৫৯৯ সালের ১৭ই মার্চ, হিজরীর ২৪ পূর্বাব্দের ১৩ই রজব মক্কা নগরীর পবিত্র কাবা ঘরে হযরত আলী (আঃ) জন্মগ্রহণ করেন।
৬১৩ সাল, হিজরী ১০ পূর্বাব্দেঃ ইয়াওমুল ইনজার: নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বানু হাশিমের প্রতি ইসলামের দাওয়াত প্রদান; কেবল মাত্র হযরত আলী (আঃ) তাতে সাড়া দেন। নবী পাক (সাঃ) বানু হাশিমের সামনে হযরত আলী (আঃ) কে তার ওয়াসি / খলিফা প্রদান করেন।
৬১৭-৬১৯ সাল, হিজরী ৪-৬ পূর্বাব্দেঃ
মক্কার কাফির মুশরিক কর্তৃক বানু হাশিমকে বয়কট।
৬১৯ সাল, হিজরী ৪ পূর্বাব্দ বেদনার বছরঃ হযরত আলী (আঃ) এর পিতা হযরত আবু তালিবের মৃত্যু।
সেপ্টেম্বর ৬২২ সাল, হিজরী প্রথম বছরঃ লাইলাতুল মাবিত: কুরাইশরা হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কে হত্যা করার জন্য তার বাসভবন ঘেরাও করলে হযরত আলী (আঃ) নিজের জীবন বাজি রেখে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর ঘরের বিছানায় অবস্থান করেন, এরই মধ্যে নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সকল আমানত আলী (আঃ)কে বুঝিয়ে দিয়ে গৃহত্যাগ করে মদিনার পথে হিজরত করেন।
৬২২ সাল, হিজরীর প্রথম বছরঃ হযরত আলী (আঃ) মক্কা বাসীর আমানত বুঝিয়ে দিয়ে তার মা ফাতিমা বিনতে আসাদ এবং হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর কন্যা ফাতিমা (সঃআঃ) এবং আরও দুইজন মহিলাকে সাথে নিয়ে মদিনার দিকে হিজরত করেন।
৬২৩ সাল, হিজরীর ২য় বছর হযরত আলী (আঃ) বিয়ে করেন হযরত মা ফাতিমা (সঃআঃ) কে যিনি নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর একমাত্র কন্যা।
৬২৪ সালের ১৭ মার্চ, হিজরীর ২য় বছরঃ
বদরের যুদ্ধ: হযরত আলী (আঃ) এই যুদ্ধে বীর যোদ্ধা হিসেবে আবির্ভূত হন এবং ২০-২২ জন মুশরিক তার হাতে নিহত হয়।
৬২৫ সাল, হিজরীর ৩য় বছরঃ
ইমাম হাসান বিন আলী (আঃ) এর জন্ম।
উহুদের যুদ্ধ: এই যুদ্ধে হযরত আলী (আঃ) বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, মুসলিম সেনা বাহিনী থেকে অনেক বড় বড় সাহাবী নামধারী মুনাফিক যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে যায়, যে কয়েকজন হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর সাথে ছিলেন তাঁদের মধ্যে হযরত আলী (আঃ) ছিলেন অন্যতম।
৬২৬ সাল, ৫ম হিজরীঃ ইমাম হুসাইন বিন আলী (আঃ) এর জন্ম।
৬২৭ সাল, ৬ষ্ঠ হিজরীঃ
খন্দকের যুদ্ধ: হযরত আলী (আঃ) আরবের এক মুশরিক বীর যোদ্ধা আমর-কে দ্বন্দ্বযুদ্ধে পরাজিত ও নিহত করেন।
৬২৮ সাল, ৭ম হিজরীঃ হুদাইবিয়ার সন্ধি
খায়বারের যুদ্ধ: এ যুদ্ধে হযরত আলী (আঃ) ছিলেন মুসলিম সেনা বাহিনীর পতাকাবাহী, এবং তিনি বীরদর্পে খায়বারের দুর্গ জয় করেন।
যায়নাব বিনতে আলীর জন্ম।
৬২৯ সাল, ৮ম হিজরীঃ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর সাথে প্রথম হজ্জযাত্রায় অংশগ্রহণ।
বায়জান্টাইন সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান, মু’তাহ-র যুদ্ধ।
৬৩০ সাল, ৯ম হিজরীঃ
মক্কা বিজয়: হযরত আলী (আঃ) ছিলেন মুসলিম সেনা বাহিনীর পতাকাবাহক।
৬৩১ সাল, ১০ম হিজরীঃ বানু রুমলার বিরুদ্ধে অভিযান।
বানু যুবুদার বিরুদ্ধে অভিযান।
ইয়েমেনের মিশন।
৬৩২ সাল, ১০ম হিজরীঃ মক্কায় হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর সাথে বিদায় হজ্জে অংশ গ্রহণ। গাদিরে খুমে নবীজি (সাঃ) এর স্থলাভিষিক্ত ঘোষণা এবং সাহাবিদের বাইয়াত গ্রহণ।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ওফাত।
বানী-এ-সকিফাতে হযরত আবু বকর (রাঃ) প্রথম খলীফা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ।
হযরত আলী (আঃ) এর গৃহে আগুন এবং স্ত্রী হযরত ফাতিমা (সঃআঃ) এর মৃত্যু।
৬৪৪ সাল, ২২ শে হিজরীঃ ইসলামের দ্বিতীয় খলীফা হযরত উমর ফারুক (রাঃ) এর ওফাত। হযরত ওসমান (রাঃ) তৃতীয় খলীফা মনোনয়ন।
৬৪৮ সাল, ২৬ শে হিজরীঃ আব্বাস বিন আলীর জন্ম।
৬৫৬ সাল, ৩৪ শে হিজরীঃ তৃতীয় খলীফা হযরত উসমান (রাঃ) এর মৃত্যু।
হযরত আলী (আঃ) জনগণের জোরপূর্বক চাপের মুখে চতুর্থ খলীফা হিসেবে মনোনীত হন এবং সুবিশাল ইসলামী সাম্রাজ্যের দায়িত্বগ্রহণ করেন।
উটের যুদ্ধ। (জামাল)
৬৫৭ সাল, ৩৫ শে হিজরীঃ হযরত আলী (আঃ) খিলাফাতের রাজধানী মদিনা থেকে কুফায় স্থানান্তর করেন।
মে-জুলাই ৬৫৭ সাল, ৩৫ শে হিজরীঃ আলী (আঃ) এর প্রতিষ্ঠিত ইসলামী সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে হযরত মোয়াবিয়ার (রাঃ) অস্ত্র ধারণ। অর্থাৎ সিফফিনের যুদ্ধ।
৬৫৮ সাল, ৩৬ শে হিজরীঃ খারেজীদের বিদ্রোহ।
জুলাই ৬৫৮ সাল, ৩৭ শে হিজরীঃ নাহরাওয়ানের যুদ্ধ।
৬৫৯ সাল, ৩৮ শে হিজরীঃ আলী (আঃ) এর নিয়োগপ্রাপ্ত মিশরের গভর্নর কে হত্যা করে হযরত মোয়াবিয়ার (রাঃ) পক্ষ থেকে আমর ইবনুল আস মিশর দখল করেন।
খুররিত ইবনে রশিদের বিদ্রোহ।
৬৬০ সাল, ৩৯ শে হিজরীঃ হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ) নিজেকে দামেস্কের খলীফা ঘোষণা করেন।
২৮ জানুয়ারি ৬৬১ মোতাবেক ১৯ রমাদান, ৪০ হিজরি সনে হযরত আলী (আঃ) কুফার মসজিদে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ২১ রমাদান শহীদ হন এবং নাজাফে সমাহিত হন।