😭😭 এ মাস, কারবালার ঐতিহাসিক ত্যাগের কথা, মর্মন্তুদ শাহাদাতের কথা এবং নবীজীর সন্তান ও তাঁর নিরাপরাধ কচি শিশু বাচ্চাদের উপর বর্বরতা ও নৃশংসতা আর ইমাম হুসাইনের বোন হযরত যয়নবের বহুমুখী কষ্ট ও বেদনাদায়ক বন্দী দিনগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। প্রতিষ্ঠিত তাগুতী শক্তির বিরোদ্ধে ইমাম হুসাইন (আ.)- এর আদর্শিক প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ আর সচেতনতা সৃষ্টিমূলক আন্দোলন ও বিপ্লবের মধ্যে রয়েছে বহুমূখী উন্নত নৈতিকতা এবং ইসলামী উচ্চতর আধ্যাত্মিক শিক্ষা।
ইমাম হুসাইন (আ.)- এর আন্দোলনের সূচনালগ্নে রাসূলের আহলে বাইতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কুফার বিশাল জনগোষ্ঠি ইমামের অনুসারী বলে দাবী করে থাকলেও এবং ইয়াযিদের অত্যাচার সম্পর্কে অবহিত ও ইমাম হুসাইন বিন আলী (আ.)- এর মর্যাদা সম্পর্কে অবগত থাকলেও তাদের ক্ষুদ্র একটি অংশই কেবল ইমামের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে পেরেছিল। সমূহ বিপদের মুখেও এই ক্ষুদ্র অংশটি কেন ও কিভাবে ইমামের সাথে থেকে রাসূলের সুন্নতের পথে নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিলেন, সে বিষয়টি অবশ্যই ব্যাপক পর্যালোচনার দাবী রাখে। ইমামের এই সঙ্গীদের এমন কী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ছিল কিংবা ইমামের আন্দোলনেরই বা এমন কী বৈশিষ্ট্য ছিল যে, যার জন্যে তাঁরা এত বড় কুরবানী দিতে বাধ্য হলেন তা বিশেষভাবে বিশ্লেষণ হওয়া প্রয়োজন।
ইমামের সঙ্গীদের উন্নত বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল আল্লাহ, রাসূল, আহলে বাইত ও আখেরাতের উপর তাদের গভীর বিশ্বাস ও ভালবাসা। তাই তাঁরা দুনিয়ার সকল প্রকার প্রতারণা, অপপ্রচার, ভ্রান্ত ধারনা, অপবাদ ও অন্যায়ের বিরোদ্ধে প্রতিবাদে সার্থকতার সাথে শাহাদাত বরণ করে ক্বিয়ামত পর্যন্ত সত্যের সাক্ষী রেখে যাওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। আত্মসম্মান এবং মর্যাদাময় জীবনই হলো স্বাধীন জীবন। এ জীবন সম্পর্কে ইমাম হুসাইন(আ.) বলেছেনঃ “সম্মানজনক মৃত্যু অপমানজনক জীবনের চেয়ে অনেক বেশী উত্তম।” আর তাই আশুরা আন্দোলনের মধ্যে ফুটে উঠেছিল ইমাম হুসাইন (আ.) ও তাঁর নিবেদিতপ্রাণ সঙ্গীদের স্বাধীনচেতা মনোবৃত্তি। আমরা তাদের এ ত্যাগ ও কুরবানীকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি এবং নকল ও মিথ্যা ইসলামকে বর্জন করে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে তথা হুসাইনী ইসলামের পক্ষে সকলকে সমর্থন ও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই।👊