বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
“ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলুবি ওয়াল আবসার
ইয়া মুদাব্বিরাল লাইলি ওয়ান নাহার
ইয়া মুহাও-উইলাল হাওলি ওয়াল আহওয়াল
হাওউইল হালানা ইলা আহসানিল হাল।”
“হে অন্তরসমূহ ও দৃষ্টিসমূহের পরিবর্তনকারী
হে দিবা-রাত্রির পরিচালনাকারী
হে মানুষ ও প্রকৃতির অবস্থার রূপান্তরকারী
আমাদের আবস্থাকে সর্বোতকৃষ্ট অবস্থায় রূপান্তরিত করে দাও।”
☆☆☆☆☆☆☆☆
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
১লা বৈশাখ/১৪২৯বঙ্গাব্দ,
বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই বাংলাদেশী ও প্রতিবেশী দেশের সকল বাঙ্গালীকে। আশা করি এ বছর প্রতিক্ষীত ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের বছর হবে আর আমরা তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে সকল যুলুম অত্যাচার ও রক্তপাতের অবসান ঘটাতে পারবো ইনশাআল্লাহ্।
পারিবারিক, সামাজিক, আত্মিক, ধর্মীয় ক্ষেত্রে গত এক বছরের খতিয়ান নিয়ে আর নতুন বছরে অতিতের ভুল ত্রুটি সংশোধন করে পরিকল্পিত দিন যাপনের প্রতিজ্ঞা নেয়াই হবে নতুন বছরের আহ্বান। যেভাবে দিন যায় রাত্রি আসে তেমনি করে পুরাতনকে ফেলে দিয়ে নতুনকে আকড়ে ধরার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বাংলা নববর্ষে আমাদের কথপোকথনে, আচার আচরণে, বক্তব্য-বিবৃতিতে, লেখনিতে সর্বাত্মক চেষ্টা ও প্রতিজ্ঞা হওয়া উচিতঃ
১- আমরা কখনো আর বাংলার সাথে অন্য কোন ভাষার মিশ্রন ঘটাবো না। ইংরেজী শব্দমালা বাংলায় কথা ও লিখার ক্ষেত্রে কখনো প্রয়োগ করবো না।
২- কোন বিদেশীর কাছে কোন ক্ষেত্রেই আমাদের স্বকীয়তা ও আত্মসন্মান বিকিয়ে দিবো না। এমনকি ধর্মীয় ক্ষেত্রেও।
৩- আমাদের দেশীয় শালীন সাংস্কৃতির ভিতর দিয়েই আমরা ধর্মের চর্চা অব্যাহত রাখবো।
সুতরাং যেমনি করে ঋতু বদলে প্রকৃতির পরিবর্তন আসে তেমনি করে আমাদের বাহ্যিক ও আভ্যন্তরিন পরিবর্তন আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘর বাড়ি পরিস্কার করার নিমিত্তে ঝাড়ু দিয়ে ময়লাকে যেভাবে আমরা বাড়ির বাইরে ফেলে আসি তেমনি আমাদের অন্তরকে আল্লাহর যিকির ও ইবাদত এবং মানবতার খেদমত ও একতার মাধ্যমে সকল ধরনের কলুষতা, হিংসা-বিদ্বেষ, পাপাচার, পরশ্রীকাতরতা, অমঙ্গল কামনা, নিন্দাসহ সকল কুৎসিত অভ্যাসকে অন্তর থেকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে ভাল আবেদ ও মানবদরদী হয়ে জীবন যাপনের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
এ বছর হোক আমাদের আত্ম সংশোধনের বছর।
নিপাত যাক সকল যুলুম ও অত্যাচার।
ধ্বংস হোক সকল নিন্দুকের দল।
সংশোধিত হোক সকল মানুষ।