🌹ইমামিয়া পাক দরবার শরীফের সন্মানিত সকল ভক্ত, আশেকান, মুরিদান ও মুহিব্বিনে আহলু বাইতিন নাবী(সা.)-এর খেদমতে দরবার শরীফের অভ্যন্তরে পালনীয় কতিপয় অত্যাবশ্যকীয় আদব পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি –
✔️১। ওযুসহ প্রবেশ অথবা প্রবেশ করেই ওযু করে নেয়া,, যেন দরবারে সর্বক্ষন ওযু সহকারে থাকা যায়।
✔️২। ওযুর পর দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে সেই নামাজের সাওয়াব যামানার ইমামকে হাদিয়া করা।
❌৩। পান,, বিড়ি,, সিগেরেট ও অন্যান্য নেশাজাতীয় যে কোন দূর্গন্ধ আগেভাগেই দূর করে পাক দরবার শরীফের আঙ্গিনায় প্রবেশ করা।
❌৪। দরবারে অবস্থানকালীন নিরবতা বজায় রাখার ব্যাপারে ব্যক্তিগতভাবে যত্নবান হওয়া এবং অযথা ও বেহুদা যে কোন কথা ও কাজ, আর আওয়াজ করে ডাকা, চিৎকার করে কথা বলা, উচ্চ স্বরে হাসি-ঠাট্টা করা ইত্যাদি পরিপূর্ণভাবে পরিহার করে চলা।
✔️৫। দরবার অঙ্গনের পরিচ্ছন্নতা রক্ষার ব্যাপারে আন্তরিক হওয়া।
✔️৬। নিজ দায়িত্বে দরবারের অভ্যন্তরে যে কোন একটি খেদমত সম্পাদন করা।
✔️৭। নামাজ, দোয়া ও মুনাজাত, কোরআন তিলাওয়াত, দ্বীনি আলোচনা ও যিকির-আযকারসহ অন্যান্য যে কোন প্রকার ইবাদত ও লেখাপড়াসহ আত্ম উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখা।
❌৮। নিজ মোবাইল এর রিং টোন সাইলেন্ট করে রাখা।
❌৯। অপর মুমিনের যে কোন বদনাম, গিবত, পরনিন্দা ও সমালোচনা থেকে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত রাখা।
✔️১০। “মুমিনরা পরস্পর ভাই-বোন” কথাটি মনে রেখে নিজের আগে অপর মুমিন ভাই বোনদের সুবিধার দিকে বেশী করে দৃষ্টি প্রদান করা। বিশেষ করে বয়স্ক পুরুষ ও মহিলা, নারী ও শিশুদের সুবিধার দিকে বেশী করে খেয়াল রাখা।
✔️১১। আবে শেফা পানের পর নির্দিষ্ট স্থানে আবে শেফার হাদিয়া প্রদান করা।
✔️১২। দরবারে অনুষ্ঠিত মাহফিল অথবা মজলিস চলাকালীন সময় অন্য সব ব্যস্ততা ছেড়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া।
✍️[উপরোল্লেখিত আদবগুলো আপনারা আগে থেকেই রক্ষা করে আসছেন বলে আপনাদের সবার কাছে জানাই আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আল্লাহ আপনাদের সকলকে ইমামের আশির্বাদ লাভ করার তৌফিক দান করুক।]💐
↯↻↯↻↯