দ্বীনের ফুরু (শাখা-প্রশাখা) বা ফরজ স্তম্ভ

868
দ্বীনের ফুরু (শাখা-প্রশাখা) বা বাধ্যতামূলক ফরজ স্তম্ভ ১০টি। নামাজ, রোজা, খুমস, যাকাত, হজ্ব, জিহাদ, আমর বিল মা’রুফ (সৎ কাজের আদেশ), নাহি আনিল মুনকার (অসৎ কাজের নিষেধ), তাওয়াল্লা (যে কোন ভাল ব্যক্তি ও বিষয়ের প্রতি ভালবাসা), তাবাররা (যে কোন খারাপ ব্যক্তি ও বিষয়ের প্রতি ঘৃণা)।
১. ফরজ নামায– নামায  বা সালাত ইসলামের উপাসনা কর্ম। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামায নির্দিষ্ট সময়ে আদায় করা আবশ্যক।

২. যাকাত – এর অর্থ হলো “যা পরিশুদ্ধ করে” আরেক অর্থ হল “সম্পদের যাকাত”। প্রত্যেক স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক মুসলমান নর-নারীকে প্রতি বছর স্বীয় আয় ও সম্পত্তির একটি নির্দিষ্ট অংশ, যদি তা ইসলামী শরিয়ত নির্ধারিত সীমা (নিসাব পরিমাণ) অতিক্রম করে তবে, গরীব-দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণের নিয়মকে যাকাত বলা হয়।

৩. খুমস –

৪. রামাযান মাসে রোযা – সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার এবং সেই সাথে যাবতীয় ভোগ-বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোযা। প্রতিটি সকল মুসলমানের জন্য রমযান মাসের প্রতি দিন রোজা রাখা ফরজ যার অর্থ অবশ্য পালনীয়। 

৫. হজ্জ – আরবি জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ হজের জন্য নির্ধরিত সময়। হজ পালনের জন্য পবিত্র কাবা শরীফ এবং সন্নিহিত মিনা, আরাফাত, মুযদালিফা প্রভৃতি স্থানে গমন এবং অবস্থান আবশ্যক। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বাৎসরিক তীর্থযাত্রা।

৬. জিহাদ – 

৭. আমর বিল মা’রুফ (সৎ কাজের আদেশ) – 

৮. নাহি আনিল মুনকার (অসৎ কাজের নিষেধ) – 

৯. তাওয়াল্লা (যে কোন ভাল ব্যক্তি ও বিষয়ের ভালবাসা) – 

১০. তাবাররা (যে কোন খারাপ ব্যক্তি ও বিষয়ের প্রতি ঘৃণা) –

Related Post

নিদর্শনাদীর নামাজ

Posted by - নভেম্বর ১০, ২০১৯
চারটি কারণে আয়াত বা নিদর্শনাদির নামায ফরজ হয়। ১ । চন্দ্র গ্রহণের কারণে। ২। চন্দ্র ও সূর্য গ্রহণের কারণে। ৩।…

নামাজে অপরিহার্য বিষয়

Posted by - আগস্ট ১৮, ২০১৯
🌹🌷নামাজ সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন:   قال محمد رسول الله صلى الله عليه وآله: اَلدُّعاءُ مِفْتاحُ الرَّحْمَةِ وَ الْوُضوءُ…

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »