একঃ খোমস
কোন হাদিয়া, তোহফা(গিফ্ট), ওয়ারিসসুত্রে প্রাপ্ত কোন কিছু, মোহরানা ইত্যাদি বস্তর উপর কোন খোমস হয় না। আর সম্পত্তি বা অর্থ বা ব্যবহৃত সোনা- দানার (অলংকার) উপর কোন যাকাত হয় না। অর্থাৎ আয় রোজগারের উপর যাকাত নেই। খোমস আছে। উপরের কয়েকটি বিষয় বাদ দিলে অন্যান্য বস্তুর উপর নিয়ম অনুযায়ী খোমসের শর্ত পূরণ হলে খোমস দেয়া ফরজ। নামাজ রোজা, পর্দা, হজ্জ্ব ইত্যাদির ন্যায় খোমসও একটি ফরজ কাজ। খোমস আদায় না করলে সেই মাল বা অর্থ দিয়ে হ্জ্ব আদায় হয় না, হজ্জ্ব কবুল হয় না। সেই অর্থ থেকে ভরন পোষন, খাবার দাবার সব কিছু হারাম হয়ে যায়। খোমস কোন হক্কানী মুজতাহিদের কাছে আদায় করতে হয়, তাছাড়া খোমসের সম্পদ নিজে নিজে আদায় বা ব্যয় করা যায় না।
দুইঃ নয়টি বস্তুর উপর যাকাত আদায় করা ফরজ:
১। উট ২।গরু ৩। ছাগল ৪। ভেড়া ৫। স্বর্ণ ও রৌপ্য (এখনো ব্যবহার করার জন্যে তৈরী করা হয় নাই এমন স্বর্ণ বা রৌপ্য অথবা মুদ্রা হিসেবে চালু আছে এমন) ৬। গম ৭। যব ৮। খোরমা ৯। কিসমিস।
এগুলোর প্রত্যেকটির পৃথক পৃথক নেসাব আছে, যা পূর্ণ হলেই মাত্র যাকাত দেয়া ফরজ।
কোন তাগুতি সরকারের ফান্ডে যাকাত আদায় হয় না।
যাকাতের আদায়কৃত মাল নিজে নিজে ব্যয় করতে পারবে না। এটাও খোমসের মতো কোন হক্কানী মুজতাহিদের কাছে আদায় করতে হবে। শাড়ী, লুঙ্গী গরীবদের মধ্যে বিতরণকে যাকাত বলা যাবে না। এগুলো সদকা বা দান।
তিনঃ ফেতরা
ফেতরা প্রতিটি সামর্থবান মুসলমান নর নারী অভিভাবকের উপর ফরজ। সেই ব্যক্তি পরিবারের যে সকল সদস্যের ভরণ পোষন করেন তাদের প্রত্যেকের পক্ষ থেকে ফেতরা আদায় করবেন। ফেতরা নিজ ইচ্ছামত আদায় করলে হবে না। খোমসের মতো ফেতরাও কোন হক্কানী মুজতাহিদের কাছে পৌছাতে হবে। ফেতরা ঈদুল ফিতর-এর ঈদের দিন দুপুরের আগেই আদায় করা ফরজ। যদি কেউ এই সময়ের মধ্যে আদায় করতে না পারেন, তাহলে সে যেন অবশ্যই এই সময়ের মধ্যেই নিয়ত করে ফেতরার অর্থ আলাদা করে রাখেন এবং পরে সুযোগমতো আদায় করে দেন। রমজানের ভিতর ফেতরা আদায় হয় না। শুধুমাত্র ঈদের দিনেই দুপুরের আগেই তা আদায় করা ফরজ।
চারঃ ঈদের নামাজ
মাসুম ইমামের অদৃশ্যকালে ঈদের নামাজ ফরজ বা মুস্তাহাবও নয়। তবে কোন হক্কানী মুজতাহিদের নেতৃত্বে বা তাঁর নির্দেশে ঈদের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। কিন্তু নিয়ত করতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে দুই রাকাত ঈদের নামাজ আদায় করছি। ঈদের নামাজ ফুরাদা (একা)-ও আদায় করা যায়।