাতুয্ যাহরা, লেখকঃ শেইখ জাওয়াদ ক্বাইউমী।

✨ হাদিস নং ২৮

🔳বিশ্ব নবী রাহমাতুল্লিল আ’লামিন হযরত মুহাম্মাদ(দরুদ):

 إنَّ لِقَتْلِ الْحُسَیْنِ حَرَارَةٌ فِی قُلُوبِ الْمُؤْمِنِینَ لَنْ تَبْرُدَ أَبَداً

✍”নিশ্চয় (ইমাম) হুসাইনের হত্যার ঘটনা মুমিনদের অন্তরে এমন এক জ্বালা-যন্ত্রনা ও উষ্ণতার সৃষ্টি করে দেয় যা কখনো নির্বাপিত ও ঠান্ডা হবে না।”
📚মুস্তাদরাকুল ওয়াসায়িল, খণ্ড ১০, পৃঃ নং ৩১৮।

✨ হাদিস নং ২৯

হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামঃ
“সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি সে, যে তার আখেরাতকে দুনিয়ার
বিনিময়ে বিক্রি করে দেয় আর তার চেয়ে নিকৃষ্টতর ঐ ব্যক্তি যে তার আখেরাতকে
অন্যের দুনিয়ার জন্য বিক্রি করে।”
📚 (মান্ লা ইয়াহ্দ্বারুল্ ফাক্বিহ, ৪/৩৫৩,হাদিস নং ৫৭৬২; মাকারিমুল
আখলাক্ব, ২/৩১৯,হাদিস নং ২৬৫৬; বিহারুল আন্ওয়ার,৭৭/৪৬, হাদিস নং ৩)।

✨ হাদিস নং ৩০ ✨ 

হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামঃ

الصَّدَقَةُ تَدْفَعُ الْبَلَاءَ وَ هِيَ أَنْجَحُ دَوَاءً وَ تَدْفَعُ الْقَضَاءَ وَ قَدْ أُبْرِمَ إِبْرَاماً وَ لَا يَذْهَبُ بِالْأَدْوَاءِ إِلَّا الدُّعَاءُ وَ الصَّدَقَة
✍️“সদকা বা দান বালা-মুসিবত দূর করে দেয় এবং তা সবচেয়ে সফল ঔষুধ। এ সদকা পূর্ব নির্ধারিত আযাব সরিয়ে দেয় এবং সকল ব্যথা-বেদনা ও ব্যাধি, দোয়া ও সদকা দিয়েই দূর হয়।”💐
📚বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৯৩, পৃঃ ১৩৭, হাদিস নং ৭১, বৈরুত প্রিন্ট।

✨ হাদিস নং ৩১ ✨ 

🔰রাসূল(সা.): “প্রতিটি মর্যাদার পাশে রয়েছে অপমান। প্রতিটি জীবনের সাথে
মৃত্যু এবং দুনিয়ার পাশেই পরকাল বিরাজমান। প্রতিটি কাজের জন্যে হিসাবরক্ষক এবং প্রতিটি পদক্ষেপের পেছনে প্রহরী নিয়োজিত রয়েছে। প্রতিটি পুণ্য কাজের জন্যে পুরষ্কার, প্রতিটি অন্যায় কাজের জন্যে শাস্তি এবং প্রতিটি মৃত্যুর জন্যে নির্দ্ধারিত সময় অবধারিত।”
(আল্ খিসাল, পৃ: ১১৪, হাদিস নং ৯৩; বিহারুল আনওয়ার, ৭৭/১১১, হাদিস নং ১)।📗

✨ হাদিস নং ৩২ ✨ 

হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামঃ

مَن سَنَّ سُنَّةً حَسَنَةً کانَ لَهُ أَجْرُ مَنْ عَمِلَ بِها مِنْ غَیْرِ أَنْ یَنْقُصَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَیْءٌ وَ مَنِ سَنَّ سُنَّةً سَیِّئَةً کانَ عَلَیْهِ وِزْرُ مَنْ عَمِلَ بِها مِنْ غَیْرِ أَنْ یَنْقُصَ مِنْ أَوْزارِهِمْ شَیْءٌ

“যদি কোন ব্যক্তি নেক পন্থা ও রেওয়াজ চালু করে (দুনিয়া থেকে চলে) যায়, আর অন্য মানুষেরা সেই নেক আমল করে, তাহলে তার (রেওয়াজ ও পন্থা সৃষ্টিকারীর) জন্যে আমালকারী ব্যক্তিদের সমান পুরুস্কার বরাদ্ধ থাকবে, যদিও তাদের পুরুস্কার থেকে কোন কিছু কমানো হবে না। তদ্রুপ যদি কোন ব্যক্তি অসৎ পন্থা ও রেওয়াজ চালু করে (দুনিয়া থেকে চলে) যায়, আর অন্য মানুষেরা সেই অসৎ আমল করে, তাহলে তার (রেওয়াজ ও পন্থা সৃষ্টিকারীর) জন্যে আমালকারী ব্যক্তিদের সমান গুনাহ বরাদ্ধ থাকবে, যদিও তাদের গুনাহ থেকে কোন কিছু কমানো হবে না।”

(উসুল আল কাফি, খণ্ড ৫, পৃঃ নং ৯, দারুল কুতুবুল ইসলামিয়্যা; বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৬৮, পৃঃ নং ২৫৮; সহি মুসলিম, খণ্ড ৮, পৃঃ নং ৬১, দারুল ফিকর, বৈরুত; তাফসীর আদ্ দররুল মানসুর, খণ্ড ৬, পৃঃ নং ২০১, দারুল মা’রিফাহ, বৈরুত; সুনানু বাইহাক্বী, খণ্ড ৪, পৃঃ নং ১৭৬, দারুল ফিকর, বৈরুত)।

✨ হাদিস নং ৩৩

হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামঃ

“সকালে নাস্তাতে খেজুর খাও। কেননা, তা পেটের ক্রিমিকে মেরে ফেলে।”

উয়ুনু আখবারির রিদ্বা, খণ্ড ২, পৃঃ ৪৮, হাদিস নং ১৮৫।

✨ হাদিস নং ৩৪

হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামঃ

اَلصَّلاَةُ رَأسُ الاِسْلاَمِ

“নামাজ ইসলামের মস্তক।”

বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ১৭, পৃঃ নং ১২৭; মিযানুল হিকমাহ্, খণ্ড ৫, পৃঃ নং ৩৬৭।

✨ হাদিস নং ৩৫

হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামঃ

إنَّ أحَبَّ الأعْمَالِ إلَی اللهِ – عَزَّ وَ جَلَّ-  اَلصَّلاَةُ وَ الْبِرُّ وَ الْجِهَادِ

“আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দনীয় কাজ হচ্ছে নামাজ, উপকার করা ও জিহাদ করা।”

ওয়াসায়িলুশ শিয়া, খণ্ড ৩, পৃঃ ২৭; কানযুল উম্মাল, খণ্ড ৭, পৃঃ নং ২৮৫, হাদিস নং ১৮৮৯৭।

✨ হাদিস নং ৩৬

  হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামঃ

اَلطّيبُ يَشُدُّ القَلبَ

“সুগন্ধি ক্বলবকে শক্তিশালী করে তোলে।”

আল কাফি, লেখকঃ সিক্বাতুল ইসলাম মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব আল্ কুলাইনী (মৃত্যৃঃ ৩২৯হিঃ), খণ্ড ৬, কিতাবুয যাইয়ি ওয়াত্ তাজাম্মুল ওয়াল মুরুওয়া, বাবুত্ব ত্বাইয়িব, পৃঃ নং ৫১০, হাদিস নং ৬,  প্রকাশনাঃ দারুল কুতুবিল ইসলামিয়া, তেহরান, প্রকাশকালঃ ১৩৬৫ফারসী/১৯৮৬খৃঃ।

✨ হাদিস নং ৩৭

হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামঃ

صَلاةُ مُتَطَيِّبٍ أَفضَلُ مِن سَبعينَ صَلاةً بِغَيرِ طيبٍ

“সুগন্ধির সাথে একবার সালাত আদায় সুগন্ধি ব্যতীত সত্তুর বার সালাতের চেয়েও উত্তম।”

আল কাফি, লেখকঃ সিক্বাতুল ইসলাম মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব আল্ কুলাইনী (মৃত্যৃঃ ৩২৯হিঃ), খণ্ড ৬, কিতাবুয যাইয়ি ওয়াত্ তাজাম্মুল ওয়াল মুরুওয়া, বাবুত্ব ত্বাইয়িব, পৃঃ নং ৫১১, হাদিস নং ৭, প্রকাশনাঃ দারুল কুতুবিল ইসলামিয়া, তেহরান, প্রকাশকালঃ ১৩৬৫ফারসী/১৯৮৬খৃঃ।

✨ হাদিস নং ৩৮

হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামঃ

إِنَّ خيارَ عِبادِ اللّه الموفونَ المُطَيِّبونَ

“আল্লাহর সর্বোত্তম বান্দা হচ্ছেন তারা, যারা ওয়াদা রক্ষা করে চলেন এবং সুগন্ধি ব্যবহার করেন।”

নাহজুল ফাসাহা (আরাবী), আবুল ক্বসিম পইয়ান্দে, ফারসী অনুবাদঃ প্রফেসর আলী কারামী ফেরেইদোনী, পৃঃ নং ১৬৪, হাদিস নং ৮৫০, চিন্তা ও গবেষণা কেন্দ্রের দফতর, কোম, ইরান।

✨ হাদিস নং ৩৯

 

✨ হাদিস নং ৪০

 

Related Post

ইমামের আগমন সন্নিকটে❗

Posted by - আগস্ট ২৮, ২০১৯
ইমামের আগমন সন্নিকটে❗জেগে ওঠো মুমিন মুসলমান…✊ ⚠ কাফিররা যতই ইমামের আগমন ঠেকানোর চেষ্টা করুক না কেন, তিনি সকল অন্ধকারের পর্দা…

জুম’আর দিন যামানার ইমামের আত্মপ্রকাশের দিন

Posted by - সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
•✦✨ আল্লাহর কালাম ✨✦• ❖✨بسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ ✨❖ 〖فَلَمَّا دَخَلُوا عَلَىٰ يُوسُفَ آوَىٰ إِلَيْهِ أَبَوَيْهِ وَقَالَ ادْخُلُوا مِصْرَ إِنْ…

আহলে বাইতের প্রতি আনুগত্যপূর্ণ ভালবাসা

Posted by - ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২
আল্লামা যামাখশারী ও আল্লামা ফাখরে রাযী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের প্রখ্যাত দু’ জন তাফসীরকারক ও বিজ্ঞ আলেম । তারা তাদের…

মৃত্যু কামনাকারীর জন্যে জরুরী দশটি হাদিয়া

Posted by - সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯
🌷 জনৈক ব্যক্তি হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম-এর খেদমতে আরজ করলো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমাকে কী অনুমতি…

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »