১১ মহররম !
বালুকাময় বিস্তীর্ন মরুভূমি !
শুষে নেওয়া তাজা রক্তের মাঝে পড়ে থাকা মস্তকবিহীন বাহাত্তরের
ছিন্নভিন্ন দেহ !
ধূলার মাঝে অনাদরে পড়ে থাকা দেহবিশেষ !
প্রাণ স্পন্দন সেই কখন থেমে গেছে !
এখনো লাশগুলো পড়ে আছে জমিনে কতটা অবহেলা আর অনাদরে !
দাফন করার নিজেদের কেউ আর নেই!
ইয়াজিদি শত্রুর ভয়ে বনু আসাদও এগুতে
ভয় পাচ্ছে লাশের কাছে যেতে,
পাছে না কোন বিপদ হয় !
তবুও তারা গেল
সমাহিত করার জন্য!
কিন্তু এতো আরো মহাবিপদ !
মাথা বিহীন কোন লাশই তো চেনা যাচ্ছে না !
ঘোর বিপদে কিছুক্ষণ কেটে গেল,
কিন্তু সুরাহার নেই যে উপায় !
দূর থেকে কে যেন আসছে !
হঠাৎ ভয় পেয়ে সরে গেলেন!
আগন্তুক এসে ডাকলেন বনু আসাদদের !
বললেন ,
লাশগুলো সমাহিত করতে হবে !
কিন্তু লাশগুলো তো চেনা যাচ্ছে না !
আগন্তুক এক এক করে লাশগুলোকে সনাক্ত করলেন !
বললেন ,
কবরস্ত করতে থাকো !
এভাবে পরিচয় করে সমাহিত করলেন প্রতিটি লাশ!
বাকি রয়ে গেল শেষ ছিন্নভিন্ন হওয়া লাশটি !
এ লাশটি ধরো না ,
আমাকে চাটাই এনে দাও আমিই সমাহিত করছি !
নিজ হাতে মাটিতে শুয়ে দিয়ে দাফন কাজ সম্পন্ন করলেন আগন্তুক !
কাজ শেষে ফিরে যেতে চাইতেই ঘিরে ধরলো বনু আসাদ !
কে আপনি ?
কিভাবে এই লাশগুলো সনাক্ত করলেন ?
একজন অজানা আগন্তুকের পক্ষে তো তা অসম্ভব !
দোহাই এইসব শহিদদের !
আপনার পরিচয় দিন ,না হলে কিছুতেই যেতে দিবো না !
নিরুপায় হয়ে উত্তর দিলেন
আমি জয়নুল আবেদিন !
এসেছি মোজেজার আলোকে ,
কাজটি সমাধা করার জন্য।
পিতার কাজ আন্জাম দেওয়া শেষ !
এখন তো আমাদের পালা !
অনেক কাজ যে বাকি !!
বলেই,
নিমিষেই হারিয়ে গেলেন আগন্তুক !!
আর এভাবেই রাসুল সাঃ এর প্রিয় সত্ত্বাটি
জানাজা বিহীন চির নিদ্রায় শায়িত হয়ে রইলো
বিষাদ কারবালার বুকে !!
___মাসুদ রানা তরুন ।