খালেদ বিন ওয়ালিদ

636

হযরত খালেদ বিন ওয়ালিদ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু তথ্যঃ

নাম: খালেদ বিন ওয়ালিদ
পিতা: মুগিরা মাখযুমি
ইসলাম গ্রহণ: হুদাইবিয়া সন্ধির পর, সপ্তম হিজরী।
মৃত্যু: ২১ হিজরী
 

মুসলমান হবার পূর্বের কর্ম বিবরনীঃ

খালিদ বিন ওয়ালিদ মুসলমাদের বিরুদ্ধে বদর, ওহুদ ও খন্দকের যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে। ওহুদের যুদ্ধে জঘন্য অপরাধযজ্ঞ চালায়, যার ফলে সত্তুর জনেরও বেশী মুসলিম সংগ্রামী যোদ্ধা শহীদ হন। রাসূলের চাচা, শহীদদের নেতা হযরত হামযাকে নৃশংসভাবে হত্য করে খালিদ বিন ওয়ালিদ।
 

মুসলমান হবার পরের কর্ম বিবরনীঃ

১। রাসূলের আমলে মুতার যুদ্ধে পরাজিত সৈন্যদলের নেতা।
 
২। প্রথম খলিফার আমলে ভন্ড নবী, মুরতাদ ও যাকাত দানে অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে হযরত আবুবকরের নির্দেশে যুদ্ধ করে।
 
৩। প্রথম খলিফার আমলে বনি তামিম গোত্রের মুসলমানদেরকে তাদের নেতা রাসূলের বিশিষ্ট সাহাবী হযরত মালিক বিন নুওয়াইরাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আর সেই রাতেই হযরত মালিক বিন নুওয়াইরার পরমা সুন্দরী স্ত্রীর সাথে যৌনমিলন করে। এর জন্যে বলা হয় তিনি বিধবা মহিলার ইদ্দতের সময়ের কোন তোয়াক্কা না করেই মালিকের স্ত্রীকে জোড়পূর্বক বিয়ে করে। এ জন্যে হযরত ওমর আবুবকরের উপর প্রচন্ড ক্ষেপে যায় এবং বলে আমি ওকে রজম করে হত্যা করবো। কিন্তু আবুবকর খালিদকে মাফ করে দেয়। এর জন্যে নি¤েœর কিতাবগুলো দেখতে পারেন: তাবারীর ইতিহাস, খন্ড ২ পৃ: ৫০৪। তারিখে ইসলাম যাহাবী, খন্ড ৩ পৃ: ৩৬। ইবনে আসিরের লেখা আল কামিল ফিত্ তারিখ, খন্ড ২ পৃ: ৩৫৯। ইবনে আসাকেরের লেখা তারিখ মাদিনাতু দামেশক, খন্ড ১৬ পৃ: ২৬৯। যাহাবীর লেখা সিয়ারু আ’লামুন নুবালা, খন্ড ১ পৃ; ৩৮০। ইবনে আসিরের লেখা উসুদুল গ¦াবা, খন্ড ৪ পৃ: ২৯৬।
 
৪। হযরত ওমর খেলাফতের দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই খালিদকে সিরিয়ার গভর্নরের পদ থেকে বহিস্কার করে। দেখুন: ইবনে কাসিরের লেখা আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, খন্ড ৭ পৃ: ২৩। যাহাবীর লেখা তারিখে ইসলাম, খন্ড ৩ পৃ: ১২৩। সাফাদীর লেখা আল ওয়াফি বিলওয়াফিয়াত, খন্ড ১৬ পৃ: ৩২৯।
 
৫। দ্বিতীয় খলিফা দুর্নিতির অভিযোগে খালিদের মাথা থেকে পাগড়ী ফেলে দিতে নির্দেশ দেয় ।
দেখুন: ইবনে আসাকেরের লেখা তারিখ মাদিনাতু দামেশক, খন্ড ১৬ পৃ: ২৬৯। যাহাবীর লেখা সিয়ারু আ’লামুন নুবালা, খন্ড ১ পৃ; ৩৮০। ইবনে কাসিরের লেখা আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, খন্ড ৭ পৃ: ২৩।
 
৬। হযরত ওমর খালিদকে সাইফুল্লাহ(আল্লাহর তরবারী) না বলে তাকে আল্লাহর দুশমন এবং তার তরবারীকে দুশমনের তরবারী বলে অভিহিত করেছেন। দেখুন: তাবারীর ইতিহাস, খন্ড ২ পৃ: ৫০৪। ইবনে আসিরের লেখা আল কামিল ফিত্ তারিখ, খন্ড ২ পৃ: ৩৫৯। ইবনে হাজার আসক্বালানীর লেখা আল্ ইসাবা, খন্ড ৫ পৃ: ৫৬১। যাহাবীর লেখা তারিখে ইসলাম, খন্ড ৩ পৃ: ৩৭। ইবনে আসাকেরের লেখা তারিখ মাদিনাতু দামেশক, খন্ড ১৬ পৃ: ২৮৫।
 
৭। রেশমী কাপড় পরিধানের জন্যে হযরত ওমর খালিদকে তিরস্কার এবং তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। হযরত ওমরের নির্দেশে লোকজনের সামনেই তার পোশাক ছিড়ে ফেলা হয়। দেখুন: ইবনে হাজারের লেখা ফাতহুল বারী, খন্ড ৬ পৃ: ৭৪। ইবনে আসাকেরের লেখা তারিখ মাদিনাতু দামেশক, খন্ড ১৬ পৃ: ২৬৯। যাহাবীর লেখা সিয়ারু আ’লামুন নুবালা, খন্ড ১ পৃ; ৩৮০।
 

আরো কিছু বইয়ের নাম দিলাম, যেখানে খালিদ বিন ওয়ালিদের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারবেন:

১। ইবনে সা’দের লেখা আত্ তাবাকাতুল কুবরা।
২। ইবনে হিশামের লেখা আস্ সিরাহ্ আন্ নাবাবিয়্যা।
৩। বালাযুরীর লেখা ফুতুহুল বুলদান।
৪। আল্ ওয়াকিদির লেখা ফুতুহুশ শাম।
৫। ইবনে ইসহাকের লিখা সিরাতু রাসুলিল্লাহ্।
 
উল্লেখ থাকে যে, উপরোক্ত সকল কিতাব হিজরী প্রথম শতাব্দি থেকে সপ্তম শতাব্দির মধ্যে আরবী ভাষায় লেখা হয়েছে এবং সেগুলো বিভিন্ন সময় মিসর, লেবানন, সৌদী আরব ও ইরানে ছাপা হয়েছে।

Related Post

হযরত খালেদ বিন ওয়ালিদ

Posted by - জানুয়ারি ২১, ২০২০
হযরত খালেদ বিন ওয়ালিদ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু তথ্যঃ নাম: খালেদ বিন ওয়ালিদ পিতা: মুগিরা মাখযুমি ইসলাম গ্রহণ: হুদাইবিয়া সন্ধির পর,…

একটি ধাঁধার উত্তর!

Posted by - আগস্ট ১৭, ২০১৯
মুসলমান হিসেবে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের সকল সাহাবী কেরামের প্রতি আমাদের পরিপূর্ণ…

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »