ইমামিয়া তরিকায় অতি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি আয়াত, নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ👇🌹
🔸১। তাতহীরের আয়াত:
সূরা আহযাব, সূরা নং ৩৩, আয়াত নং ৩৩
🔸২। বেলায়াতের আয়াত:
সূরা মায়েদা, সূরা নং ৫, আয়াত নং ৫৫
🔸৩। তাবলীগের আয়াত:
সূরা মায়েদা, সূরা নং ৫, আয়াত নং ৬৭
🔸৪। তাকমিলের আয়াত:
সূরা মায়েদা, সূরা নং ৫, আয়াত নং ৩
🔸৫। মুবাহিলার আয়াত:
সূরা আলে ইমরান, সূরা নং ৩, আয়াত নং ৬১
🔸৬। মাওয়াদ্দাতের আয়াত:
সূরা শুরা, সূরা নং ৪২, আয়াত নং ২৩
🔸৭। ইতাআ’তের আয়াতঃ
সূরা নিসা, সূরা নং ৪, আয়াত নং ৫৯।
🔸৮। ইতআ’মের আয়াতঃ
সূরা আল ইনসান/আদ দাহর, সূরা নং ৭৬, আয়াত নং ৮ ও ৯।
🔸 ৯। তাওবার আয়াতঃ
সূরা আল বাক্বারা, সূরা নং ০২, আয়াত নং ৩৭।
🔸 ১০। ইবতিলার আয়াতঃ
সূরা আল বাক্বারা, সূরা নং ০২, আয়াত নং ১২৪।
🔸 ১১। শেরার আয়াতঃ
সূরা আল বাক্বারা, সূরা নং ০২, আয়াত নং ২০৭।
🔸 ১২। খাইরুল বারিয়্যা-র আয়াতঃ
সূরা আল বাইয়্যিনা, সূরা নং ৯৮, আয়াত নং ৭ ও ৮।
🔸 ১৩। আহলে যিকর-এর আয়াতঃ
সূরা আন্ নাহল, সূরা নং ১৬, আয়াত নং ৪৩।
🔸 ১৪। নুত্বক্ব-এর আয়াতঃ
সূরা আন্ নাজম, সূরা নং ৫৩, আয়াত নং ৩ ও ৪।
🔹🔸🔹🔸🔹
🔸১। তাতহীরের আয়াত:
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم.ِ
إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا
উচ্চারণঃ
“ইন্নামা- ইয়ুরীদুল্লা-হু লিইয়ুয্হিবা ‘আন্ কুমুররিজসা আহলাল্ বাইতি ওয়া ইয়ুত্বোয়াহ্হিরাকুম্ তাত্বহীরা।”
বঙ্গানুবাদঃ
“আল্লাহ মনস্থ করেছেন তোমাদের কাছ থেকে সকল প্রকার অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পরিপূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে, হে আহলে বাইত [=মুহাম্মাদ ও আলে মুহাম্মাদ]!” (সূরা আহযাব, সূরা নং ৩৩, আয়াত নং ৩৩)।
🔸২। বেলায়াতের আয়াত:
بسم الله الرحمن الرحيم.
إِنَّمَا وَلِيُّكُمُ اللّهُ وَرَسُولُهُ وَالَّذِينَ آمَنُواْ الَّذِينَ يُقِيمُونَ الصَّلاَةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَهُمْ رَاكِعُونَ
উচ্চারণ:
“ইন্নামা- অলিয়্যুকুমুল্লা-হু ওয় রাসূ-লুহূ ওয়াল্লাযীনা আ-মানুল্লাযীনা ইয়ুক্বীমূনাছ্ ছলা-তা ওয়া ইয়ুতূনায্ যাকা-তা ওয়াহুম্ রা-কিঊ’ন।”
অনুবাদ:
“তোমাদের অভিভাবক একমাত্র আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং যারা ঈমান এনেছে (ইমাম আলীর প্রতি ঈঙ্গিত করা হয়েছে), যারা নামায কায়েম করে এবং রুকু অবস্থায় যাকাত দান করে [ইমাম আলীর প্রতি ঈঙ্গিত করা হয়েছে। কেননা, যখন মসজিদে নববীতে ইমাম আলী রুকু অবস্থায় ভিক্ষুককে ইশারা করেন আর ভিক্ষুক ইমামের হাত থেকে আংটি খুলে নিয়ে যায়, তখন এই আয়াতটি নাযিল হয়। দেখুনঃ আদ্ দুররুল মানসুর ফিত্ তাফসীরি বিল মাসুর, লেখকঃ জালালুদ্দীন আব্দুর রহমান সুয়ুতী (মৃত্যুঃ ৯১১হিঃ), আত্ তাফসীরুল কাবির, লেখকঃ আল ফাখরুর রযি (মৃত্যুঃ ৬০৬হিঃ), জামিউল বায়ান আ’ন তাভিলিল কুরআন, লেখকঃ মুহাম্মাদ ইবনে জারীর তাবারী (মৃত্যুঃ ৩১০হিঃ)]।”
(সূরা মায়েদা, সূরা নং ৫, আয়াত নং ৫৫)।
🔸৩। তাবলীগের আয়াত:
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ.
يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ و َإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ وَاللَّهُ يَعْصِمُكَ مِنَ النَّاسِ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِينَ
উচ্চারণ:
“ইয়া আইয়্যুহার রাসূলু বাল্লিগ্ মা উনযিলা ইলাইকা মির রব্বিক্; ওয়া ইল্ লাম্ তাফ্আ’ল্ ফামা-বাল্লাগ্ব্তা রিসা-লাতাহ্; ওয়াল্লা-হু ইয়া’ছিমুকা মিনান্না-স্; ইন্নাল্লা-হা লা- ইয়াহ্দিল্ ক্বাওমাল্ কা-ফিরীন্।”
অনুবাদ:
“হে রাসূল, তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তোমার নিকট যা নাযিল করা হয়েছে, তা পৌঁছে দাও আর যদি তুমি তা না করো তাহলে তুমি তাঁর পক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করলে না। আর আল্লাহ তোমাকে মানুষ-এর (অনিষ্ট) থেকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদেরকে (তাদের অনবরত অবাধ্যতার কারণে) হেদায়াত করেন না।”
(সূরা মায়েদা, সূরা নং ৫, আয়াত নং ৬৭)।
৪। তাকমিলের আয়াত:
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
الْيَوْمَ يَئِسَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ دِينِكُمْ فَلَا تَخْشَوْهُمْ وَاخْشَوْنِ الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا
উচ্চারণঃ
“……আল্ ইয়াওমা ইয়াইসাল্ লাযীনা কাফারূ
মিন্ দীনিকুম্ ফালা-তাখ্শাওহুম্ ওয়াখ্শাওন্; আল্ইয়াওমা আক্ মালতু লাকুম্ দীনাকুম্ ওয়া আত্ মামতু আ’লাইকুম্ নি’মাতী ওয়া রাদ্বীতু লাকুমুল্ ইসলা-মা দীনা…।”
বাংলা অনুবাদঃ
“আজ কাফেররা তোমাদের দ্বীনের ব্যাপারে হতাশ হয়েছে। সুতরাং তোমরা তাদেরকে ভয় করো না, বরং আমাকে (আমি আল্লাহকে) ভয় করো। আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করলাম আর ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম।”
(সূরা মায়েদা, সূরা নং ৫, আয়াত নং ৩)।
🔸৫। মুবাহিলার আয়াত:
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ.
فَمَنْ حَاجَّكَ فِيهِ مِنْ بَعْدِ مَا جَاءَكَ مِنَ الْعِلْمِ فَقُلْ تَعَالَوْا نَدْعُ أَبْنَاءَنَا وَأَبْنَاءَكُمْ وَنِسَاءَنَا وَنِسَاءَكُمْ وَأَنْفُسَنَا وَأَنْفُسَكُمْ ثُمَّ نَبْتَهِلْ فَنَجْعَلْ لَعْنَةَ اللَّهِ عَلَى الْكَاذِبِينَ
উচ্চারণঃ
“ফামান্ হা-জ্ জ্বাকা ফীহি মিম্ বা’দি মা- জ্বা – আকা মিনাল্ ‘ইল্মি ফাক্বুল্তা আ’ -লাও নাদ্উ’ আব্ না- আনা ওয়া আব্ না- আকুম্ ওয়া নিসা- আনা- ওয়া নিসা- আকুম্ ওয়া আন্ ফুসানা- ওয়া আন্ ফুসাকুম্ ছুম্মা নাব্ তাহিল্ ফানাজ্ব আ”ল্ লা’নাতাল্লা-হি আ’লাল্ কা-যিবীন্।”
বাংলা অনুবাদঃ
“অতঃপর তোমার কাছে (ওহির মাধ্যমে) জ্ঞান আসার পর যারা [=নাজরানের খৃষ্টান পাদ্রীরা] তোমার সাথে তাঁর [=হযরত ঈসা (আ.)-এর] বিষয়ে বিতর্ক ও বিরোধ করবে (এবং শেষ নবী ও রাসূল হিসেবে তোমার প্রতি ঈমান না আনবে) তাদেরকে তুমি বলে দাওঃ “(তাহলে চুড়ান্ত সমাধান হিসেবে) এসো! আমরা আমাদের পুত্রদের [=ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইন]-কে ডেকে আনি আর তোমরাও তোমাদের পুত্রদেরকে ডেকে আনো। আমরা আমাদের নারী [=হযরত ফাতেমা]-কে ডেকে আনি আর তোমরাও তোমাদের নারীদেরকে ডেকে আনো এবং আমরা আমাদের আপন সত্ত্বা সমতুল্য ব্যক্তিদের [=ইমাম আলী]-কে ডেকে আনি আর তোমরাও তোমাদের আপন সত্ত্বা সমতুল্য ব্যক্তিদেরকে ডেকে আনো। অবশেষে (এসো!), (তাদেরকে নিয়ে) আমরা পরস্পর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হই এবং মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহ লানত বর্ষন করি।”
(সূরা আলে ইমরান, সূরা নং ৩, আয়াত নং ৬১)।
🔸৬। মাওয়াদ্দাতের আয়াত:
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِي
… قُلْ لَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا إِلَّا الْمَوَدَّةَ فِي الْقُرْبَى
🔻 আরবি উচ্চারণ:
“…ক্বুল্ লা- আস্ আলুকুম্ আ’লাইহি আজ্বরান্ ইল্লাল্
মাওয়াদ্দাতা ফিল্ ক্বুর্বা…”
🔻 বাংলা অনুবাদ:
“…(হে নবী!) তুমি (তোমার উম্মতকে) বলে দাও: “আমি তা [=রেসালতের পারিশ্রমিক] বাবদ তোমাদের কাছ থেকে (আমার) নিকটতমদের [=আমার আহলে বাইতের] প্রতি আনুগত্যপূর্ণ ভালবাসা ছাড়া অন্য কিছু চাই না…।”
(সূরা আশ শুরা, সূরা নং ৪২, আয়াত নং ২৩)।
🔸৭। ইতাআ’তের আয়াতঃ
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم
يا أَيُّهَا الَّذينَ آمَنُوا أَطيعُوا اللَّهَ وَ أَطيعُوا الرَّسُولَ وَ أُولِي الْأَمْرِ مِنْکُمْ فَإِنْ تَنازَعْتُمْ في شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَي اللَّهِ وَ الرَّسُولِ إِنْ کُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَ الْيَوْمِ الْآخِرِ ذلِکَ خَيْرٌ وَ أَحْسَنُ تَأْويلاً
উচ্চারণঃ
“ইয়া আইয়্যুহাল্লাযিনা আ-মানু, আত্বিউ’ল্লাহা ওয়া আত্বিউ’র রাসূলা ওয়া উলিল আমরি মিনকুম, ফাইন তানা-যা’তুম ফি শাইয়্যিন ফারুদ্দুহু ইলাল্লাহি ওয়ার রাসূলি, ইন্ কুন্তুম তুমিনুনা বিল্লাহি ওয়াল ইআওমিল আখির। যালিকা খাইরুউ ওয়া আহসানু তাউইলা।”
বঙ্গানুবাদঃ
“হে মু’মিনরা! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো এবং আনুগত্য করো রাসূলের (রাসূল, হযরত মুহাম্মাদ সা.-এর অন্যতম পদবী) [=হযরত মুহাম্মাদ(সা.) ও তাঁর স্থলাভিষিক্ত মাসুম ইমামদের] ও তোমাদের মধ্য থেকে নির্দেশদাতাদের [=রাসূল ও তাঁর আহলে বাইতের মাসূম ইমামদের নিজ নিজ যামানার প্রতিনিধিদের]। অতঃপর যদি তোমাদের মধ্যে কোন বিষয়ে কোন মতবিরোধ হয় তাহলে আল্লাহ ও রাসূলের [=হযরত মুহাম্মাদ(সা.) ও তাঁর স্থলাভিষিক্ত মাসুম ইমামদের] দিকে প্রত্যাবর্তিত হও, যদি তোমরা আল্লাহ ও আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস করে থাকো। এটাই কল্যাণকর ও শ্রেষ্ঠতর পরিসমাপ্তি।”
সূরা নিসা, সূরা নং ৪, আয়াত নং ৫৯।
🔸৮। ইতআ’মের আয়াতঃ
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم
وَ يُطْعِمُونَ الطَّعامَ عَلي حُبِّهِ مِسْکيناً وَ يَتيماً وَ أَسيراً إِنَّما نُطْعِمُکُمْ لِوَجْهِ اللَّهِ لا نُريدُ مِنْکُمْ جَزاءً وَ لا شُکُوراً.
উচ্চারণঃ
“ওয়া ইউত্ব্ই’মু-নাত্ব্ ত্বআ’-মা আ’লা হুব্বিহি মিসকিনাও ওয়া ইয়াতিমাও ওয়া আসিরা~। ইন্নামা নুত্ব্ই’মুকুম লিওয়াজহিল্লাহ, লা নুরি-দু মিনকুম জাযা-আও ওয়া লা শুকুরা~।”
বঙ্গানুবাদঃ
“তারা [=ইমাম আলী, হযরত ফাতেমা, ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইন] (এখানে আল্লাহর রাসূলের আমলে তাদের ঐতিহাসিক মহা আত্মত্যাগের একটি ঘটনার দিকে ঈঙ্গিত করা হয়েছে) খাবারের প্রতি তাদের আকর্ষণ ও চাহিদা থাকা সত্ত্বেও মিসকীন, ইয়াতীম ও বন্দীকে সকল খাবার দিয়ে দেয়। (তারা [=ইমাম আলী, হযরত ফাতেমা, ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইন] বলেঃ) “আমরা শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে তোমাদের আহার করাই, আমরা তোমাদের কাছ থেকে কোন প্রকার প্রতিদান চাই না, আর কৃতজ্ঞতা প্রকাশও (কামনা করি) না।”
সূরা আল ইনসান/আদ দাহর, সূরা নং ৭৬, আয়াত নং ৮ ও ৯।
৯। তাওবার আয়াতঃ
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم
فَتَلَقَّى آدَمُ مِنْ رَبِّهِ كَلِمَاتٍ فَتَابَ عَلَيْهِ إِنَّهُ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
উচ্চারণঃ
“ফাতালাক্বক্বা আ-দামু মির রাব্বিহি কালিমাত, ফাতা-বা আ’লাইহি ইন্নাহু হুওয়াত্ তাওওয়াবুর্ রাহিম।”
বঙ্গানুবাদঃ
“অতঃপর আদম তার প্রতিপালকের কাছ হতে কিছু শব্দ [=মুহাম্মাদ ও তাঁর আহলে বাইতের নামগুলো] লাভ করলো, (সে ঐ শব্দগুলোর মাধ্যমে তাওবা করলো) আর তখন আল্লাহ তার তাওবা কবুল করলেন। কেননা, তিনি অনেক বেশী তাওবা কবুলকারী ও করুণাময়।”
সূরা আল বাক্বারা, সূরা নং ০২, আয়াত নং ৩৭।
১০। ইবতিলার আয়াতঃ
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم
وَإِذِ ابْتَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ رَبُّهُ بِكَلِمَاتٍ فَأَتَمَّهُنَّ ۖ قَالَ إِنِّي جَاعِلُكَ لِلنَّاسِ إِمَامًا ۖ قَالَ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي ۖ قَالَ لَا يَنَالُ عَهْدِي الظَّالِمِينَ
উচ্চারণঃ
“ওয়া ইযিবতালা~ ইবরাহিমা রাব্বুহু বিকালিমাত, ফাআতাম্মাহুন্না, ক্বলা ইন্নি জায়ি’লুকা লিন্নাসি ইমামা, ক্বলা ওয়া মিন্ যুর্-রিয়াতি, ক্বলা লা ইনালু আ’হদিয্ য-লিমিন।”
বঙ্গানুবাদঃ
“আর স্মরণ করো! যখন ইবরাহীমকে তার প্রতিপালক কতিপয় কালিমাত [=নির্দেশমালা] দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন। অতঃপর সে ঐ সকল পরীক্ষায় সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হয়েছিল। তিনি [=আল্লাহ] বলেছিলেনঃ নিশ্চয়ই আমি এখন তোমাকে মানবমন্ডলীর ইমাম [=নেতা] হিসাবে নিযুক্ত করলাম। সে [=ইবরাহীম(আ.)] বলেছিলঃ আমার প্রজন্মদের মধ্য থেকেও (ইমাম নিযুক্ত করুন) । তিনি [=আল্লাহ] বলেছিলেনঃ আমার অঙ্গীকার [=ইমাম ও নেতা নিযুক্তি] (তোমার প্রজন্ম থেকে) যালিমদের জন্যে প্রযোজ্য হবেনা (শুধুমাত্র তোমার প্রজন্ম থেকে পবিত্র ও মাসূম ব্যক্তিরাই এ পদের যোগ্য) ।”
সূরা আল বাক্বারা, সূরা নং ০২, আয়াত নং ১২৪।
🔸 ১১। শেরার আয়াতঃ
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم
وَ مِنَ النّاسِ مَنْ یَشْری نَفْسَهُ ابْتِغاءَ مَرْضاتِ اللّهِ وَ اللّهُ رَئُوفٌ بِالْعِبادِ
উচ্চারণঃ
“ওয়া মিনান্ না-সি মাই ইয়াশ্রি নাফসাহুব্ তিগ্ব~আ মারদ্ব-তিল্লাহি ওয়াল্লাহু রাউফুম্ বিল্ ই’বা-দ।”
বঙ্গানুবাদঃ
“মানুষের মধ্যে অনেকেই [=এখানে লাইলাতুল মাবিত বা হিজরতের রাত্রিতে নবীজীর বিছানায় ইমাম আলী ইবনে আবি ত্বালিব-এর শুয়ে থাকার বিষয়টার প্রতি ঈঙ্গিত দেয়া হয়েছে] আছে যে, নিজের প্রাণকে আল্লাহর সন্তুষ্টির বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়। আল্লাহ্ বান্দাদের ব্যাপারে অতিশয় স্নেহ পরায়ন।”
সূরা আল বাক্বারা, সূরা নং ০২, আয়াত নং ২০৭।
🔸 ১২। খাইরুল বারিয়্যা-র আয়াতঃ
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ أُولَئِكَ هُمْ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ
جَزَاؤُهُمْ عِنْدَ رَبِّهِمْ جَنَّاتُ عَدْنٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ ذَلِكَ لِمَنْ خَشِيَ رَبَّهُ
উচ্চারণঃ
“ইন্নাল্লায্বিনা আমানু ওয়া আ’মিলুস্ স-লিহাতি উলাইকা হুম খাইরুল বারিয়্যা। জাযাউহুম ই’ন্দা র-ব্বিহিম জান্না-তু আ’দনিন তাজরি মিন্ তাহ্বতিহাল আনহারু খ-লিদীনা ফি-হা আবাদা। র-দ্বিইয়াল্ল-হু আ’নহুম ওয়া র-দ্বু আ’নহু য্বালিকা লিমান খ-শিয়া র-ব্বাহ্।”
বঙ্গানুবাদঃ
“নিশ্চয়, যারা ঈমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে তারাই [=(হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস, হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারী ও হযরত আবু বারাযাহ থেকে বর্ণিত, আল্লামা হাকিম হাসাকানী রচিত “শাওয়াহিদুত্ তানযিল” এবং আল্লামা সুয়ুতি রচিত “তাফসীর আদ্ দুররুল মানসুর” কিতাবদ্বয়ে উল্লেখিত বিশটিরও বেশী হাদিস অনুযায়ী) আলী ও তাঁর অনুগত অনুসারীরা] সৃষ্টিকুলের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। তাদের প্রতিপালকের কাছে তাদের পুরুস্কার হচ্ছে চিরস্থায়ী জান্নাত, যার তলদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হবে, সেখানে তারা চিরস্থায়ীভাবে বসবাস করবে। (তাদের মর্যাদা এমন যে,) আল্লাহও তাদের উপর সন্তুষ্ট আর তারাও তাঁর [=আল্লাহর] উপর সন্তুষ্ট। আর এটা [=এই সুউচ্চ মর্যাদা] তাদের জন্যেই নির্দিষ্ট যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে চলে।”
সূরা আল বাইয়্যিনা, সূরা নং ৯৮, আয়াত নং ৭ ও ৮।
🔸 ১৩। আহলে যিকর-এর আয়াতঃ
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم
وَ ما أَرْسَلْنا مِنْ قَبْلِکَ إِلاَّ رِجالاً نُوحي إِلَيْهِمْ فَسْئَلُوا أَهْلَ الذِّکْرِ إِنْ کُنْتُمْ لا تَعْلَمُونَ
উচ্চারণঃ
“ওয়া মা আরসালনা মিন্ ক্বাবলিকা ইল্লা রিজালান্ নুহিয়া ইলাইহিম ফাসআলু আহলায্ব্ য্বিকরি ইন্ কুন্তুম লা তা’লামু-ন।”
বঙ্গানুবাদঃ
“(হে নবী!) তোমার পূর্বে আমরা যে সকল পুরুষকে (মানুষের মাঝে) প্রেরণ করেছি তাদের সবাইকে ওহীসহ পাঠিয়েছি। অতঃপর (হে মানুষেরা) তোমরা অবগত ব্যক্তিদের (শিয়া-সুন্নী উভয় মাযহাবের হাদিসের কিতাবগুলোতে বর্ণিত বিভিন্ন হাদিস অনুযায়ী সর্বোৎকৃষ্ট ও সর্বোত্তম অবগত ব্যক্তিবর্গ হচ্ছেন মুহাম্মাদ ও আলে মুহাম্মাদ) কাছে জিজ্ঞেস করে জেনে নাও, যদি তোমরা কোন ব্যাপারে না জানো।”
সূরা আন্ নাহল, সূরা নং ১৬, আয়াত নং ৪৩।
🔸 ১৪। নুত্বক্ব-এর আয়াতঃ
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم
وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى
উচ্চারণঃ
“ওয়া মা ইয়ানত্বিক্বু আ’নিল হাওয়া। ইন হুওয়া ইল্লা ওয়াহ্-ইউই ইউহা।”
বঙ্গানুবাদঃ
“সে [=আল্লাহর রাসূল সো.)] নফসের তাড়নায় কোন কথা বলে না। যা কিছু বলে তা অহি, যা তার উপর অহি করা হয়।”
সূরা আন্ নাজম, সূরা নং ৫৩, আয়াত নং ৩ ও ৪।
✳️💢✳️💢✳️