হযরত ইমাম জা’ফার ইবনে মুহাম্মাদ আস সাদিক্ব (আঃ)-এর হাদিস সমূহ হতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ হাদিসঃ
🌹সবচেয়ে নিকৃষ্ট গুনাহ🌹
🔳 হযরত ইমাম জাফার আস সাদিক্ব আলাইহিস সালামঃ
সবচেয়ে নিকৃষ্ট গুনাহ তিনটি-
⇦কোন প্রাণী হত্যা করা।
⇦ স্ত্রীর মোহরানা আদায় না করা।
⇦ শ্রমিকের পারিশ্রমিক পরিশোধ না করা।
[মিযানুল হিকমাহ, খণ্ড ৪, পৃঃ নং ২৭০, হাদিস নং ৬৭৭৯]
••●✦✨✦✨✦●••
🌹 শুক্রবারের দিন যোহর বা জুম্মা নামাজ বাদ তিন বার দরুদ পাঠ🌹
🔳 হযরত ইমাম জাফার আস সাদিক্ব আলাইহিস সালামঃ
••●✦✨✦✨✦●••
🌹 শুক্রবারের দিন আসর নামাজ বাদ দশ বার দরুদ পাঠ🌹
🔳 হযরত ইমাম জাফার আস সাদিক্ব আলাইহিস সালামঃ
••●✦✨✦✨✦●••
🌹 সদ্য ভুমিষ্ট শিশুর ন্যায় গুনাহ থেকে মুক্ত হবার দরুদ 🌹
🔳 হযরত ইমাম জাফার আস সাদিক্ব আলাইহিস সালামঃ
صَلَواتُ اللهِ وَ صَلَواتُ مَلائِکَتِهِ وَ أنْبِیائِهِ وَ رُسُلِهِ وَ جَمیعِ خَلْقِهِ عَلی مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ وَ السَّلام عَلَیْهِ وَ رَحَمهُ اللهِ وَ بَرَکاتُهُ
〖সালাওয়াতুল্ল-হি ওয়া সালাওয়াতু মালাইকাতিহি ওয়া আম্বয়াইহি ওয়া রুসূলিহি ওয়া জামিয়ি’ খালক্বিহি আলা মুহাম্মাদিউ ওয়া আলে মুহাম্মাদ। ওয়াস্ সালামু আলাইহি ওয়া রাহমাতুল্ল-হি ওয়া বরাকাতুহুহ্ 〗
📚মাআনিল আখবার, খণ্ড ২, পৃঃ নং ৩৬২••●✦✨✦✨✦●••
🌹ইমামকে না চেনে মৃত্যুবরণ করার পরিনতি🌹
••●✦✨✦✨✦●••
🌹সদকা🌹
إستَنزلوا الرِّزقَ بِالصَّدَقَةِ
“সদকা প্রদানের মাধ্যমে তোমরা রিযিক অবতীর্ণ করো।” 📚 মান লা ইয়াহ্-দ্বারুহুল ফাক্বিহ, খণ্ড ২, পৃঃ নং ৬৬, হাদিস নং ১৭৩০; আল কাফি, খণ্ড ৪, পৃঃ নং ৩, হাদিস নং ৫, ইসলামিয়া প্রকাশনা, তেহরান; তুহাফল উক্বুল, পৃঃ নং ৬০।مَنْ تَصَدَّقَ فى يَوْمٍ اَو لَيْلَةٍ اِنْ كَانَ يَوْمٌ فَيَوْمٌ وَ اِنْ كانَ لَيْلَةٌ فَلَيْلٌ دَفَعَ اللّه ُعَزَّ وَ جَلَّ عَنْهُ الْهَمَّ وَ السَّبُعَ وَ ميتَةَ السُّوءِ؛
“যে ব্যক্তি দিনে অথবা রাতে সদকা প্রদান করে, যদি দিনে হয় তো দিনে আর যদি রাতে হয় তো রাতে, আল্লাহ তার কাছ থেকে দুশ্চিন্তা ও মনঃকষ্ট, হিংস্র প্রাণীর আক্রমন এবং অপমৃত্যু দূর করে দিবেন।”••●✦✨✦✨✦●••
🌹গুনাহমুক্ত জীবন গড়ার কৌশল🌹
🔳হযরত ইমাম জাফার আস সাদিক্ব আলাইহিস সালামঃ
كَتَبَ رَجُلٌ إِلَى أَبِی ذَرٍّ رَضِیَ اللَّهُ عَنْهُ یَا أَبَا ذَرٍّ أَطْرِفْنِی بِشَیْءٍ مِنَ الْعِلْمِ فَكَتَبَ إِلَیْهِ أَنَّ الْعِلْمَ كَثِیرٌ وَ لَكِنْ إِنْ قَدَرْتَ أَنْ لَا تُسِیءَ إِلَى مَنْ تُحِبُّهُ فَافْعَلْ قَالَ فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ وَ هَلْ رَأَیْتَ أَحَداً یُسِیءُ إِلَى مَنْ یُحِبُّهُ فَقَالَ لَهُ نَعَمْ نَفْسُكَ أَحَبُّ الْأَنْفُسِ إِلَیْكَ فَإِذَا أَنْتَ عَصَیْتَ اللَّهَ فَقَدْ أَسَأْتَ إِلَیْهَا
✍ [একবার কোন এক ব্যক্তি আল্লাহর রাসূল (সা.)-এর সম্মানিত সাহাবী হযরত আবুযার গিফারী (রাঃ)-এর কাছে উপদেশ চেয়ে একটি পত্র লিখেন। হযরত আবুযার গিফারী (রাঃ) পত্রের জবাবে লিখেনঃ
✍“যাকে তুমি অন্য সকলের চেয়ে বেশী ভালবাস তার সাথে মন্দ আচরণ করো না।”
পত্র প্রেরক লোকটি বললো, এটা কি সম্ভব? যাকে কেউ অন্য সকলের চেয়ে বেশী ভালবাসে তার সাথে কী সে মন্দ আচরণ করতে পারে?
হযরত আবুযারের (রাঃ) কথার উদ্দেশ্য বুঝতে না পেরে ব্যাখ্যা চেয়ে সে পুনরায় হযরত আবুযারের (রাঃ) কাছে পত্র লিখলো। জবাবে হযরত আবুযার (রাঃ) লিখলেনঃ
✍ “জ্বী, হ্যাঁ, তোমার সবচেয়ে প্রিয়তম বন্ধু তুমি নিজেই। তুমিই তোমাকে অন্য মানুষের চাইতে অধিক ভালোবাস। কোন মানুষ যখন গুনাহ করে, তখন সে নিজেকেই ক্ষতিগ্রস্থ করে। আর গুনাহ করে সে নিজেই নিজের শত্রুতে পরিণত হয়ে যায়।]
📚আল কাফি, খণ্ড ২, পৃঃ নং ৪৫৮, ইসলামিয়্যা প্রকাশনা; দসতনহইয়ে উসুলে কাফি, পৃঃ নং ৫৪১।
••●✦✨✦✨✦●••
🌹 হযরত ইমাম জাফার আস সাদিক্ব (আঃ)-এর কিছু চিরন্তর বানী 🌹
❥✦🔳হযরত ইমাম জাফার আস সাদিক্ব আলাইহিস সালামঃ
- যে গুনাহ নেয়ামতকে পরিবর্তন করে দেয় তা হচ্ছে, সীমা লংঘন করা।
- যে গুনাহ মানুষকে অনুতপ্ত ও হতাশ করে তা হচ্ছে, মানুষ হত্যা করা।
- যে গুনাহ মানুষকে বিপদে ফেলে তা হচ্ছে, জুলুম করা।
- যে গুনাহ মানুষকে অপমানিত করে তা হচ্ছে, মদ পান করা।
- যে গুনাহ মানুষের রিজিক নষ্ট করে দেয় তা হচ্ছে, যেনা বা ব্যাভিচার।
- যে গুনাহ মানুষের মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করে তা হচ্ছে, আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট করা।
- যে গুনাহ দোয়া কবুলে বাধা দেয় এবং মানুষের জীবনকে অন্ধকার করে দেয় তা হচ্ছে, নেক কাজে পিতামাতার অবাধ্যতা।