বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা প্রায়।
কোথাও যেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
হন্য হয়ে খুঁজছে সবাই।
নাহ… কোথাও নেই?
কিন্তু সংখ্যাটা যে মিলছে না ?
খুঁজে পেতে যে হবেই ,,,
শুধু একটি ই তো মাত্র !
বাকিগুলো তো মিলছে !!
বিশাল ভূমি !
এখানে আর কোথায় পাবো সে একটিকে !!
কি করা যায়,,,?
চল …দলবেঁধে নেমে পড়ি !
সারিবদ্ধভাবে নেমে পড়লো সবাই।
কিন্তু কিভাবে ?
কিভাবে মানে ?
কিছুক্ষণ আগেই তো হত্যা করলাম ,,,!!
যাবে কোথায় ?
মাটির নিচে পুঁতে ফেলছে বোধ হয় !
তো ,
মাটির নিচে খুজবো কিভাবে ?
গাধাঁর দল কোথাকার !
হাতের এই তীক্ষ্ণ বর্শা গুলো দিয়ে কি করবি ?
উপর থেকে জোরে জোরে মাটিতে খোঁচা দিয়ে দ্যাখ !
চালিয়ে যা এভাবে,পেয়ে যাবি !!
যেই কথা সেই কাজ !!
মাটিতে বর্শা দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে যাচ্ছে !
কিন্তু পাওয়া তো যাচ্ছে না ?
চারদিকে মারমার কাটকাট শেষে শুধু চলছে লুণ্ঠন ও নিপীড়ন।
নেই কোন অবগুন্ঠন,
টেনে হেচড়ে ছিড়ে ফেলছে ছাউনী ।
আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে সব ছাড়খাড় করে দিয়েছে।
অবশিষ্ঠ কেবল একজনই রুগ্ন নর, বাকি শুধু নারী ও শিশুদের সে নির্যাতিত দলটি।
প্রতিপক্ষ তো হাজার তিরিশ।
হত্যাকান্ডের সব চেয়ে নির্মম লোমহর্ষক কোন শব্দ মনে হয় শব্দকোষে নেই যে তা দিয়ে বর্ননা করা যাবে।
সুকরুন সুরে ভেসে আসছে বেঁচে থাকা গোটা কয়েক নারীর কান্নার আওয়াজ!
মূর্ছা যাওয়া ও কিছু গোঙানী শব্দ।
কিছু তীব্র বিলাপ!!
হঠাৎ বর্শার আগাটা কেমন যেন ঈষৎ বাঁধাপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে ভেদ করলো !!
কেমন যেন অনুভূতিটা !!
ঠিক যেন নতুন গজানো কলা গাছের ভিতর বর্শা বিদ্ধ হওয়ার সে কচকচ শব্দের অনুভূতি !!
বর্শাটা টেনে তুলতেই যেন সহজে উঠে আসছে না !!
চমকিয়ে বলে উঠলো ,
এই তো পেয়ে গেছি !!
মাটি খুঁড়ে তুলতেই উঠে এলো সেই পিতার হাতে সদ্য সমাহিত ,
হায়নাদের হাতে তীর ও বর্শাবিদ্ধ ছোট্ট সে এক কচি দেহ।
বয়স মাত্র ৬ মাস।
অপরাধ…….?
অপরাধ শুধু চেয়েছিল…
কেবলই,,,,
ক’ফোটা…
জল………!!!!
(মাসুদ রানা)