আমাদের দেশের কিছু আলেম ওহাবীদের প্রভাবে তাদের ওয়াজগুলোতে প্রায়ই বলে থাকেনঃ
“কিয়ামতের দিনে কেউ কাউকে শাফায়াত করতে পারবে না। সেদিন নিজ আমল দ্বারাই বেহেশ্তে যেতে হবে।”
যদিও তারা কোরআনের আয়াত উল্লেখ করেই উক্ত বক্তব্য দিয়ে থাকেন, কিন্তু আসল কথা হলো তারা পুরো কোরআন থেকে কথা বলেন না। অথচ আল কোরআনের অন্য আয়াতগুলোতে বলা আছে আল্লাহর অনুমতিক্রমে কিছু বিশেষ ব্যক্তিরা সুপারিশ ও শাফায়াত করার আধিকারপ্রাপ্ত হবেন।
সেই ধরনের কিছু আয়াত নিচে উল্লেখ করছিঃ
১.
مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ
এমন কে আছে, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া?
(সূরা বাকারা, আঃ নং ২৫৫)
অর্থাৎ সেদিন আল্লাহির অনুমতি ছাড়া কেউ সুপারিশ করতে পারবে না।
২.
لَا يَمْلِكُونَ الشَّفَاعَةَ إِلَّا مَنِ اتَّخَذَ عِندَ الرَّحْمَنِ عَهْدًا
“যে দয়াময়ের নিকট প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছে সে ব্যতীত অন্য কারও সুপারিশ করার ক্ষমতা থাকবে না। (সূরা মারইয়াম, আয়াত নং ৮৭)।
৩.
يَوْمَئِذٍ لَّا تَنفَعُ الشَّفَاعَةُ إِلَّا مَنْ أَذِنَ لَهُ الرَّحْمَنُ وَرَضِيَ لَهُ قَوْلًا
“দয়াময় যাকে অনুমতি দিবেন ও যার কথা তিনি পছন্দ করবেন সেই ব্যক্তি ব্যতীত কারও সুপারিশ সেদিন কোন কাজে আসবে না।” (সুরা ত্ব-হা, আয়াত নং ১০৯)।
৪.
وَلَا تَنفَعُ الشَّفَاعَةُ عِندَهُ إِلَّا لِمَنْ أَذِنَ لَهُ
“যাকে অনুমতি দেয়া হবে সে ছাড়া আল্লাহর নিকট কারও সুপারিশ ফলপ্রসু হবে না।” (সূরা, আস সাবা, আয়াত নং ২৩)।
এখন প্রশ্ন হলো, যেসব মাওলানা ও আল্লামারা বলেন যে, সেদিন কোন সুপারিশকারী থাকবে না, তারা কি কোরআন পাঠ করেন না? তারা কি কোরআনের কিছু অংশ মানেন আর কিছু অংশ মানেন না?!!!