🌹 প্রাচীন ও ইসলামী সভ্যতার দেশ ইরানে অবস্থিত কিছু দর্শনীয় পবিত্র যিয়ারতগাহ🌷
১। মাশহাদ শহর ও তার পার্শ্ববর্তি এলাকাঃ
🔻দয়াল নবীর আহলে বাইতের অষ্টম ইমাম, হযরত ইমাম রিদ্বা (আ.)-এর পবিত্র মাযার। তিনি দুইশত হিজরীতে আব্বাসীয় প্রতিবাদী খলীফা আল মামুনের কঠোর নির্দেশে মদীনা থেকে তৎকালীন রাজধানী মারভ শহরে রাজনৈতিক হিজরতে বাধ্য হন। আর ইমাম বাগদাদ শহরে ফিরে আসার পথে ইরানের তুস শহরে দুইশত তিন হিজরীতে পঞ্চান্ন বৎসর বয়সে বাদশাহ আল মামুন কর্তৃক বিষ প্রয়োগে শাহাদাত বরণ করেন। ইমামের পবিত্র দেহ আব্বাসীয় খলীফা হারুন আর রশীদ-এর মাথার সামনে কবরস্থ করা হয়। আর এখনেই এখন প্রতিদিন লক্ষাধিক মুসলমানের যিয়ারতগাহ হিসেবে পরিগণিত।
🔻ইমাম রিদ্বা (আ.)-এর মাযারের পর হযরত খাজা রাবিয় (রা.)-এর মাযার। তিনি অঅল্লাহর রাসূলের একজন বিশিষ্ট্য সাহাবী ছিলেন। তিনি ইমাম আলী(আ.)-এর খেলাফতের আমলে কাযভীন-এর শাসনকর্তা ছিলেন।
🔻সুলতান গিয়াসুদ্দীন মুহাম্মাদ ইবনে আমর ত্বাহের মুসাভী-এর পবিত্র মাযার। তিনি ইমাম মুসা ইবনে জাফার কাযিম(আ.)-এর সতেরতম বংশধর।
🔻ইমামযাদেহ ইয়াসির ও নাসির (রহ.)-এর মাযার। তারা দুইজন ইমাম রিদ্বা(আ.)-এর আপন ভাই।
🔻হযরত খাজা আবাসালত-এর মাযার। তিনি ইমাম রিদ্বা(আ.)-এর একান্ত বিশ্বস্ত খাদেম ছিলেন।
🔻হযরত খাজা মুরাদ হারসামা ইবনে আউন-এর মাযার। তিনি ইমাম রিদ্বা (আ.)-এর একনিষ্ঠ সাহাবীদের মধ্যে গণ্য।
🔻আবু হামিদ মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ ইমাম গাযযালী –এর মাযার। তিনি হিজরী ৪৩৭ সনে ইরানের তুস শহর (আজ যার নাম মাশহাদ)-এ জন্মগ্রহণ এবং ৫০৫ সনে এই অঞ্চলেই মৃত্যুবরণ করেন।
🔻পারস্যের বিখ্যাত কবি, হাকিম আবুল কাসিম ওরফে কবি ফেরদৌসী-এর মাযার।
২। তেহরান শহর ও তার পার্শ্ববর্তি এলাকাঃ
🔻আব্দুল আযিম হাসানী (রহ.) –এর মাযার। তাঁর বংশ চার পুরুষের মাধ্যমে ইমাম হাসান মুজতাবা (আ.) পর্যন্ত গিয়ে পৌছে। তিনি ইমাম মুসা কাযিম(আ.), ইমাম রিদ্বা (আ.), ইমাম তাক্বী(আ.) ও ইমাম নাক্বী(আ.)-এর অনুরক্ত ও সাহাবী ছিলেন। তিনি এই চার ইমামের কাছ থেকে বহু হাদিস বর্ণনা করেছেন।
🔻হযরত ইমাম রুহুল্লাহ আল মুসাভী খোমেইনী(রহ.)-এর মাযার। তিনি ১৯৮৯ সনে ইন্তেকাল করেছেন। তার পবিত্র মরদেহ তেহরানের সর্ববৃহৎ গোরস্থান বেহেশ্তে যাহরা-এর পাশবর্তি এলাকাতে কবরস্থ করা হয়। এটি কোম শহরমুখী তেহরানের সর্বশেষ এলাকা।
৩। কোম শহর ও তার পার্শ্ববর্তি এলাকাঃ
🔻হযরত ফাতিমা মাসুমা (সালামুল্লাহি আলাইহা)-এর মাযার। তিনি ইমাম রিদ্বা (আ.)-এর বোন।
🔻জামকারান মসজিদ। এটি প্রায় চারশ বৎসর পুরানো মসজিদ। কথিত আছে যে, এই মসজিদটি ইমামে যামানার নির্দেশে নির্মান করা হয়েছে।
🔻ইমাম হাসান আসকারী(আ:) মসজিদ। এ মসজিদটি হযরত হাসান আসকারী(আ:)-এর নির্দেশে তাঁর এক সাহাবীর মাধ্যমে নির্মিত হয়। এটি বর্তমান কোম শহরের কেন্দ্রে হযরত মাসুমার মাযারের কাছেই অবস্থিত।💐
৪। কযিমাইন শহরে অবস্থিত আছেঃ
💢রাসূলের আহলে বাইতের সপ্তম ইমাম হযরত মুসা ইবনে জাফার আল কাযিম (আ.)-এর পবিত্র মাযার।
💢রাসূলের আহলে বাইতের নবম ইমাম হযরত মুহাম্মাদ ইবনে আলী আত্ তাক্বী আল জাওয়াদ (আ.)-এর মাযার।
৫। সামেররাহ শহরে যিয়ারতের স্থানসমূহঃ
💢রাসূলের আহলে বাইতের দশম ইমাম হযরত ইমাম আলী ইবনে মুহাম্মাদ আন নাক্বী আল হাদী (আ.)-এর মাযার।
💢রাসূলের আহলে বাইতের একাদশ ইমাম হযরত ইমাম হাসান ইবনে আলী আল আসকারী (আ.)-এর মাযার।
💢ইমামে যামানার শ্রদ্ধেয় মা-জননী হযরত নারজিস খাতুন ও তাঁর ফুফু হযরত হাকিমা খাতুন-এর মাযার শরীফ।
💢ইমামে যামানার ভূগর্ভস্থ গৃহ। অব্বাসীয় কুখ্যাত খলীফার নির্দেশে শিশু ইমামকে গ্রেফতারের জন্যে রাজকীয় বাহিনী আসার আগেই ইমাম এই স্থান থেকেই নিরুদ্দেশ হয়ে যান।