আজ কেবল ইতিহাস থেকে একটি সুত্র দিতে চাই, তাদের জান্নাতপ্রাপ্তির বিশ্বাস তো এমন দৃঢ় ছিল তারা দুনিয়াতেই নিজেদের জন্য জান্নাতের মঞ্জিল দেখতে পেত। তারা জান্নাতের প্রতি এমন বিশ্বাস পোষণ করত যে, তারা জান্নাত প্রাপ্তির জন্য নিজের দুনিয়ার সবকিছু দিতে প্রস্তুত ছিল।
তারা কারা, তারা ছিলেন ইমাম হুসাইন ও তার সঙ্গী সাথিরা। আশুরার রাতে ইমাম হুসাইন তার বোন হযরত জয়নবের তাবু থেকে যখন নসিহত করে বের হলেন, ঠিক সেই সময় হেলালও ধীরপায়ে তার তাবু থেকে বের হলেন। ইমাম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কে?’ হেলাল বললেন, মাওলা আমি। আমার অপরাধ ক্ষমা করে দিন, আমি বিনা অনুমতিতে চলে এসেছি, কারণ, আপনাকে একা আসতে দেখে দূরত্ব বজায় রেখে পিছু পিছু চলে এসেছি। অনুমতি চাওয়ার সাহস পাইনি। কারণ অনুমতি চাইতে গেলে আপনি নিষেধ করতেন, আর আমি আসতে পারতাম না, সে জন্য বিনা অনুমতিতেই চলে এসেছি। ইমাম হুসাইন হেলালকে কাছে ডাকলেন এবং হেলালের হাত নিজের হাতে নিয়ে বললেন, “হেলাল, আসমানের দিকে তাকাও।” হেলাল আসমানের দিকে তাকিয়ে দেখলেন যে, আসমানের দরজা খুলা আছে, জান্নাতের দরজাগুলাও খুলা আছে। ইমাম দেখাচ্ছেন, “এটা হলো তোমার জায়গা, ওটা হলো হাবিব ইবনে মোজাহেরের জায়গা” এভাবে নিজের প্রতিটি সঙ্গী সাথিদের জায়গা বলে দিলেন। ইমাম কথাটি কখন বলেছিলেন, যখন ইমাম হুসাইনের সঙ্গী সাথিরা ইসলামের জীবন্ত দর্শনের প্রতি নিজেদের দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি প্রদর্শন করেছিলেন।
আমি গতকাল বলেছিলাম যে, ইমাম হুসাইন যখন সঙ্গীদের বলেছিলেন, “হে আমার সাথিরা, আগামীকাল হচ্ছে মৃত্যুর দিন, তোমার চলে যাও।” তারা যদি নিজের প্রাণের মায়া করতেন তাহলে চলে যেতেন। কিন্তু বিশ্বাস ছিল যে, জীবন যাবে কিন্তু এই প্রাণের চেয়ে উত্তম প্রতিদান পাব। সে কারণেই সবাই এক বাক্যে বলেছিলেন, “মাওলা মরে যাব, কিন্তু আপনাকে ছেড়ে যাব না।”
ইমাম হুসাইনের সঙ্গী সাথিরা যখন ইসলামি জীবনদর্শনের প্রতি একনিষ্ঠ ও দৃঢ় প্রমাণিত হয়ে গিয়েছিলেন, তখনই ইমাম হুসাইন তাদেরকে দেখিয়েছিলেন যে, জান্নাত তাদের জন্য অপেক্ষা করছে, কেবল এই একটি রাত মাঝখানে আছে। সকাল হলেই তোমরা শাহদাতের সুধা পান করবে এবং জান্নাতবাসী হয়ে যাবে। জান্নাতের বিশ্বাস কেবল হেলালেরই ছিল না, যিনি স্বচক্ষে জান্নাতে নিজের জায়গাকে দেখেছিলেন, বরং যারা জান্নাত দেখেনি তাদেরও দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, যারা শহীদ হতে যাচ্ছিল তারাও তাদের জীবনের সর্বস্ব, সমস্ত ধন-সম্পদ ও নিজেদের প্রাণ পর্যন্ত আল্লাহর পথে উৎসর্গ করে দিতে প্রস্তুত ছিলেন।
ইমাম হুসাইন ইসলামের প্রতি আহবান করছিলেন। ইয়াজিদও ইসলামের প্রতি আহবান করছিল। কিন্তু দেখা যাক, কে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখে এবং তার পথে সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে তার প্রতিদান হাসিল করতে আগ্রহী? আর কে দুনিয়ার প্রতি ইমান পোষণ করে ইয়াজিদের কাছ থেকে পুরষ্কার নিতে আগ্রহী?
যে দুনিয়ার প্রতি ইমান পোষণ করে সে মুসলমান নয়, যে আখেরাতের প্রতি ইমান পোষণ করে সে-ই হচ্ছে প্রকৃত মুসলমান। দুটি চিত্রই আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। আশুরার সকালে সাদের পুত্র নিজের কাধ থেকে তীর-ধনুক নামিয়ে সর্বপ্রথম ইমাম হুসেইনের দিকে তীর নিক্ষেপ করেছিল এবং উচ্চস্বরে বলেছিল, “হে আমার সহযোদ্ধারা, সাক্ষী থেকো, সবার আগে আমি তীর নিক্ষেপ করেছি, যেন ইয়াজিদের সামনে তোমাদের দেয়া সাক্ষ্যে আমি পুরষ্কার পেতে পারি।”
প্রমাণ হলো, সাদের পুত্র যে ইসলাম প্রদর্শন করেছিল, সেই ইসলামে আখেরাতে প্রতিদান পাওয়ার কোনো আশ্বাস নেই, সওয়াব ও প্রতিদানের উপর কোন ভরসা নেই। এবার মুহাম্মাদি ইসলামের চিত্র দেখুন –
সাদের পুত্র যখন প্রথম তীর নিক্ষেপ করল, তখন ইয়াজিদ বাহিনীর হাজারো তিরন্দাজ যারা ছিল তাদের মনেও আকাঙ্খা জন্মাল যে, সাদের পুত্র তো প্রথম তীর নিক্ষেপ করে ইয়াজিদের কাছ থেকে পুরষ্কার পাবে, চলো আমরাও দ্রুত তীর নিক্ষেপ করি, যেন আমরাও ইয়াজিদের কাছ থেকে পুরষ্কার লাভ করতে পারি। এভাবে সাদের পুত্রের একটি তীর ইমাম হুসাইনের দিকে তীরের বৃষ্টি দ্বার উন্মুক্ত করে দিল। তার একটি তীর নিক্ষেপ করার পর হাজারো ধনুক থেকে তীরন্দাজ তীর নিক্ষেপ শুরু করেছিল। হাজার হাজার তীর ইমাম হুসাইনের দিকে ছুটে আসতে লাগলো। আর ইমাম হুসাইনের কাছে হাজার হাজার বুক তো দূরের কথা ৭২টি বুকও ছিল না যে, বুক পেতে নেবে। কারণ ঐ ৭২ এর মধ্যে ৬ মাসের দুধের শিশু আলী আসগরও একজন ছিলেন, যিনি তখনও দোলনায় শুয়ে ছিলেন। বলাবাহুল্য, ইমাম হুসেইনের কাছে তীর ঠেকানোর সরঞ্জাম, আর না কোনো লোকবল আছে। কিন্তু তাদের কাছে ‘মুহাম্মাদি ইসলাম’ আছে৷ আখেরাতের উপর বিশ্বাস আছে, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস আছে, শেষ বিচারের দিন প্রতিদান পাওয়ার আশ-ভরসা আছে৷ সুতরাং যখন তীরের বৃষ্টি শুরু হলো তখন হাবিব ইবনে মোজাহের ঘোড়ার উপর চড়ে ভাবছিলেন, “হে ক্বাইন! ঐ সময়টি যখন উপস্থিত হয়েছে যার জন্য আমি আর তুমি বেচে আছি। এ সময় ইমাম হুসাইনের প্রতি কোনো মুসিবত আপতত হয় তখন আমরা আমাদের বুক পেতে দেব কিন্তু ইমামের গায়ে কোনো আঁচড় লাগতে দেব না।”
আবু সামামা, বুবীরকে ডাক দিয়ে বলল। ইমামের এক সাথি আর এক সাথিকে ডাকছে। কিন্তু সবাই চিন্তা করছে, “আমরা তো সংখ্যায় অল্প অথচ তীরের সংখ্যা অনেক, ইমাম এবং তার পরিবার, আত্নীয়-স্বজনকে কেমন করে বাচাব? আমাদের উপস্থিতিতে যদি ইমাম হুসাইনের কোনো সন্তান শহীদ হয়ে যায়, তাহলে কিয়ামতের দিন রাসুল (সাঃ) এর সামনে কোন মুখ নিয়ে দাড়াব? কি-ই বা বলব? সিদ্ধান্ত নিলাম, আমাদের মধ্যে যতজন সওয়ারি আছে তারা সবাই যার যার ঘোড়া নিয়ে এসে পাশাপাশি সারিবদ্ধ ভাবে দাড়িয়ে যাই, যেন আগত প্রত্যেকটা তীর হয় ঘোড়াগুলোর উপর পড়ে, না হয় আমাদের বুকে আঘাত করে। উক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরও তখন কিছু কিছু জায়গা খালি পড়েছিল সে দিক থেকে তীর এসে আঘাত করতে পারত। সুতরাং যারা সোয়ারিহীন অবস্থায় ছিল তারা ঐ খালি জায়গায় মাটিতে হাটু গেড়ে কাধে কাধ মিলিয়ে বসে পড়ল, তারপর সোয়ারিদেরকে বলল, ” প্রথমে তোমরা তীর ঠেকাও, যে তীর তোমাদের দ্বারা ঠেকানো যাবে না সেটা আমারা আমাদের বুকে ঠেকিয়ে নেব, কিন্তু ইমাম পর্যন্ত কোন তীর যেতে দেব না।” ওদিক থেকে লাগাতার তীরের বর্ষণ হতে থাকল, এদিকে ইমাম হুসাইনের সঙ্গীরা নিজের বুক তীর ঠেকাতে থাকলেন, ইমাম পর্যন্ত একটি তীরও পৌঁছাতে পারল না। মা জয়নাবের তাবু পর্যন্ত কোনো তীর পৌঁছাতে পারল না। আব্বাসের বাহু পর্যন্ত কোনো তীর লাগাতে পারল না, বনি হাশিমের কোনো শিশুকেও তীর আঘাত করতে পারল না। কিন্তু জালেমরা তীর ছোড়ায় যখন একটু বিরতি দিল তখন ইমাম হুসাইন খোঁজ নেয়া শুরু করলেন যে, তার কোনো সাথি তীরের আঘাতে হতাহত হয়েছে কি না।
যা হোক ইমামের ডাক শোনা গেল, “এটা কার কান্নার আওয়াজ, আমার কোনো সাথি না তো?” কেউ বলল, “হে ইমাম, এ হচ্ছে মুসলিম ইবনে আওসাজের দাসী, সে-ই মুসলিমের শিয়রে বসে কাদছে।” ইমাম হুসাইন জিজ্ঞাসা করলেন, “৮৬ বছরের বীর মুসলিম কি দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে…?” উত্তর এল, ” না মাওলা, মুসলিম এখনও বেচে আছে কিন্তু মাথা থেকে পা পর্যন্ত তীরবিদ্ধ হয়ে আছে। ক্ষতস্থান থেকে রক্ত ঝরছে, রুহ দেহত্যাগ করার পথে।” ইমাম হুসাইন এসে মাটিতে বসে পড়লেন, মুসলিমের মাথা নিজের কোলে তুলে নিলেন, জিজ্ঞাসা করলেন, “মুসলিম কেমন লাগছে?” মুসলিম বললেন, “মাওলা, হক আদায় করে বিদায় নিচ্ছি, প্রাণ যাওয়াতে কোনো দুঃখ নেই, বরং আনন্দ পাচ্ছি যে, কর্তব্য পালন করে যেতে পারছি। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি।” ইমাম হুসাইন তার সাথিকে কিছু বলতে চাইলেন, এমন সময় হাবীব ইবনে মোজাহের নিকটে এসে বললেন, “হে মুসলিম, তাবুতে তোমার স্ত্রী এবং সন্তান আছে তাদের জন্য কোনো ওসিয়ত থাকলে করো।” মুসলিম দুর্বল কন্ঠে বললেন এবং চোখ দিয়ে ইশারা করলেন, “হে হাবীব, তুমি ওসিয়ত সম্পর্কে জানতে চাও, তাহলে শোনো, সন্তানের জন্য কোনো ওসিয়ত নেই, স্ত্রীর জন্য কোনো ওসিয়ত নেই, কেবল তোমার জন্য ওসিয়ত আছে। যতক্ষণ বেচে থাকবে তাকে হেফাজত করতে থাকবে, হে আমার হাবীব! জীবন থাকতে আমার মাওলার গায়ে আঁচড় লাগতে দিয়ো না।” এতটুকু বলেই বীর মুসলিমের চোখদুটো স্থীর হয়ে গেল এবং আত্না দেহত্যাগ করল। মুসলিমের মাথা তখনও ইমাম হুসেইনের কোলে ছিল। মুসলিমের চোখ বন্ধ ছিল কিন্তু ইমাম হুসাইনের চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরছিল। ঠিক তখনই ইমাম দেখতে পেলেন যে, সাথিদের তাবু থেকে একটি ছোট্ট বালক বেরিয়ে এল। নাবালক শিশু, বয়স খুবই অল্প, কেউ তার কোমরে তরবারি বেধে দিয়েছে, যখন হাটছে তখন কোমরে বাধা তরবারি লেগে মাটিতে দাগ পড়ে যাচ্ছে। সবাই তাকিয়ে দেখল যে, বালকটি তাবুর দরজায় দাড়িয়ে আছে, পর্দার আড়ালে আরও একজন দাড়িয়ে আছে, যাকে দেখা যাচ্ছে না, কিন্তু অনুমান করা যায় যে, সেই পর্দার আড়ালের ব্যক্তিটি বালকটিকে কিছু বলছে, বালকটি নত হয়ে কাউকে সালাম করল এবং যুদ্ধ ক্ষেত্রের দিকে যেতে যেতে ইমামের দিকে তাকাল। ইমামও দেখতে পেয়ে সঙ্গীদের বললেন, “বালকটি দুশমনের কাছে কেনো যাচ্ছে! ওকে থামাও, এই তীর ও তরবারির বৃষ্টির মধ্যে তাকে যেতে দিয়ো না।” ইমাম হুসাইনের সাথিরা তাকে ফেরত নিয়ে আসলেন।
কিন্তু হায় আফসোস! ইমামের সাথি মুসলিমের সন্তানকে তো আদর করে ও সান্ত্বনা দিয়ে ফেরত আনা হয়, কিন্তু হুসাইনের লাশের বুকের উপর থেকে যখন ছোট্ট সখিনাকে সরানো হয়, তখন তার কচি গালে চড় মারা হয়, চড় খেয়ে সখিনা বলেন, “বাবা! ও বাবা! তোমার পরে সখিনার আর আশ্রয় থাকল না।” (আজরুকুম আলাল্লাহ)
ইমাম হুসাইন মুসলিমের সন্তানকে বললেন, বাবা তুমি কোথায় যাচ্ছ? বালকটি বললো, “আমি শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাচ্ছি।” আল্লাহ! আল্লাহ! তখন ইমাম হুসাইনের মনের অবস্থা কেমন হয়েছিল। আজ আলীর সন্তান কারবালায় এসে তার মতোই মজলুম ও অসহায় হয়ে গেল যে, নাবালক শিশু সন্তানেরও অন্তর তাকে সাহায্য করার জন্য ছটফট করছে। ইমাম বললেন, “তুমি এখন শিশু, তোমার উপর জিহাদ ফরজ হয়নি। আমার শত্রুদের সাথে যুদ্ধ করতে যেওনা। আচ্ছা, বলো তো, তুমি কোন পিতার সন্তান, কোন পিতার চিহ্ন?” বালকটি তার ছোট্ট ছোট্ট হাতদুটো একত্রে মিলিয়ে বিনয় সহকারে বলল, “মাওলা! এই-যে, যার মৃতদেহ আপনার কোলে পড়ে আছে।”
বালকটিকে ইমাম বুকে টেনে নিয়ে বললেন, “তোমার মা বেচে আছেন, তোমার পিতা তার হক আদায় করেছে, তার কুরবানিই যথেষ্ট, যাও তুমি তাবুতে ফিরে যাও, তোমার মা তোমার ভরসায় জীবন কাটিয়ে দিবে।”কিন্তু বালকটি মাথানত করে দাড়িয়েই রইল, একটু পরে বলল, ” কিভাবে ফিরে যাব?” মা তো নিজেই আমাকে যুদ্ধের সাজে সাজিয়ে পাঠিয়েছেন!” ইমাম বললেন, “তুমি না থাকলে তোমার মা কোন ভরসায় বেচে থাকবে?” বালকটি বললো, “মাওলা! আমি জানি না, তবে এতটুকুই জানি যে, আমার মা-ই তো আমাকে তরবারি দিয়ে পাঠিয়েছেন।”
তখনই তাবুর দরজা সরানো হলো, মাথায় চাদর-দেয়া একজন মহিলা বের হলেন এবং বললেন, “হে আমার ইমাম! এ হচ্ছে আমার সন্তান, আর আপনার সামনে যার লাশ পড়ে আছে সে আমার প্রাণপ্রিয় স্বামী মুসলিম। মুসলিম তো তার জীবন উৎসর্গ করে তার প্রতিদান পাবেই, আমি মহিলা, কোনো সাহায্য করতে পারছি না, জিহাদ হলো ‘সাক্বিত’। তাই আমি এই শিশু সন্তানকে হাদিয়া রূপে দান করছি। হে আমার মাওলা! আপনি কবুল করে নিন।”
আপনারা দেখুন এবং ভাবুন, বিধবা হওয়া সত্ত্বেও একটি মা কোন আশায়, কীসের ভরসায় তার কলিজার টুকরা সন্তানকে হাদিয়া রূপে দান করতে চাচ্ছেন? কারন, তিনি আল্লাহর প্রতি ঈমান পোষণ করে এবং বিশ্বাস করে যে, আখেরাতে অবশ্যই এর উত্তম প্রতিদান পাবেন।
– লা’নাতুল্লাহি আলাল কাওমিজ্জজালিমীন।