আল-কোরআন ও হাদীসের আলোকে ইফতারের সহিহ্ সময়সীমা

164

রোযা সম্পর্কে কয়েকটি তাৎপর্যপূর্ণ আয়াত:

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ

হে ঈমানদাররা! তোমাদের পূর্ববতী লোকদের ন্যায় তোমাদের উপরও রোজাকে অপরিহার্য কর্তব্য রূপে নির্ধারণ করা হলো, যেন তোমরা মুত্তাক্বী হতে পারো।” সূরা আল্ বাক্বারা, সূরা নং ২, আয়াত নং ১৮৩

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَأَيَّامًا مَّعْدُودَاتٍ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ فَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَّهُ وَأَن تَصُومُواْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ“

(এই রোজা) নির্দিষ্ট কয়েক দিন (-এর জন্যে)। কিন্তু তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি অসুস্থ কিংবা সফরে থাকে তার জন্যে অপর কোন দিন হতে (রোজা) গণনা (শুরু) করবে, আর যারা (যেমন, বৃদ্ধ মানুষ, দীর্ঘ মেয়াদী অসুস্থ ব্যক্তিরা রোজা রাখতে) অক্ষম তারা তৎপরিবর্তে (কাফফারা হিসেবে) একজন মিসকিনকে আহার্য দান করবে। অতএব, যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় সৎ কাজ করে তার জন্য কল্যাণ এবং যদি তোমরা (মুক্বিম ও সুস্থ ব্যক্তিরা) রোজা রাখো তাহলে তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা (এর গুপ্ত লাভজনক ফলাফল সম্পর্কে) জেনে থাকো।

”شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِيَ أُنزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِّنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ يُرِيدُ اللّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلاَ يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُواْ الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُواْ اللّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

রমযান মাস, (এমন একটি মাস), যে মাসে মানুষের হেদায়াতের জন্যে এবং হেদায়াতের উজ্জ্বল নিদর্শন আর হক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী হিসেবে কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে। অতএব, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সেই মাসে (নিজ আবাসস্থলে) উপস্থিত থাকে সে যেন সিয়াম পালন করে এবং যে ব্যক্তি পীড়িত অথবা সফররত অবস্থায় আছে, তার জন্য অপর কোন দিন হতে (সই রোজাগুলো) গণনা করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্যে সহজ করে দিতে চান এবং তোমাদেরকে কষ্ট দিতে চান না। এ সকল কিছুর উদ্দেশ্য হচ্ছে, তোমরা (রোজার) নির্ধারিত সংখ্যা যেন পূরণ করে নিতে পারো। আর তোমাদেরকে হেদায়াত করার জন্যে আল্লাহর মহিমা প্রকাশ করো, (এর মাধ্যমে) যেন তোমরা (আল্লাহর) কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারো।

”أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَآئِكُمْ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ عَلِمَ اللّهُ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَخْتانُونَ أَنفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنكُمْ فَالآنَ بَاشِرُوهُنَّ وَابْتَغُواْ مَا كَتَبَ اللّهُ لَكُمْ وَكُلُواْ وَاشْرَبُواْ حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ثُمَّ أَتِمُّواْ الصِّيَامَ إِلَى الَّليْلِ وَلاَ تُبَاشِرُوهُنَّ وَأَنتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ تِلْكَ حُدُودُ اللّهِ فَلاَ تَقْرَبُوهَا كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ“

রমযানের রাতে আপন স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা করা তোমাদের জন্য বৈধ করা হয়েছে, তারা তোমাদের জন্যে এবং তোমরা তাদের জন্যে আবরণ স্বরূপ। তোমরা যে নিজেদের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করছিলে আল্লাহ সে সম্পর্কে জ্ঞাত আছেন। তিনি তোমাদের তাওবা গ্রহণ করলেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিলেন। (যাই হোক), এখন তোমরা (রমযানের রাতেও) তাদের [=তোমাদের স্ত্রীদের] সাথে মিলিত হতে পারো এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য যা নির্ধারণ করেছেন সেদিকে পরিচালিত হও। আর প্রত্যুষে কালো রেখা থেকে সাদা রেখা প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত তোমরা পানাহার করো। অতঃপর রাত পর্যন্ত তোমরা রোজা পূর্ণ করো। তোমরা মসজিদে ইতিকাফ করা অবস্থায় (তোমাদের স্ত্রীদের সাথে) মিলিত হবে না। এটি আল্লাহর সীমারেখা। অতএব, তোমরা তার কাছেও যাবে না। আল্লাহ এভাবে মানবমন্ডলীর জন্য তাঁর আয়াতসমূহ বিবৃত করেন, যেন তারা তাক্বওয়া অর্জন করতে পারে।”

Other Source:

https://sunrise-sunset.org/calendar/

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Twilight/

https://badesaba.ir/

—————————————————————————————————————————

Related Post

নফল রোযা

Posted by - মে ২১, ২০২২
☆ফরজ, হারাম ও মাকরুহ রোযা ব্যতীত বছরের সব দিনে রোযা রাখা মুস্তাহাব ও নফল। ☆তবে কিছু কিছু বিশেষ দিনের জন্য…

হারাম ও মাকরুহ রোযা

Posted by - জুন ১, ২০২২
হারাম ও মাকরুহ রোযাঃ👇 ☆ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন রোযা রাখা হারাম এবং যেদিন কেউ জানে না যে,…

খুমসের বিধান

Posted by - সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
খুমস বুঝতে হলে সবার আগে যে বিষয় গুলো জানতে হবে তা হলঃ ১। যাকাত, সাদাকা ও খুমসের বিধান২। তাকলিদ ও…

মাহরাম ও না-মাহরাম

Posted by - সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
মাহরাম অর্থ যার সাথে বিয়ে করা হারাম এবং যার সাথে খোলামেলা দেখা সাক্ষাত করা জায়েয। মাসআলাঃ মাহরাম ব্যক্তির সাথে বিয়ে…

রোযার মাসআলা

Posted by - মার্চ ২৪, ২০২৩
❇️রোযার মাসআলা নং ০১: ✍️ রমজানের পূর্ব মাস তথা শা’বান মাসের ৩০ তারিখ হচ্ছে “ইয়াওমুশ্ শাক” বা “সন্দেহের দিন”। এ…

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »