বিদঘূটে অন্ধকারাচ্ছন্ন রাত্রি !
সারারাত খোলা আকাশের নিচে !
পায়ে বেড়ি পড়া ,হাতে হাতকড়া !
কখনো হেটে কখনো বা ঘোড়ার পিঠে চড়ে !
সামনে পিছনে শত্রুদের বর্শার অগ্রভাগে
প্রিয় মুখগুলো দুলছে !
দগ্ধ হওয়া প্রতিটি অন্তর !
শোকে কাতর মন !
নারীদের মাথায় চাদর নেই,
টেনে ছিড়ে ফেলা হয়েছে !
শিশুদের মুখে গালে চড় থাপ্পরের স্পষ্ট ছাপ !
বেআব্রু বানিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ,
বাজারে বাজারে
ঘুরানো হচ্ছে তাদের !
অন্তরগুলো আজ বড়ই ক্লান্ত অবিরত রক্ত ক্ষরণে ,
উপুর্যূপরি আঘাতে !
কতদিন খাওয়া নেই ,নেই পানি !
হাহাকার আর শূণ্যতা চেপে ধরা আর্তনাদের কাছে সবকিছুই গৌণ তাদের !
মায়ার অনুভূতিগুলোও বিষাদের ছায়ায় ঢেকে আছে !
পথশ্রান্ত হয়ে যখনই তন্দ্রা ঘিরে ধরতো ঠিক তখনই হ্যাঁচকা টানে ঝাঁকুনি দিয়ে আহত করতো পাষান শত্রুগুলো !
কোন কোন শহরে এলে ইয়াযিদ বাহিনী ঘোষনা দিতো
বন্দি মানুষগুলোর তামাশা দেখার জন্য ।
হুমড়ি খেয়ে পড়তো শহরের লোকজন !
কখনো কখনো ইট পাটকেল ছোড়া হয়েছে সে কাফেলাদের উপর !
আর তা দেখে ইয়াজিদের বিজেতা বাহিনী আনন্দে উল্লাস করতো !
হঠাৎ বর্শার অগ্রভাগ থেকে একটি মাথা পড়ে গেলো !
বার বার চেষ্টার পরও থাকছে না বর্শায় ।
উপায় না দেখে ঝুলিয়ে দেওয়া হলো ঘোড়ার গলায় !
এক অধিবাসি জিজ্ঞেস করলেন
ঐ শিরটা ঝুলানো কেন?
শত্রুদের কাছে জবাব না পেয়ে ,
হাত বাধা ,পায়ে বেড়ি পড়া ইমাম জয়নূল বললেন ,
এই শির চাচা আব্বাসের !
কথা দিয়েছিলেন ,তাঁর জীবদ্দশায়
আহলে বায়েতের নারীদের হিজাব রক্ষা করবেন ।
তাঁর চোখের সামনের নবীর বংশদের আব্রু নেই তাই লজ্জ্বিত হয়ে বর্শা থেকে পড়ে যাচ্ছে !
লুকাতে চেয়েছেন মুখটি !!
___মাসুদ রানা তরুন ।।