ইমাম হুসাইন (আঃ) সম্পর্কে রাসূল (সাঃ)-এর কিছু হাদিস

2110

১. হযরত হুযাইফা বিন ইয়ামান রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের কাছ থেকে বর্ণনা করছেন যে, হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

لَوْلَمْ يَبْقَ مِنَ الدُّنْيا الّا يَوْمٌ واحِدٌ لَطَوَّلَ اللَّهُ ذلِکَ الْيَومَ حتّى‏ يَبْعَثَ رَجُلًا مِنْ وُلْدِى‏ اسْمُهُ کَاسْمِى فَقالَ سَلْمانُ: مِنْ اىِّ وُلْدِکَ يا رَسُولَ اللَّه؟ قالَ: مِنْ وُلْدى‏ هذا وَ ضَرَبَ بِيَدِهِ عَلَى الْحُسَيْنِ

[যদি দুনিয়া এক দিনের জন্যেও অবশিষ্ট থাকে তাহলেও আল্লাহ সেই দিনকে এত দীর্ঘ করে দিবেন যেন আমার সন্তানদের মধ্য থেকে একজনকে এ পৃথিবীতে পাঠাতে পারেন। তার নাম আমার নামের অনুরূপ হবে। (হযরত) সালমান (ফারসী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার কোন সন্তানের বংশ থেকে তিনি হবেন? আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “সে আমার এ-ই সন্তনের বংশ থেকে হবে।” এবং তিঁনি তাঁর হাত মুবারক হুসাইনের উপর রাখলেন।”]
📚যাখাইরুল উক্ববা, পৃঃ নং ১৩৬।
২. আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামঃ
حدثنا الْحَسَنُ بن عَرَفَةَ حدثنا إسماعيل بن عَيَّاشٍ عن عبد اللَّهِ بن عُثْمَانَ بن خيثم عن سَعِيدِ بن رَاشِدٍ عن يَعْلَي بن مُرَّةَ قال قال رسول اللَّهِ صلي الله عليه وسلم حُسَيْنٌ مِنِّي وأنا من حُسَيْنٍ أَحَبَّ الله من أَحَبَّ حُسَيْنًا حُسَيْنٌ سِبْطٌ من الْأَسْبَاطِ قال أبو عِيسَي هذا حَدِيثٌ حَسَنٌ
“হুসাইন আমার থেকে আর আমি হুসাইন থেকে। যে ব্যক্তি হুসাইনকে ভালবাসবে আল্লাহ তাকে ভালবাসবেন।”
সুনানু তিরমিযি, খণ্ড ৫, পৃঃ নং ৬৫৮, হাদিস নং ৩৭৭৫; আল মুস্তাদরাক আলাস সাহিহাইন লি হাকিম নিশাবুরী, খণ্ড ৩, পৃঃ নং ১৯৪, হাদিস নং ৪৮২০; সাহি ওয়া দ্বয়িফু সুনানি তিরমিযি লিল আলবানী, খণ্ড ৮, পৃঃ নং ২৭৫।
৩. হযরত আবুযার গিফারী রাদ্বিআল্লাহু তায়ালা আনহু পবিত্র কাবা ঘরের দরজা ধরে বলেন, আমি প্রিয় নবী (সঃ)-কে বলতে শুনেছি তিনি বলেছেনঃ
ألاَ إنَّمَا مَثَلُ أهْلُ بَیْتِیْ فِیْکُمْ مَثَلُ سَفِیْنَةِ نُوْحٍ مَنْ رَکَبَهَا نَجَیْ وَ مَنْ تَخَلَّفَ عَنْهَا هَلَکَ
“জেনে রাখো! নিশ্চয় তোমাদের মাঝে আমার আহলে বাইত হচ্ছে নূহের তরীর ন্যায়। যে ব্যক্তি তাতে আরোহণ করবে সে নাজাত পাবে আর যে ঐ তরী থেকে দূরে থাকবে, সে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।”
কউকাবে দুররী, পৃঃ নং -১৯৯।
৪. আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামঃ
الْحَسَنُ وَ الْحُسَينُ سَيِّدا شَبابِ اهْلِ الْجَنَّةِ او انّ حَسَنَاً وَ حُسَيْنَاً سَيِّدا شَبابِ اهْلِ الْجَنَّة
“নিশ্চয় (ইমাম) হাসান ও (ইমাম) হুসাইন জান্নাতবাসী যুবকদের সর্দার।”
সুনান ইবনে মাজা, খণ্ড ১, পৃঃ নং ৫৬; আল জামিউস সাগ্বির, খণ্ড ১, পৃঃ নং ৭ ও ১৫২, সুনান আত্ তিরমিযি, খণ্ড ১৩, পৃঃ নং ১৯১, ১৯২; খাসায়িসু নিসায়ী, পৃঃ নং ৪৮।
৫. আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামঃ
احَبُّ اهْلِ بَيْتى‏ الَىَّ الْحَسَنُ وَ الحُسَيْنُ
“আমার আহলে বাইতের মধ্যে আমি সবচেয়ে বেশী ভালবাসি হাসান ও হুসাইনকে।”
সুনান আত তিরমিযি, খণ্ড ১৩, পৃঃ নং ১৯৪।
৬. আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামঃ
انَّ الْحَسَنَ وَ الْحُسَينَ هُما رَيْحانَتاىَ مِنَ الدُّنْيا
“নিশ্চয় হাসান ও হুসাইন এই দুনিয়ায় আমার দুটি সুগন্ধময় পুষ্প।”
সহি আল বুখারী, খণ্ড ২, পৃঃ নং ১৮৮; সুনান আত্ তিরমিযি, খণ্ড ১৩, পৃঃ নং ১৯৩; উসুদুল গ্বাবা, খণ্ড ২, পৃঃ নং ১৯।
৭. ইমাম ইসমাঈল আল বুখারী ও ইবনে আসির বর্ণনা করেছেন যে, যখন ইমাম হুসাইনের পবিত্র (কর্তিত) মাথা কুফাতে ইয়াযিদের গভর্নর উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদের কাছে আনা হলো তখন উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদ এই পবিত্র মস্তককে একটা ট্রে-তে রেখে নিজ হাতের লাঠি দিয়ে ইমাম হুসাইনের চোখে-মুখে আঘাত করে। এ সময় সেখানে উপবিষ্ট রাসূলের সাহাবী হযরত আনাস ইবনে মালিক আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছ থেকে একটি হাদিস বর্ণনা করে বলেনঃ
اَشبَعُ النَّاسٍ للنَّبِي الحُسَيْنُ
“(ইমাম) হুসাইন আহলে বাইতের মধ্যে সবচেয়ে বেশী রাসূল (সা.)-এর অনুরূপ ছিলেন।”
সহি আল্ বুখারী, খণ্ড ২, পৃঃ নং ১৮৮।
৮. আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইনকে কোলে নিয়ে দোয়া করতেনঃ
اللَّهُمَّ انّى‏ احِبُّهُما فَاحِبَّهُما وَ احِّبَّ مَنْ يُحِبُّهُما
“হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি এই দুইজন (হাসান ও হুসাইন)-কে ভালবাসি। যে ব্যক্তি এই দুইজন (হাসান ও হুসাইন)-কে ভালবাসবে তুমি তাকে ভালবাস।”
আল ইসতিয়াব ফি মা’রিফাতিল আসহাব লি ইবনে আব্দিল বির, খণ্ড ১, পৃঃ নং ৩৭৬।
৯. আহলে সুন্নাতের হাদিসের বিখ্যাত ইমাম, ইমাম তিরমিযি ও ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বাল বর্ণনা করেছেন যে,
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম হাসান ও হুসাইনের হাত ধরে বলেছেনঃ
انَّ رسُولَ اللَّه (ص) اخَذَ بِيَدِ حَسَنٍ وَ حُسَيْنٍ فَقَالَ: مَنْ احَبَّنى‏ وَ احَبَّ هذَيْنِ وَ اباهُما وَ امَّهُما کانَ مَعى‏ فى‏ دَرَجَتى‏ يَوْمَ الْقِيامَةِ
“যে ব্যক্তি আমাকে, এই দুইজনকে [=হাসান ও হুসাইনকে], তাদের বাবা ও মাকে ভালবাসবে সে ব্যক্তি ক্বিয়ামতে আমার সাথে একই অবস্থানে অবস্থান করবে।”
সহি আত্ তিরমিযি, খণ্ড ১৩, পৃঃ নং ১৭৬; কানযুল উম্মাল, খণ্ড ৬, পৃঃ নং ২১৬; আস সাওয়ায়িক্বুল মুহরিক্বা, পৃঃ নং ১৮৫।
১০. ইমাম মারদা-উই আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম -এর কাছ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিঁনি(সা.) বলেছেনঃ
فِىْ الْجَنَّةِ دَرَجَةٌ تُدْعَى‏ الْوَسيلَةُ فَاذا سَأَلْتُمُ اللَّهَ فَسْأَلُوا لِىَ الْوَسيلَةَ قالُوْا: يا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ يَسْکُنْ مَعَکَ فيها؟ قالَ: عَلِىٌّ وَ فاطِمَةُ وَالْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ
“জান্নাতে একটা বিশেষ পদ মর্যাদা আছে, যার নাম ওয়াসিলা। যখন তোমরা সেখানে আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করো, তখন আমার কাছ থেকে ওয়াসিলার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করো।”
“বলা হলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কে আপনার সাথে একই পদমর্যাদায় অবস্থান করছেন?”
তখন আল্লাহর রাসূল(সা.) বলেনঃ “আলী, ফাতিমা, হাসান ও হুসাইন।”
কানযুল উম্মাল, খণ্ড ৬, পৃঃ নং ২১৭; উসুদুল গ্বাবা ফি মা’রিফাতিস সাহাবা, খণ্ড ৫, পৃঃ নং ৫২৩
১১. ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বাল, আল্লামা ত্বাবারানী ও হযরত ইবনে আসির, ইমাম আলীর কাছ থেকে এবং আল্লামা হাকিম নিশাবুরী তার আল মুস্তাদরাক কিতাবে হযরত আবি সাঈদ খুদরী(রাঃ)-এর কাছ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম কন্যা ফাতেমাকে বলেছেনঃ
يا فاطِمَةُ، انّى‏ وَ ايّاک، وَ هذا الرَّاقِدَ يَعْنى‏ عَلِيًّا وَ الْحَسَنَ وَ الْحُسينَ يَوْمَ القِيامَةِ لَفِى مَکانٍ واحِدٍ
“হে ফাতেমা! আমি ও তুমি আর এই যে দেখছো শুয়ে আছে আলী, আর হাসান ও হুসাইন ক্বিয়ামতের দিনে একই সাথে একই স্থানে অবস্থান করবো।”
কানযুল উম্মাল, খণ্ড ৬, পৃঃ নং ২১৬।
১২. হযরত আনাস ইবনে হারিস তার পিতার কাছ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তার পিতা বলেছেন, একদা (ইমাম) হুসাইন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম-এর কোলে ছিলেন। তখন আমি শুনেছি যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
انَّ ابْنى‏ هذا يُقْتَلُ فى‏ ارْضٍ يُقالُ لَهَا الْعِراقُ فَمَنْ ادْرَ کَهُ فَلْيَنْصُرْهُ
“এই যে দেখছো আমার সন্তান (হুসাইন) এমন এক যমিনে কতল হবে যার নাম বলা হয় ইরাক। যে ব্যক্তি তার আমলে বসবাস করবে তাকে অবশ্যই যেনো সাহায্য করে।”
কানযুল উম্মাল, খণ্ড ৬, পৃঃ নং ২২৩।
১৩. হযরত আল্লামা তাবারানী (রহঃ) হযরত ওয়াসিলা থেকে বর্ণনা করছেন যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম আলী, ফাতিমা, হাসান ও হুসাইনের জন্যে এভাবে দোয়া করছেনঃ

الَلّهُمَّ انَّکَ جَعَلْتَ صَلَواتِکَ وَ رَحْمَتَکَ وَ مَغْفِرَتَکَ وِ رِضْوانَکَ عَلى‏ ابراهيمَ و آلِ إِبْراهيمَ اللَّهُمَّ انَّهُم مِنّىِ وَ انَا مِنْهُم فَاجْعَلْ صَلَواتِکَ وَ رَحْمَتَکَ وَ مَغْفِرَتَکَ وَ رِضْوانَکَ عَلَىَّ وَ عَلَيْهِم يَعنِى عَلِيّاً وَ فاطِمَةَ وَ حَسَناً وَ حُسَيناً

“হে আল্লাহ! তুমি তোমার সালাওয়াত, রহমত, মাগফিরাত ও সন্তুষ্টি ইব্রাহিম ও আলে ইব্রাহিমের উপর বর্ষণ করেছো, তুমি তোমার সালাওয়াত, রহমত, মাগফিরাত ও সন্তুষ্টি আমার উপর এবং আলী, ফাতিমা, হাসান ও হুসাইনের উপর বর্ষণ করো।” কানযুল উম্মাল, খণ্ড ৬, পৃঃ নং ২১৭।

১৪. হাকেম নিশাবুরী ও মুহাম্মাদ ইবনে সা’দ বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম ইমাম আলীকে বলেছেনঃ

انَّ اوَّلَ مَنْ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ انَا وَ انْتَ وَ فاطِمَةُ وَ الْحَسَنُ وَ الْحُسَيْنُ

“(জেনে রাখো!) সর্বপ্রথম যারা বেহেশ্তে প্রবেশ করবে তারা হচ্ছে আমি, তুমি, ফাতিমা, হাসান ও হুসাইন।”

قالَ عَلِىٌّ: فَمُحِبُّونا؟ قالَ: مِنْ وَرَائِکُمْ

হযরত আলী আরজ করেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তাহলে আমার মহব্বতকারীরদের কী হবে? আল্লাহর রাসূল বলেনঃ “তারা তোমাদের পেছনে পেছনে বেহেশ্তে প্রবেশ করবে।” কানযুল উম্মাল, খণ্ড ৬, পৃঃ নং ২১৬ ; সাওয়ায়িক্বুল মুহরিক্বা, পৃঃ নং ১৫১।

Related Post

ইমাম আলী (আঃ) সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কতিপয় হাদীস

Posted by - ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২
ইমাম আলী(আঃ)সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম)-এর কতিপয় হাদীসঃ عُنْوَانُ صَحِيفَةِ الْمُؤمِنِ حُبُّ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ. ১.…

সূরা “আল কাওসার”-এর অনুবাদ

Posted by - সেপ্টেম্বর ২, ২০১৯
(আমি) আল্লাহর নামে (শুরু করছি), যিনি রাহমান (পরম করুণাময় সকল সৃষ্টির জন্যে), যিনি রাহিম (অসীম দয়াবান কিছু বিশেষ ব্যক্তিদের জন্যে)।…

সূরা “আর রহমান” সম্পর্কে সামগ্রিক কিছু তথ্য

Posted by - অক্টোবর ৩, ২০২০
আর রহমান তেলোয়াত শুনুন ✅১। কোরআনের বর্তমান উসমানী মুসহাফ-এর ক্রমিক নম্বর অনুসারে এ সূরাটি পঞ্চান্নতম। ✅২। নাযিল হওয়ার ধারাবাহিকতা অনুসারে…

মুসলমানদের জন্যে শহীদ হাজী সোলাইমানীর অবদান

Posted by - জানুয়ারি ১২, ২০২০
১০ই জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার “ইমামিয়া পাক দরবার শরীফ” আয়োজিত শোকসভায় ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের IRGC’র আল কুদস ব্রিগেডের কমান্ডার শহীদ জেনারেল…

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »